মনোযোগ আকর্ষণের উপায় লেখো। মনোযোগের কয়েকটি বিতর্যক উল্লেখ করো। শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা লেখো।
উওর
মনোযোগ আকর্ষণের উপায়
মনোযোগ আকর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ উপায়গুলি হল
[1] শান্ত পরিবেণ: কোলাহলমুক্ত পান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে বিদ্যালয় যাপিত হলে পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহজে আকৃষ্ট হয়।
[2] বিশ্রামের ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের ক্লান্তি ও একঘেয়েমি দূর করার জন্য সময়সূচিতে মনোবিজ্ঞানসম্মতভাবে বিভিন্ন বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাঝে মাঝে বিশ্রামের ব্যবস্থা করাও একান্তই বাঞ্ছনীয়।
[3] শিক্ষাব্যবস্থার বৈচিত্র্যকরণ: পাঠক্রমকে কেবলমাত্র গ্রন্থকেন্দ্রিক না করে বিচিত্র ও বহুমুখী করে তুলতে হবে। ক্রীড়া ও কর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের বিচিত্র বিষয়ে রুচি ও অনুরাগ তৈরি হয়।
[4] দৃষ্টি ও শ্রুতিনির্ভর শিক্ষার ব্যবস্থা: শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বা অনুরাগকে ক্রিয়াশীল করতে হলে, পাঠদানকালে সৃষ্টিনির্ভর ও প্রতিনির্ভর শিক্ষার উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়াও পাঠদানকালে মনোযোগের নির্ধাবকবুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
[5]জীবনকেন্দ্রিক শিক্ষার ব্যবস্থা: দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা ও বাস্তব অভিঙ্গতার গল্যে শিক্ষার সমন্বয় ঘটালে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি লানে।
[6] উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্টতা: শিক্ষার উদ্দেশ্যকে শিক্ষার্থীদের কাছে স্পীভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
মনোযোগের বিকর্মক
মনোযোগে বাধাপ্রদানকারী বিষয়গুলিকে মনোযোগের বিকর্ষক বাং এখানে কয়েকটি বিকথকের উল্লেখ করা হল-
[1] দুশ্চিন্তা, অহেতুক ভয় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মনোযোগ ন দেয়।
[2] বাহ্যিক উদ্দীপক, যেমন অতি জোর শব্দ, কানের কাছে আনবা ধরে ফবনিত হওয়া যে-কোনো শব্দ মনোযোগের বিকর্ষক কাজ করে।
[3] বিভিন্ন প্রকার অভাববোধ, যাহিদা, অতৃপ্ত বাসনা আমাদের মনোসে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
[4] বিভিন্ন প্রকার প্রতিকূল পরিবেশ, শারীরিক অসুস্থতা মনোযো বিকর্ষক হিসেবে কাজ করে।
[5] পরিকল্পনার অভাব, শৃঙ্খলাহীন অবস্থা, ইচ্ছার অভাবও মনোযো বিকর্ষক হিসেবে কাজ করে।
তাই, ছাত্রছাত্রীদের পাঠে মনোযোগী হওয়ার জন্য যতদূর অনুকূল পরিবেশ গঠন করতে হবে এবং বিকর্ষকগুলিকে দূর করতে। ইচ্ছা বা প্রেষণাকে উদ্দীপিত করতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্য উপ পরিকল্পনা নিতে হবে এবং যথাসম্ভব শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে। তা ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে পারবে।
শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা
শিক্ষার সঙ্গে মনোযোগের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শিখনের একষ্টা সমস্যা হল শিক্ষার্থীর মনোযোগ আকর্ষণ করা। এ ব্যাপারে মনোনি কয়েকটি কৌশলের কথা উল্লেখ করেছেন-
[1] মনোযোগ আকর্ষণকারী কৌশল: বাক্তিজীবনে মনোযোগের এক থাকে না। শৈশবকালে ব্যক্তিনিরপেক্ষ মনোযোগের প্রাধান্য দেখা স এই স্বরে বস্তুর বৈশিষ্টাই মনোযোগের নির্ধারক। চাহিদাকে কেন্দ্র করে শি হবে ক্রীড়াভিত্তিক এবং শিখনপখতি হবে ক্রীড়াকেন্দ্রিক। শিখনকে বিনান্ত করতে হবে। শিশুর চাহিদা হল খেলা। তাই শিশুর পাঠ
[2] ইচ্ছাসাপেক্ষ কৌশল: পরবর্তী ভরে ইচ্ছাসাপেক্ষে মনোযোগ যায়। এই সময় লিখনের উদ্দেশ্য ও ব্যাবহারিক প্রয়োজনীয়তা সম্প ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। অবহিত করে, সেন্টিমেন্ট সৃষ্টি করে, উপদেশ দিয়ে, প্রয়োজনে লঘু শাসন ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে।
[3] পরিসর অনতিক্রম্য কৌশল: বিষয়বস্তু নির্বাচনে শিক্ষককে রাখতে হবে তা যেন শিক্ষার্থীর মনোযোগের পরিসর অতিক্রম না ক হবে। প্রয়োজন হলে বড়ো ও জটিল বাকাকে ছোটো সরল বাক্যে পরিণত কর
[4] নির্ধারক প্রয়োগ কৌশল: মনোযোগের নির্ধারকগুলিন প্রয়োজনমতো প্রয়োগ করতে হবে। তীব্রতা, স্পষ্টতা, নতুনত্ব, পুনরায় প্রভৃতি মনোযোগের বস্তুগত নির্ধারকগুলিকে শিখনীয় বিষয়গুলির সঙ্গো করতে হবে।
[5] বিষয়-বৈচিত্র্য প্রয়োগ কৌগল: মনোযোগের পরিবর্তন- শীলতা ও চঞ্চলতা সম্পর্কে শিক্ষক সচেতন হবেন। নিরবচ্ছিন্নড়াবে কোনো কিছু দীর্ঘ সময় ধরে আগোনো না করে, মাঝে মাঝে তিনি অন্য বিষয়ে চলে যাবেন।
পরিশেষে বলা যায়, মনোযোগ পঠনপাঠনের প্রথম ও প্রধান শর্ত। তাই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণে লিখিত ও অলিখিত সব ধরনের হতা করতে হবে, যাতে শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর প্রতি তাদের সুস্থ, স্বাভাবিক মনোযোগ সৃষ্টি হয়।