কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি

    বিভিন্ন ধরনের খনিজ এবং নমুনার শনাক্তকরণ (types of mineral and sample identification)

    বিভিন্ন ধরনের খনিজ এবং নমুনার শনাক্তকরণ (types of mineral and sample identification)


    সাধারণত দু'ধরনের অভ্র দেখতে পাওয়া যায়-

    (ক) শ্বেতবর্ণের অভ্র বা মাকোভাইত।

    (খ) ঘন কুয়াভ অভ্র বা বাইওত্রইত 

    Specimen No.-1: BIOTITE

    কৃষ্ণাভ অভ্র বা বাইওটাইট (পটাশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা ও ম্যাগনেশিয়াম মিশ্রিত সিলিকেট):

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-পাতলা পাতের মতো (foliated)

    বর্ণ-শ্বেত অভ্র স্বচ্ছ ও বর্ণহীন; বর্ণ কালো।

    দ্যুতি বা উজ্জ্বলতা-কাচের মতো বা মুক্তোর মতো (glassy or pearly); পুরু অভ্র অস্বচ্ছ।

    সম্ভেদ বা ফাটল-ফাটলের চিহ্ন স্পষ্ট।

    ভগ্ন অংশ-অসমান (uneven)।কাঠিন্য-2.00 থেকে 2.50।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.76 থেকে 3.00।

    বিশেষ বৈশিষ্ট্য- খুব পাতলা পাতের মতো স্তরগুলিকে আলাদা করা যায়। স্তর স্বচ্ছ হয়।

    সিদ্ধান্ত: কালো হলে বায়োটাইট।

    উৎস: কৃয়াভ অভ্র গ্রানাইট, নিস্ ও শিস্ট প্রভৃতি শিলায় দেখতে পাওয়া যায়।

    ব্যবহার: অভ্র বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে যথেষ্ট ব্যবহার হয়ে থাকে।

    ভারতে অবস্থান: ছোটোনাগপুর মালভূমির হাজারিবাগ ও কোডার্মা অভ্রের জন্য বিখ্যাত।

    রাসায়নিক সংযুক্তি: K(Mg, Fe), (Si, Al),, (OH),

    Specimen No.-2: MUSCOVITE

    শ্বেত অভ্র বা মাস্কোভাইট (পটাশিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম সিলিকেট):

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি পাতলা পাতের মতো (foliated)

    বর্ণ-সাদা।

    দ্যুতি বা উজ্জ্বলতা- কাচের মতো বা মুক্তোর মতো; পুরু মাস্কাভাইট অস্বচ্ছ।

    সম্ভেদ বা ফাটল-ফাটলের চিহ্ন স্পষ্ট।

    খনি চূর্ণের বর্ণ- বর্ণহীন বা সাদা।

    ভগ্ন অংশ-অসমান।

    কাঠিন্য-2 থেকে 2.5।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.76 থেকে 3.00।

    বিশেষ বৈশিষ্ট্য- খুব পাতলা পাতের মতো স্তরগুলিকে আলাদা করা যায়। স্তর স্বচ্ছ হয়।

    সিদ্ধান্ত: অভ্র সাদা হলে মাস্কোভাইত।

    উৎস: গ্রানাইট, পেগমাটাইট ও শিস্ট প্রভৃতি শিলায় দেখতে পাওয়া যায়।

    ব্যবহার: বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে যথেষ্ট ব্যবহার হয়ে‌ থাকে।

    ভারতে অবস্থান: ছোটোনাগপুর মালভূমির হাজারিবাগ ও কোডার্মা অভ্রের জন্য প্রসিদ্ধ।

    রাসায়নিক সংযুক্তি: KAJ, (AlSi3 010) (OH, F),

    Specimen No.-3: CALCITE

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-রম্বসের মতো, দানাময় ও স্তম্ভাকৃতি।

    বর্ণ-বর্ণহীন, সাদা, সবুজ, হলুদ ও কালচে।

    দ্যুতি বা উজ্জ্বলতা-কাচের মতো।

    সম্ভেদ বা ফাটল- সুস্প (3-diamention)/60° বা 120° কোণে 3 সেতা

    খনি চূর্ণের বর্ণ সাদা।

    কাঠিন্য-3.00।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.7।

    বিশেষ ধর্ম-পাতলা HCI-এর সংস্পর্শে বুদবুদ ওঠে।

    সিদ্ধান্ত: ক্যালসাইট।

    উৎস: পাললিক শিলা (চুনাপাথর), বিকৃত আগ্নেয় শিলায় ক্যালসাইতপাওয়া যায়।

    রাসায়নিক সংযুক্তি: CaCO,।

    Specimen No.-4: CHALCOPYRITE

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-স্তূপাকার বা সমমাত্রিক (স্ফটিকাকার)।

