welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি? স্বাধীন ভারতের নারী শিক্ষার বিষয়ে রাধা কৃষ্ণ কমিশন মুদালিয়ান কমিশন ও কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি লেখ।

নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি? স্বাধীন ভারতের নারী শিক্ষার বিষয়ে রাধা কৃষ্ণ কমিশন মুদালিয়ান কমিশন ও কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি লেখ। 
 

উত্তর 

নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা 

(1)শিক্ষার প্রকৃতি উদ্দেশ্য মানসিক উৎকর্ষ সাধন। এই উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে পুরুষ সমাজের পাশাপাশি নারী সমাজের কথা ও ব্যাপকভাবে চিন্তা করা দরকার। কেননা সে দেশের নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকে.

(2) নারীরা তাদের সন্তানদের এমন ভাবে গড়ে তুলতে পারে যারা পরবর্তীকালে দেশকে সমৃদ্ধ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। শিক্ষা বর্ধিত নারী কখনো শিশুকে তুলতে পারেনা। 

(3) শিক্ষিতা নারী নিজের পরিবার ও সমাজকে সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উন্নত করে তুলতে পারে ।

(4) নারী শিক্ষা বোনের পরিবারের শান্তি শৃঙ্খলা ও বজায় থাকে ।

(5) নারী শিক্ষিত হলে জন্মহার কমাতে উদ্যোগী হবে। এর ফলে দেশের জনসংখ্যা চাপ কিছুটা হলেও কমবে। 

নারী শিক্ষা বিষয়ে রাধা কৃষ্ণ কমিশনের সুপারিশ (1948-49)

স্বাধীনতার পর 1948 খ্রিস্টাব্দে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণের সভাপতি কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন তথা রাধা কৃষ্ণ কমিশন গঠন হয়। ওই কমিশন নারী শিক্ষা বিষয়ে যে সুপারিশ করে সেগুলি হল-

1. সমাজের নাগরিক হিসেবে নারীরা যাতে উপযুক্ত মর্যাদা পায় সেই দিকে নজর দিতে হবে 

2. কো এডুকেশন কলেজে অর্থাৎ যেখানে নারী-পুরুষ একসাথে পড়াশোনা করে সেখানে নারীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে 

3. নারী ও পুরুষদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে সাদৃশ্য বজায় রাখা হলেও নারীদের বিশেষ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। 

4. দেশের সর্বত্র নারী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। 

5. পরিবার তথা সমাজকে তুলে ধরার জন্য নারীদের রহস্য অর্থনৈতিক পরিবার পরিচালনা বা গৃহ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রার্থনা গ্রহণ জন্যে উৎসাহিত করতে হবে। 

নারী শিক্ষার বিষয়ে মুদালিয়ান কমিশনের সুপারিশ (1952-53)

 1952 খ্রিস্টাব্দে ডঃ লক্ষণ স্বামী মুদালিয়ান এর সভাপতিত্বে যে কমিশন গঠিত হয় তা মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন বা মুদালিয়ান কমিশন নামে পরিচিত। নারী শিক্ষার বিষয়ে ওই কমিশনের সুপারিশ হলো-

1. নারী-পুরুষের জন্য একই ধরনের পাঠক্রম নির্দিষ্ট হবে। কবে যেখানে মেয়েদের স্কুল অথবা শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে সেখানে মেয়েদের জন্য বিজ্ঞান পাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। 

2. প্রয়োজন বড়বদের রাজ্য সরকারকে নারী শিক্ষার বিষয়ে জন্য পৃথক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। 

3. নারী শিক্ষার পাঠ্যক্রম সংগীত কলা ইত্যাদি বিষয়ের অনুমোদন করার সুপারিশ করা হয়। 

4.  এডুকেশন স্কুলে শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষিকা নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে ওইসব বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটিতে উপযুক্ত সংখ্যক নারীর প্রতিনিধি থাকবে। 

নারী শিক্ষার বিষয় কোঠারি কমিশনের সুপারিশ (1964-66)

1964 খ্রিস্টাব্দে ডক্টর ডি এস কোঠারি সভাপতি তে যে শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় তা কোঠারি কমিশন বা ভারতীয় শিক্ষা কমিশন নামে পরিচিত। ওই কমিশন নারী শিক্ষার বিষয়ে যে সমস্ত সুপারিশ লিপিবদ্ধ করে সেই গুলি হল-

1. আগামী কয়েক বছর নারী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন হবে। নারী পুরুষের মধ্যে শিক্ষাগত পার্থক্য যথা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে 

2. নারী শিক্ষার বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নারী শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য দান করতে হবে। 

3. নারী শিক্ষার বিকাশে জন্য মেয়েদের স্কলারশিপ দিতে হবে এবং তাদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে। 

4. স্থানীয় চাহিদা ভিত্তিতে মহিলা মহাবিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। 

5. নারী শিক্ষার বিষয়ে গবেষণার জন্য দুই একটি বিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। 

6. কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের মহিলাদের শিক্ষা ব্যাপারে তথ্যপ্রধান করার জন্য একটি সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। ওই সংগঠনের কাজ হবে নারী শিক্ষার পরিচালনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যবস্থা করা।। 

7. শিক্ষক গ্রহণের পর মহিলারা যাদের চাকুরীর সুযোগ পায়। তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

8. নারীদের ব্যক্তি মূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। 

9. মহিলারা যাতে বাড়ির কাজকর্ম সেরে আংশিক সময়ে চাকরি পায় তার জন্য সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01