বিভিন্ন প্রকার শিলা ও তাদের বৈশিষ্ট্য এবং নমুনার শনাক্তকরণ (types of rock & its characteristic and sample identification)
ভূ-পৃষ্ঠ যেসব শিলা দ্বারা গঠিত সেগুলোর মূল উপাদান বিভিন্ন খনিজ। ভূতত্ত্ববিদগণের মতে দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে যে পদার্থের সৃষ্টি হয় তাই শিলা। অবশ্য কোনও কোনও শিলা কেবলমাত্র একটি খনিজ দ্বারা গঠিত। পৃথিবীর উৎপত্তির পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্রমান্বয়ে শিলাগুলো গঠিত হয়েছে এবং এখনও শিলার গঠন কাজ অবিরত চলছে: সুতরাং শিলা সম্বন্ধে বাস্তব জ্ঞান লাভ করতে হলে সর্বপ্রথম শিলা যেসব খনিজ উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত, সেগুলো সম্বন্ধে বিশেষ পরিচয় থাকা প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে, আমরা খনিজের জগতে বাস করছি। বিভিন্ন প্রকার খনিজ পদার্থ মানুষের শরীরের পুষ্টি সাধন করে। পশু-পাখি, উদ্ভিদ, মানুষ ও অন্যান্য জীবজন্তুর জীবন নিয়ন্ত্রণকারী মাটি বিভিন্ন খনিজ ও শিলার মিশ্রণ মাত্র।
উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে শিলাসমূহকে প্রধান তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা-
আগ্নেয় শিলা (igneous rocks)
পাললিক শিলা (sedimentary rocks)
রূপান্তরিত শিলা (metamorphic rocks)
Specimen No.-1: GRANITE
উৎপত্তি গ্রানাইট উদবেদী আগ্নেয় শিলার অন্তর্গত। ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পেরে ভূগর্ভের মধ্যেই অনেক নিচে বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন① হয়ে গ্রানাইট শিলায় পরিণত হয়েছে। এই কারণে একে পাতালিক শিলাও বলে। খুব ধীরে ধীরে শীতল হয় বলে গ্রানাইট শিলার কণাগুলি খুব বড় ও স্পষ্ট হয় এবং একটি অপরটির গায়ে ঘনিষ্ঠভাবে লেগে থাকে। এই কারণে এই শিলার নাম গ্রানাইট (granite) হয়েছে। গ্রানাইট শিলার কণাগুলি প্রায় সমান আকৃতির হয় বলে একে সম-আকৃতির কণাযুক্ত শিলাও বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য -কোয়ার্টজ, ফেলম্পার (অর্থোক্রেজ) ও অভ্র (শ্বেত ও কৃষ্ণ বর্ণের) প্রধানত এই তিনটি খনিজের সমষ্টির দ্বারাই গ্রানাইট শিলা গঠিত হয়। তবে কখনও কখনও হর্ণব্লেন্ড (hornblend) গ্রানাইটের অংশীভূত হয়। উত্তপ্ত গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা ঠান্ডা হওয়ার সময় ম্যাগমা থেকে প্রথমে হর্ণব্রেন্ড ও কৃষ্ণ অভ্র, তারপর ফেলস্পার এবং সবশেষে কোয়ার্টজ আলাদা হয়ে যায়। এর ফলে কোয়ার্টজের কেলাস সুচারুরূপে গঠিত হয় না। গ্রানাইট শিলায় সিলিকার অংশ খুব বেশি পরিমাণে (60%-এর বেশি) থাকে বলে একে আম্লিক শিলা (acid rock) বলে।