    বর্ণ-পিতলের মতো সোনালি হলুদ।

    দ্যুতি বা উজ্জ্বলতা- ধাতব, অস্বচ্ছ/অস্পষ্ট।

    সম্ভেদ বা ফাটল নেই/খুবই কম প্রকৃতির।

     খনি চূর্ণের বর্ণ-সবজে-কালো।

    ভগ্ন অংশ-উঁচু-নিচু।

    কাঠিন্য-3.5 থেকে 4.00।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-4.20

    সিদ্ধান্ত: চালকোপাইরাইট।

    উৎস: আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলায় দেখতে পাওয়া গেলেও বিশুদ্ধ অবস্থায় তামার আকরিক হিসেবে পাওয়া যায়।

    রাসায়নিক সংযুক্তি: CuFeS,।

    ব্যবহার: বৈদ্যুতিক শিল্পে, ধাতব শিল্পে ও মিশ্র ধাতু প্রস্তুতে যেমন-তামা টিন ব্রোঞ্জ, তামা দস্তা = পিতল।

    আকরিকন্তু তামার প্রধান আকরিক হল

    [i] চালকোপাইরাইট (প্রধান), (ii) চালকোসাইট (অপ্রধান)।

    ভারতের অবস্থান: জালোর (রাজস্থান) এবং ঘাটশিলা (ঝাড়খন্ড)।

    Specimen No.-5: FELDSPAR OR FELSPAR

    ফেলস্পার দু-রকমের। যথা-

    পটাশ ফেলস্পার,প্ল্যাজিওক্রেট ফেলস্পার।পটাশ ফেলসপার এই শ্রেণির খনিজের মধ্যে অর্থোক্লেজ ও মাইক্রোলিন প্রধান। এই জাতীয় খনিজগুলির মধ্যে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা অন্য ফেলস্পারে থাকে না। এটি সাধারণত সাদা বা ধূসর বর্ণের হয়। তবে এটি ফিকে গোলাপি বর্ণেরও হয়ে থাকে। ফেলস্পারের দ্যুতি কাচের মতো।

    অর্থোরেত [KNa (Si,O,)]: এটি বেশিরভাগ শিলায় দেখা যায়, তবে গ্রানাইট জাতীয় শিলায় এটি বেশি পরিমাণে থাকে। অর্থোক্লেজ খুব মসৃণ এবং উজ্জ্বল হয়। এটি দু'টি নির্দিষ্ট সম্ভেদ বা ক্লিভেজে ভাঙে এবং একটি অপরটির সমকোণে থাকে। এজন্য এর নাম অর্থোরেজ (Ortho = Rectangular, Clasts Breaking)। এই কারণে অর্থোরেজ ভাঙলে সিঁড়ির মতো ছোটত ছোটতধাপের সৃষ্টি হয়। অর্থোক্লেজের কাঠিন্য 6 এবং আপেক্ষিক গুরত্ব 2.5 to 2.6। পর্সিলেন প্লেটে এটি সাদা দাগ কাটে।

    মাইক্রোলিন [KAISI,O]: এটিও আগ্নেয় শিলার একটি খনিজ এবং অর্থোক্লেটের মতো এর গুণাগুণ দেখা যায়।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি- ফটিকাকার অথবা স্তূপাকার।

    বর্ণ- হালকা গোলাপি।

    দ্যুতি- মুক্তোর ন্যায়।

    সম্ভেদ নিখুঁত।

    খনিজ চূর্ণের বর্ণ- বর্ণহীন, পোর্সিলিন প্লেটে সাদা দাগ কাটে।

    কাঠিন্য- 6.00।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.75।

    সিদ্ধান্ত: অর্থক্রেজ ফেলসপার।

    প্ল্যাজিওক্রেজ ফেলস্পার (সোডিয়াম ও ক্যালশিয়ামের অ্যালুমিনো সিলিকেট): আগ্নেয় শিলায় প্রাপ্ত এটি ও একটি উল্লেখযোগ্য খনিজ। এটি নানা বর্ণের হয়, তবে ধূসর বর্ণের প্ল্যাজিওক্লেজ ফেলস্পারই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। সাদা প্ল্যাজিওক্রেজ খুব কমই দেখা যায়। এরও দু'টি সম্ভেদ বা ক্লিভেজ আছে, তবে একটি অপরটির সঙ্গে ঠিক সমকোণে থাকে না। এজন্য এর নাম প্ল‍্যাজিওক্রেজ (plagios = oblique)। এর কাঠিন্য 6 এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.6 to 2.71

