সামাজিক প্রেষণা কী? যে-কোনো ছয়প্রকার সামাজিক সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর:
সামাজিক প্রেষণা
মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা, ডালোবাসা, খ্যাতির স্পৃহা প্রভৃতি সদা চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যে সকল প্রেষণা জাগ্রত হয়, তাদের সামাজিক গ্রাে বলে। সামাজিক প্রেষণা ব্যক্তির সামাজিক বিকাশে পুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে।
ছয়প্রকার সামাজিক প্রেষণার বর্ণণা
এখানে ছয় প্রকার সামাজিক প্রেষণার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা উল্লেখ করা হল-
[1] খ্যাতি (Fame): খ্যাতি মানুষকে অত্যধিক পরিশ্রমী করে তোলে সমাজে এমন অনেক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়, যারা পদমর্যাদয় ।। আসনে পৌঁছোনোর জন্য অধিক পরিশ্রম করতে দ্বিধা করেন না। খ্যাইিননু পদমর্যাদা ব্যাপারটি অনেকাংশে নির্ভর করে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব রক্ষ পরিবেশের ওপর।
[2] যূথচারিতা (Gregariousness): যুথচারিতা প্রেষণাটি মানুষ-সহ অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও দেখা যায়। প্রায় সকল প্রাণীই নিজে নিজ প্রাণীদের সঙ্গে দলবদ্ধভাবে থাকতে চায়। প্রাণীদের এইপ্রকার ইআ যূথচারিতা বলে। যুথচারিতা একটি অজিত প্রেষণা। প্রত্যেক বাতি পরিবার এবং পরিবেশ থেকে এই প্রেষণাটি অর্জন করে।
[3]নিরাপত্তা (Security): নিরাপত্তাবোধ একটি গুরুত্বা পুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রেষণা। শিশু তার বাবা-মা বা বয়স্কদের কাছ থেকে দৈহিক নিরাপত্তা। 4। নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র, জল, বায়ু প্রভৃতি শিশুর দৈহিক নিরাপতারমাে প্রেষণা। মানুষ তার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবং পদ্মর আকুমা চায় রেহাই পাওয়ার জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করে, বাড়ির চারদিকে প্রাচীন করে। দৈনন্দিন জীবনেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষ নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
[4] স্বীকৃতি (Approval): প্রায় সকল মানুষই তার নিজের অন্যান্যদের কাছ থেকে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করে। এই নয়, প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবস্থায় তার কর্মের স্বীকৃতি প্র করে। কোনো বিষয়ে স্বীকৃতি পেলে, ব্যক্তির মধ্যে সেই বিষয়ে আর১ উৎসাহ ও উদ্দীপনা জেগে ওঠে।
[5] সাফল্য (Achievement): মানুষ কেবলমাত্র খেয়ে-পরেন থাকতে চায় না। সে সমাজে নিজেকে ভালো করে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এইরূপ ইচ্ছাকে সাফল্য প্রেষণা বা কৃতি প্রেষণা বলে। সাফল্য লাভের ইচ্ছা মানুষকে অধিক পরিশ্রমী হতে সাহায্য করে।
[6]আক্রমণধর্ষিতা (Aggression Motive): একটি পুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রেষণা হল আক্রমণায়ক প্রেমলা। এই প্রেষণাটি অন্য বাক্তির সাফল্যের ক্ষেত্রে বাধা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। কোনো ব্যক্তি যখন তার লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছোতে ব্যর্থ হয়, তখন তার মধ্যে আক্রমণাত্মক আরেণ লক্ষ করা যায়।