সমস্যা-সমাধান শিখনের অর্থ কী? সমস্যা-সমাধানের বিভিন্ন স্তর গুলি আলোচনা করো।
সমস্যা-সমাধান শিষনের অর্থ
▶ মনোবিদ সেষ্টস্ (Gates) এর মতে, সমস্যা-সমাধান হল এক বিশেষ ধরনের শিখন কৌশল যেখানে শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়াটি আবিষ্কার করতে হয়।
▶ মনোবিদ সেইনি (Gayne)-এর মতে কোনো লক্ষ্যপূরণের পথে যেসব বাধা বা অসুবিধা দেখা যায়, সেগুলিকে অতিক্রম করার প্রক্রিয়াকে বলে সমস্যা-সমাধান।
ব্যপধারা ও পরিবেশের কারণে মানুষের জীবনে নানা চাহিদা সৃষ্টি হয়। প্রাচিদাপূরণের তাড়নায় ব্যস্তি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে আগ্রসর হয়। চাহিদাপূরণ বা লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার পথে তাকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এই বাধা অতিক্রম করতে ব্যক্তি বিকল্প প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্য থেকে যে প্রতিক্রিয়াটি সঠিকভাবে নির্বাচনে করে এবং লক্ষ্যপূরণ করতে গিয়ে সমস্যা সমাধানের যে কৌশলটি সে আয়ত করে, তাকেই সমস্যা-সমাধান শিখন কৌশল বলে।
প্রতিটি বাক্তির সমস্যামূলক পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করলে তিনাট্য বিষয় লক্ষ করা যায়, যথা। চাহিদা, ।। চাহিদাপূরণে সক্ষম এমন লক্ষা বা আকাঙ্ক্ষিত নয় এবং ৪। চাহিদা ও লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে বাধা। এখানে সমস্যা হল চাহিদা ও লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে বাধা। এই বাধা দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, প্রাস্কোডিক, অর্থনৈতিক-বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। বিভিন্ন প্রকার সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ব্যক্তি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে, যার ফলে তার আচরণের পরিবর্তন ঘটে। অনেকের মতে, সমস্যা-সমাধান লিখন সর্বোচ্চ ভরের শিখন। কারণ এখানে প্রতিক্রিয়াগুলি পুরোপুরিভাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা বা অনুবর্তনের ওপর নির্ভরশীল নয়। এখানে অভিজ্ঞতাগুলির পুনর্বিন্যাস করতে হয়। সমস্যা-সমাধানের ক্ষেত্রে কমবেশি নতুন কিছু আবিষ্কার বা সৃষ্টি করতে হয়।
সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন স্তর
সমস্যা-সমাধানের ওপর গবেষণা করেছেন এমনসব শিক্ষাবিদ ও মনভত্ববিদ সমস্যা-সমাধান শিখনের কয়েকটি ঘরের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলি इत-
[1] সমস্যার সম্মুখীন হওয়া: সমস্যা-সমাধান শিখন পুরু হয় চাহিদার মধ্য দিয়ে। এই চাহিদা দৃষ্টি কারণে হতে পারে। কোনো ব্যক্তি বা পরিস্থিতি সমস্যা। সৃষ্টি করেছে বা ব্যক্তি নিজেই সমস্যাটি অনুভব করছে।
[2] সমাধান খৌজা: এই ভরে ব্যক্তি সমস্যাটি বিশ্লেষণ করে এবং সমস্যাটি নিদিষ্ট করে। তারপর সে সমাধানের কয়েকটি উপায় স্থির করে, যাকে বিকল্প বলে। অনেক সময় বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যবিশ্লেষণ করার পর পরীক্ষানিরীক্ষা করে সমস্যা সমাধানের সর্বোৎকৃষ্ট উপায়টি নির্দিষ্ট করা হয়।
[3] সমস্যার সমাধান: অবশেষে সমাধানের পথে সব বাধা দূর হয় এবং সমস্যার সমাধান ঘটে। এর ফলে বাক্তির মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়। অনেক সময় মনে হয়, সমাধানের উপায়টি যেন হঠাৎ দেখা দিল।
[4] যাচাই করা: অনেক সময় সমাধানটির যথার্থতা বিচার করার প্রয়োজন হয়। এই চতুর্থ বা শেষ স্তরে অনেক সময় দেখা যায়, যে উপায়ে সমাধান হয়েছে সেটিকে অনেক সংদ্বেল এবং সহজ করা যেতে পারে।