    প্ল্যাজিওক্লেজ ফেস্পার গ্রুপে বা শ্রেণিতে যদিও ছয়টি শ্রেণির খনিজ দেখতে পাওয়া যায়, তবে দুই প্রান্তস্থ দু'টি খনিজ (অ্যালবাইট থেকে পরপর যথাক্রমে অলিগোক্লেজ, অ্যান্ডিসাইন, ল্যারাভোরাইট, বাইটোনাইট ও অ্যানোর্থাইট)। যথা- অ্যালবাইট (Na Alsi₂O₂) অর্থাৎ সোডিয়াম অ্যালুমিনো সিলিকেট এবং অ্যানোর্থাইট (CaAlsi, Og) অর্থাৎ ক্যালশিয়াম অ্যালুমিনো সিলিকেটের প্রাধান্যই বেশি। বাকি খনিজগুলি দুই প্রান্তস্থ খনিজের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থান করে এবং একটি খনিজ থেকে অপরটিতে ক্রমশ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে। এক প্রান্তের খনিজ থেকে। অপর প্রান্তের খনিজ পরিবর্তন অর্থাৎ সোডিয়াম অ্যালুমিনোসিলিকেত থেকে ক্যালশিয়াম অ্যালুমিনো-সিলিকেত খনিজে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কেবল যে সোডিয়াম ও ক্যালশিয়ামের পরিমাণের পরিবর্তন হয় তা নয়, এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেঙ্গ অ্যালুমিনিয়াম ও সিলিকনের পরিমাণেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-স্ফটিকাকার (প্রিজমের মতো)।

    বর্ণ-সাদা, গোলাপি বা ধূসর।

    উজ্জ্বলতা কাচের মতো।

    সম্ভেদঃফাটল দুটি নির্দিষ্ট সম্ভেদ, একটি অপরটির সমকোণে থাকে।

    কাঠিন্য-6-6.51খনি চূর্ণের বর্ণ-বর্ণহীন।

    ভগ্ন অংশ-অসম ছোতছো ততুকরো।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.80-3.00।

    সিদ্ধান্ত: felspar) প্ল্যাজিওক্লেড ফেলস্পার (plagioclase

    Specimen No.-6: GALENA

    গ্যালেনা থেকে সীসা (lead) পাওয়া যায়। এর রং ধূসর কালো। এটি নরম এবং পেন্সিলের সীস তৈরিতে ব্যবহার হয়। সাধারণত দস্তার সলো মিশ্রিত অবস্থায় এটি পাওয়া যায়। গ্যালেনার মধ্যে অনেক সময় রৌপ্য থাকে।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-সমমাত্রিক (cubical), ঘনকাকৃতি; দানাময়।

    বর্ণ-ধূসর।।

    দ্যুতি বা উজ্জ্বলতা- উজ্জ্বল ধাতব।

    সম্ভেদ/ফাটল-তিনটি তলে নিখুঁত ফাটল এবং প্রত্যেকটি তল একটি অপরটির সমকোণে অবস্থান করে, ফলে সমমাত্রিক আকার ধারণ করে।

    খনি চূর্ণের বর্ণ- ধূসর কালো বা সিসার মতো ধূসর।

    ভগ্নঅংশ-সম প্রকৃতির।

    কাঠিন্য-2.5 (নরম)

    আপেক্ষিক গুরুত্ব প্রায় 7.5 (খুব ভারী)।

    সিদ্ধান্ত গ্যালেনা।

    রাসায়নিক সংযুক্তি Pbs।

    Specimen No.-7: GRAPHITE

    জৈব পদার্থের অঙ্গার (carbon) থেকে গ্রাফাইটের সৃষ্টি হয় রূপান্তরের ফলে। এই রূপান্তর পাললিক শিলায় তাপ এবং চাপের ফলে হয়ে থাকে। এটি এক প্রকার কয়লা বটে, কিন্তু উত্তাপের তন্য এটি ব্যবহার হয় না। এটি ধূসর-কালো এবং অনেক পেন্সিলের সীসরূপে ব্যবহৃত হয়। ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে গ্রাফাইত পাওয়া যায়।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি- স্তূপাকার বা আঁশযুক্ত।

