সুযোগের সমতা বিধান বলতে কী বোঝায়? শিক্ষায় সুযোগের সমতাবিধানের জন্য করণীয় বিষয়গুলি উল্লেখ কর।
উত্তর
সুযোগের সমতা বিধান
সুযোগের সমতা বিধান বলতে বোঝায় জনগণের সমান অধিকার অর্জন করা। যে সমাজের জনগণের সমান অধিকার আছে এবং ব্যক্তিগত বিকাশের কোন ধরনের বাধা নেই সেই সমাজের সুযোগ সমতাবিধান রয়েছে বলে মনে করা হয়।
গণতান্ত্রিক শিক্ষার লক্ষ্য হলেও প্রতিটি ব্যক্তি ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ ও সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন। শিক্ষায় সুযোগের সমতাবিধানের মূল কথা হলো- রাষ্ট্রীয় খরচে সকলের প্রয়োজন মত সর্বোত্তম শিক্ষায় সুযোগ সৃষ্টি করা মোটকথা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে, জাতীয়, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায়ের শিশু ও ব্যক্তির শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ লাভ করতে পারে।
শিক্ষায় সুযোগের সমহানিমাসের জন্য করণীয় নিশয়সমূহ
শিক্ষার সুযোগের পদতাবিধানের জন্য প্রদান, শিক্ষায় সহসুযোগ আপদের জন্য যেন্দ উপায় বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, সেগুলি -
[১] শিক্ষার আত্মীয়করণ: শিখার মুখোপের বয়তাবিধানের জন্য শিক্ষার জাতীয়করণের বাবস্থারহণে উদ্যোগী হতে হবে।।
[2] সাদার বিখ্যায় বাদামাত বাস্তবায়ন কোর্টরি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ বিদ্যালয় বাবস্থা কে যথাযথানে বায়বায়নের করখা করতে হবে। এর জন্য দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের দরজা জাতিসদেবর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীকে ভরতি করার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানের মাদকে যথান পুরুত্ব দিতে হবে।
[3]আমায়া স্বর্ণীকরণ: গ্রামাম্মামের এবং শহরায়ণের শিক্ষার মধ্যে সে অসাম্য রয়েছে, তা যতদূর সম্ভব কমাতে হবে।
[4] সুযোগসুবিধার অভাব দূরীকরণ: দেশের সকল রাজ্যের শিক্ষা নকারকার নয়। বিভিন্ন রাজের মধ্যে পিভায় সুযোগসুবিধার কেত্রে যে অভাব রয়েছে, তা দূরীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
[5] বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা দেশের বিভিন্ন অংশে যেসব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু রয়েছে, তাদের জন্য ব্যাপকভাবে বিশেষ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
[6]অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষা: বিভিন্ন অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের জনা যেমন SC, ST OBC: দের জন্য শিক্ষার যাবতীয় সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।
[7] সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা: ধর্মগত এবং ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্পম্প্রদায়ের মানুষের শিক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[8] নারীশিক্ষার বিকাশ: শিক্ষাক্ষেত্রে নারীরা যাতে পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারে, তারজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[9] দৈহিক ও মানসিক প্রতিবন্দীদের শিক্ষা: দৈহিক ও মানসিক দিক থেকে যারা প্রতিবন্ধী, তাদের জন্যও শিক্ষাক্ষেত্রে উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
[১০] বৈষম্য দূরীকরণের বাবামা: লিলাগত, জাতিগত এবং শ্রেণিগত বৈষম্য দূর করে সমাজের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায়, তার কবস্থা করতে হবে।