welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

আগ্রহ সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

আগ্রহ সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।


উওর

আগ্রহ সৃষ্টিকারী উপাদান

আগ্রহ সৃষ্টিকারী উপাদানকে দৃষ্টি ভাগে ভাগ করা যায়- [1] ব্যক্তিগত উপাদান ও [2] পরিবেশগত উপাদান। আগ্রহ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নীচে উল্লেখ করা হল-

[1] আগ্রহ সৃষ্টিকারী ব্যক্তিগত উপাদান: আগ্রহ সৃষ্টিকারী ব্যক্তিগত উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শারীরিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক বিকাশ, মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশ, ব্যক্তির বয়স ও লিঙ্গ, প্রবৃত্তিমূলক আচরণের প্রকৃতি, জনতা, আদর্শ, প্রেমলা, ইথা প্রাতিনা, অন্নাহ, মাতা ইত্যাদি। এইসব উপাদানগুলি সম্পকে নীচে সান্তির আলোকে-

i. শারীরিক স্বাক্ষ্য ও পাইরিক বিভাগ: বাড়ির শারীরিক রাখা এবং শারীরিক বিকাশ অনুরাদ বা আমার সৃষ্টিতে পুরয়পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ii.মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক বিভাগ: বত্তির মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশ আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। যে বাস্তির মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত সেই ব্যক্তির বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আক্ষ করা যায়। মানসিক দিক থেকে যারা পিছিয়ে পড়ে। তারা বহু বিষয়ে আগ্রহ দেখায় না।

iii. বয়স: অনুরাগ বা আগ্রহ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাক্তির বয়স একটি পুরুরত্বপূর্ণ উপাদান। অল্পবয়সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলাধুলায় যতইৎ থাকে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ততভা আর থাকে না। পরিবর্তে অন্য বিষয়ে নতুন আগ্রহ বা অনুরাগ সৃষ্টি হতে দেখা যায়।


iv. লিঙ্গ: লিঙ্গভেদে ব্যক্তির মধ্যে আগ্রহের বিভিন্নতা দেখা যায়। একই বয়সের ছেলেরা যে ধরনের বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হয়, মেয়েদের আগ্রহের বিষয়গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার থেকে আলাদা হয়।

v. চাহিদা: ব্যক্তির চাহিদা আগ্রহ সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পছন্দ করেন, তিনি বাজার করতে গিয়েও নানা ধরনের খাওয়ার জিনিস কেনেন।

vi. অন্যান্য উপাদান: ব্যক্তির জমতা, আদর্শ, প্রেষণা, ইচ্ছা, প্রক্ষোভ, অনুভূতি প্রভৃতিও আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

[2] আগ্রহ সৃষ্টিকারী পরিবেশগত উপাদান: আগ্রহ সৃষ্টিকারী পরিবেশগত উপাদানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- আর্থসামাজিক অবস্থা, সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ, সামাজিক মর্যাদা, অধিক সুযোগসুবিধা ইত্যাদি। নীচে এগুলির বর্ণনা দেওয়া হল-

i. পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থা: পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থা আগ্রহ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই সেখা যায়, ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা গলফ, লন জেনিস প্রভৃতি ব্যয়বদুল খেলায় আগ্রহী। অন্যদিকে, সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েদের ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট প্রভৃতি কম ব্যয়সাপেক্ষ খেলার প্রতি আয়া দেখা যায়।

ii.সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো: যেসব বাড়িতে উন্নতমানের সংস্কৃতিচোর পরিকাঠামো রয়েছে, সেইসব বাড়ির ছেলেমেয়েরা সাহিতার্তো, গানবাজনা, বিশেষত উচ্চাঙ্গল সংগীত প্রভৃতিতে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়।

iii. প্রশিক্ষণ: আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়।

iv. সামাজিক মর্যাদা: যেসব কাজে সামাজিক মর্যাদা অনেক বেশি সেইসব কাজে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি থাকে, যেমন-

চিকিৎসাবিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অধ্যাপনা, বাবস্থাপনা ইত্যাদি।

v. অধিক সুযোগসুবিধা: বাস্তিকে যদি কোনো বিষয়ে অধিক সুযোগসুবিধা দেওয়া হয় তা হলে সে ধীরে ধীরে ওই বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

পরিবেশগত বা আর্থসামাজিক উপাদানগুলি শিশুকে বিশেষ বিশেষ বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে। ওই আগ্রহ পরবর্তীকালে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01