    বর্ণ-কালো এবং লোহার মতো ধূসর।

    দ্যুতিবা উজ্জ্বলতা-ধাতব।

    সম্ভেদ বা ফাটল-ফাটলের চিহ্ন স্পষ্ট।

    খনি চূর্ণের বর্ণ- কালো ও উজ্জ্বল।

    ভগ্ন অংশ-অসম পাতলা টুকরো।

    কাঠিন্য-1 থেকে 2।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-2:10 থেকে 2.20।

    বিশেষ ধর্ম- কাগজে লেখা যায়, হাতে গ্রিজের মতো অনুভূতি।

    সিদ্ধান্ত গ্রাফাইত।

    রাসায়নিক সংযুক্তি C

    Specimen No.-8: HEMATITE-Fe2O3

    লোহা নানাপ্রকার রাসায়নিক যৌগে পাললিক শিলার মধ্যে আকরিক রূপে অবস্থান করে। হেমাটাইট হল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লৌহ আকরিক যা অক্সাইড রূপে পাওয়া যায়। এটি রক্ত বর্ণের এবং এতে লোহার পরিমাণ থাকে শতকরা 70 ভাগ।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি- আয়তনের বা স্তূপাকার, বৃক্কাকার বা পাতার ন্যায়।

    বর্ণ-লাল থেকে কালো বা ইস্পাত ধুসর, ইটের রং।

    দ্যুতিবা উজ্জ্বলতা-ধাতব থেকে মেটে।

     সম্ভেদ বা ফাটল অনুপস্থিত।

    খনি চূর্ণের বর্ণ-লালচে বাদামি বা বেগুনি লাল।

    ভগ্নঅংশ-অসমান।

    কাঠিন্য- 5.5 থেকে 6.5।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব 4.9 থেকে 5.3।

    দানার আকৃতি-রম্বসের মতো।

    বিশেষ ধর্ম-HCI দিলে বিক্রিয়া ঘটে এবং চুম্বককে আকর্ষণ করে।

    সিদ্ধান্ত হেমাটাইট।

    Specimen No.-9: MAGNETITE-Fe,O,

    সর্বোৎকৃষ্ট লোহার আকরিক। লোহার পরিমাণ 72.4 শতাংশ। এই আকরিকের রং কালো। বৈদ্যুতিক শিল্পের ক্ষেত্রে এই আকরিক বিশেষভাবে মূল্যবান।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি- বড়ো আয়তনের বা দানাযুক্ত, কখনও কখনও দাগযুক্ত।

    বর্ণ-কালচে লাল।

    দ্যূতি-ধাতব থেকে মেটে (metallic to earthy)

    ফাটল দাগযুক্ত তলের সমান্তরাল (parallel to the banded plane) বা নিম্নতল অনুযায়ী (basal)।

    খনি চূর্ণের বর্ণ কালো।

    কাঠিন্য-6।

    বিশেষ ধর্ম-উচ্চমাত্রার চৌম্বকত্ব।

    সিদ্ধান্ত ম্যাগনেটাইট।

    উৎস আগ্নেয় শিলা, স্পর্শ তাপীয় রূপান্তরিত শিলা।

    Specimen No.-10: HORNBLENDE

    রাসায়নিক সংযুক্তি: NaCa, (Mg, Fe), (Al, Fe) (Si, Al) O (OH, F),

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-স্তম্ভাকার বা দানাদার বা প্রিজম আকৃতির স্ফটিক।