শনাক্তকরণের উপায়:।
গঠন- কোয়ার্টজ, ফেলস্পার এবং বাইওটাইট ও কখনও কখনও হর্ণব্লেন্ড থাকে।আকৃতি স্ফটিকাকার।
বর্ণ-গোলাপি, সাদা ও কালো দাগযুক্ত।U
গ্রথন মোটা থেকে মাঝারি দানা।
আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.63-2.751
সিদ্ধান্ত - গ্রানাইট (আগ্নেয় শিলা)।
Specimen No.-2: BASALT
উৎপত্তি ব্যাসস্ত নিঃসারী আগ্নেয় শিলার অন্তর্গত। ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠে এসে ঠান্ডা বায়ুর সংস্পর্শে তাড়াতাড়ি শীতল ও কঠিন হয়ে ব্যাসল্ট শিলায় পরিণত হয়।
বৈশিষ্ট্য - এটি তাড়াতাড়ি জমে যায় বলে কণাগুলি খুব সুক্ষ্ম। ব্যাসন্তকালো অথচ গাঢ় বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। পাইরক্সিন ও চুন জাতীয় প্ল্যাটিওক্লেজ ব্যাসল্ট শিলার প্রধান খনিজ। এছাড়া লোহা, অলিভাইন, ইলমেনাইট, হর্ণব্লেন্ড খনিজও এতে দেখতে পাওয়া যায়। ব্যাসল্ট শিলার একটি বৈশিষ্ট্য হল, এর স্তম্ভাকৃতি দারুণ (columnar jointing)। ব্যাসল্ট শিলায় সিলিকার অংশ কম (45%-55%) বলে একে ক্ষারকীয় শিলা (basic rock) বলা হয়।।
শনাক্তকরণের উপায়:
গঠন- সোভালাইম, বাইওটাইট ও প্রধানত প্ল্যাটিওক্রেজ ফেলস্পার, কখনও কখনও অলিভাইন, হর্নব্লেন্ড ইত্যাদি।
আকৃতি-সুক্ষ্ম কেলাসযুক্ত থেকে অনুজ্জ্বল কেলাসিত।
বর্ণ-গাঢ় ধূসর, কালো বা কালচে সবুজ।
বুনন (texture)- সূক্ষ্ম কণাযুক্ত, কখনও কখনও কাচের মতো।
আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.81
সিদ্ধান্ত - ব্যাসল্ট (আগ্নেয় শিলা)।
Specimen No.-3: GABBRO
বৈশিষ্ট্য - গ্রানাইটের মতো এই শিলা ভূগর্ভের অনেক নিচে অতি ধীরে ধীরে বহু বছরে শীতল, কেলাসিত ও কঠিন হয়ে গঠিত হয়; তাই এই শিলা পাতালিক শ্রেণির। এতে ক্ষারকীয় অক্সাইড বেশি থাকে; তাই একে ক্ষারকীয় শিলা বলে (সিলিকা 45%-55% এর মধ্যে Al, Fe, Na, K, Mg প্রভৃতি 45%-এর বেশি থাকে)। গাঢ় ধূসর বর্ণের এমনকি কালো রঙেরও গ্যাব্রো দেখা যায়। গৃহ-নিমাণ ও রাস্তাঘাট তৈরির কাজের ব্যবহার প্রচলিত।
শনাক্তকরণের উপায়:
গঠন- ক্যালাসীয় প্ল্যাজিওক্রেজ, পাইরক্সিন, অলিভিন।
বর্ণ-গাঢ় ধূসর, এছাড়াও কালো হয়।
আকৃতি-স্ফটিকাকার।
বুনন-বড় কণাযুণ্ড।
সিদ্ধান্ত- গ্যারো (আগ্নেয় শিলা).