    বর্ণ-কালো, গায়ে সবজে-কালো।

    ফাটল স্পষ্ট।

    খনি চূর্ণের বর্ণ-কালো।

    ভগ্নঅংশ-বিষম।

    কাঠিন্য-5.51

    আপেক্ষিক গুরুত্ব 3.21

    সিদ্ধান্ত হর্ণব্লেন্ড বা অ্যাম্ফিবোল।

    উৎস রূপান্তরিত শিলা বা আগ্নেয় শিলা।

    Specimen No.-11: KYANITE

    রাসায়নিক সংযুক্তি Al,SIO,

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি ফলকাকৃতি, স্তম্ভাকৃতি।

    বর্ণ- নীলচে ধূসর, সবুত ও সাদা।

    ফাটল স্পষ্ট।

    খনি চূর্ণের বর্ণ সাদা।

    কাঠিন্য-4671

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-3.63।

    বিশেষ ধর্ম বিভিন্ন দিকে ভিন্ন ভিন্ন কাঠিন্য মাত্রা।

    সিদ্ধান্ত কায়ানাইত।

    রাসায়নিক সংযুক্তি AI-সমৃদ্ধ রূপান্তরিত শিলা।

    Specimen No.-12: TALC

    রাসায়নিক সংযুক্তি Mg, Si, O, (OH),

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-সংহত, দানাময়, পত্রায়িত।

    বর্ণ- হালকা সবুত, সাদা, ধূসর ও খয়েরি।

    দ্যুতি- উজ্জ্বল সাদা।

    খনি চূর্ণের বর্ণ-সাদা।

    কাঠিন্য-1.00।

    আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.70 থেকে 2.80।

    বিশেষ ধর্ম-হাতে সাবানের অনুভূতি।

    সিদ্ধান্ত ট্যাঙ্ক (talc)

    উৎস Mg-সমৃদ্ধ রূপান্তরিত শিলা।

    Specimen No.-13: TOURMALINE

    রসায়নিক সংযুক্তি: Na (Mg, Fe, Al (BO) (SiO₂a) (OH, F)

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি- ত্রিকোণী স্তম্বাকৃতি বা সূচালো স্ফটিক।

    বর্ণ-সাধারণত কালো; নীল, সবুজ, লাল, হলুদ ও বর্ণহীন।

    ফাটল- অস্পষ্ট।

    সদ্ভেদ- উত্তম বা নিখুঁত।

    খনি চূর্ণের বর্ণ-বর্ণহীন।

    ভগ্ন অংশ- অসম।

    কাঠিন্য-7-7.51

    আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.98-3.21

    বিশেষ ধর্ম- দৈর্ঘ্যের সমান্তরাল আঁচড় রেখা, তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন।

    সিদ্ধান্ত ট্রমালিন কোয়ার্টজ বেশিরভাগ শিলাতে, বিশেষত গ্রানাইট এবং বেলেপাথরে বেশি পরিমাণে দেখা যায়, অন্যান্য শিলাতেও এটি শিরা (quartz vein) রূপে অবস্থান করে। গ্রানাইত পাথরে কোয়ার্টজ কাচের মতো দেখতে হয়। কোয়ার্টজ সাধারণত বর্ণহীন, সাদা রঙের। তবে অন্যান্য খনিজের সংমিশ্রণে এটিত অনেক সময় হলদে, ফিকে গোলাপি, বাদামি ও কৃষশু বর্ণেরও হয়ে থাকে। নানাপ্রকার কোয়ার্টজ দেখা যায়। বর্ণহীন কোয়ার্টজের স্ফটিক (crystal) ফটকিরির মতো। সাদা দুধের মতো কোয়ার্টজ স্ফটিককে দুধে কোয়ার্টজ (milk quartz) বলে। এছাড়া গোলাপি (pink), ধোঁয়াটে (smoky) প্রভৃতি নানা ধরনের কোয়ার্টজ হয়। কোয়ার্টজের উজ্জ্বলতা বা দ্যুতি কাচের মতো (glassy lustre)। এটি স্বচ্ছ এবং অস্বচ্ছ দু'রকমেরই হয়ে থাকে। কোয়ার্টজের কাঠিন্য 7 এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.65। অন্যান্য খনিজের মতো এর কোনও সম্ভেদ বা 'ক্লিভেজ' নেই। এর স্ফটিক সাধারণত যম্মিতি বা ষড়ভূজাকৃতি।

    শনাক্তকরণের উপায়:

    আকৃতি-স্ফটিকাকার (ষড়ভূতাকৃতি)।

    বর্ণ-বর্ণহীন, দুধের মতো সাদা বা গোলাপি।

    উজ্জ্বলতা কাচের মতো।

    খনি চূর্ণের বর্ণ- নেই বা সাদা।

    ভগ্নঅংশ-উঁচু-নীচু।

    কাঠিন্য-71

    আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.65।

    গঠন দানাদার।

    বিশেষ ধর্ম-খনিজ স্বচ্ছ বা কাঁচের ন্যায় মনে হয়।

    সিদ্ধান্ত কোয়ার্টজ।

    Specimen No.-15: GYPSUM

    শনাক্তকরণের উপায়:

    ① আকৃতি- দন্ডাকৃতি বা স্তূপাকৃতি।

    ② বর্ণ ধূসর বা সাদা।

    ③ উজ্জ্বলতা- মৃন্ময় বা রেশমি।

    ④ কাঠিন্য- 1.5 থেকে 2.0।

    ⑤ আপেক্ষিক গুরুত্ব- 1.5 থেকে 2.0।


    নবীনতর পূর্বতন

    نموذج الاتصال