Specimen No.-4: PEGMATITE
বৈশিষ্ট্য তিন সেমি বা তার থেকেও বড় দানার আগ্নেয় শিলাকে পেগমাটাইট বলে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পেগমাটাইটের এক-একটি কেলাস বহু মিটার, এমনকি 60-70 মিটারও হয়ে থাকে। সাধারণভাবে পেগমাটাইটের খনিজ সংযুক্তি গ্রানাইটের অনুরূপ হলেও ক্ষেত্রবিশেষে অন্যান্য আগ্নেয় শিলারও পেগমাটাইত হয়। তবে সেগুলিকে সেইসব আগ্নেয় শিলার নামে চিহ্নিত করা হয়। যেমন-গ্যাব্রো-পেগমাটাইট, সায়েনাইট পেগমাটাইট ইত্যাদি। পেগমাটাইটের উৎপত্তির কারণ অনুমান করা হয় উদ্বায়ী পদার্থ সমৃদ্ধ সিলিকেট ম্যাগমার অতি ধীর কেলাসন। রূপান্তরিত শিলাময় ভূখণ্ডে পাওয়া পেগমাটাইটে আঞ্চলিক শিলার আত্তীকরণের প্রমাণ স্বরূপ গারনেট এবং অনুরূপ বিশিষ্ট রূপান্তরিত খনিজ কেলাস দেখা যায়।
শনাক্তকরণের উপায়।
গঠন- কোয়ার্টজ, ফেস্পার, মাসকোভাইট, বায়োটাইট।
বর্ণ- হালকা রঙের (light colour)।
আকৃতি extremely cones)
আপেক্ষিক গুরুত্ব- মধ্যম প্রকৃতির (medium)
সিদ্ধান্ত পেগমাটাইট (আগ্নেয় শিলা)।
Specimen No.-5: DOLERITE
শনাক্তকরণের উপায়:গঠন- ক্যালসিয়াম পূর্ণ, প্ল্যাজিওক্লেজ ফেলার এবং পাইরক্রিন দ্বারা গঠিত। এর মধ্যে অগাইট, কোয়ার্টজ, ম্যাগনেটাইট এবং অলিভিন থাকে।
আকৃতি- স্তূপাকৃতি ও কেলাসিত।
বর্ণ- গাঢ় ধূসর।
প্রথন- মাঝারি ব্যাসবিশিষ্ট দানা (0.5-5.0 মিলিমিটার)
আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.64 থেকে 3.12।
সিদ্ধান্ত: ডলেরাইট (উপ-পাতালিক শিলা)।
Specimen No.-6: SANDSTONE
উৎপত্তি বেলেপাথর পাললিক শিলার অন্তর্গত। বালির কণা জমাট বেঁধে যে শিলা গঠিত হয়, তাকেই বেলেপাথর বলে।
বৈশিষ্ট্য- বেলেপাথরে বালুর কণাগুলো সাধারণত কোয়ার্টজ, বালুর কণাগুলো প্রধানত গোলাকার। কোয়ার্টজের কণাগুলো ছোটো ছোটো। অতি সুক্ষ্ম কলাবিশিষ্ট বেলেপাথরাকে সিল্টস্টোন (siltstone) এবং নুডি আকৃতির কণা বিশিষ্ট বেলেপাথরকে কংগ্লোমারেট (conglomerate) বলা হয়। সিলিকন বা ওইরকম কোনও উপাদানের সংস্পর্শে কঠিন হলে এই শিলা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, উপাদান ভেদে বেলেপাথরের রং লাল এবং হলুদ হয়। বালুর কণাগুলো সিলিকা, ক্যালশিয়াম কার্বোনেট বা কেওলিন দ্বারা জমাটবন্ধ হলে তার রং লাল বা বাদামি হয়। বেলেপাথরের কণাগুলো সংযোগ সাধক পদার্থের চেয়ে কঠিন। এজন্য এগুলো ভাঙলে কঠিন কণাগুলো অক্ষুণ্ণ থাকে কিন্তু জমাটবদ্ধকারী পদার্থ ভেঙে যায়। সিলিকা দ্বারা গঠিত বেলেপাথর খুব কঠিন, ফলে ইহা গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়।
শনাক্তকরণের উপায়:
গঠন- কোয়ার্টজ ও কিছু ম্যাগনেশিয়াম খনিজ।
আকৃতি- স্তরায়িতশ
বর্ণ-ধূসর হলুদ, লালচে খয়েরি।
বুনন- সুক্ষ্মদানা থেকে মোটা।
আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.5।
সিদ্ধান্ত: বেলেপাথর (পাললিক শিলা)।
Specimen No.-7: LIMESTONE
উৎপত্তি ক্যালশিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অধঃক্ষিপ্ত (chemically precipitated) হয়ে জমাট বেঁধেচুনাপাথরে পরিণত হয়। সামুদ্রিক জীব জন্তুর দেহাবশেষ থেকেও চুনাপাথর তৈরি হয়ে থাকে। ফোরামিনিফেরা, প্রবাল, ক্রিনয়েড প্রভৃতি সামুদ্রিক কাঁট সমূদ্রের জল থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়াম কার্বোনেট সংগ্রহ করে তাদের খোলা তৈরি করে। এসব কীটের মৃত্যুর পর তাদের খোলাগুলি সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে অবশেষে চুনাপাথরে পরিণত হয়।
বৈশিষ্ট্য চুনাপাথর যে ক্যালশিয়াম কার্বোনেতদ্বারা গঠিত, তা অল্প একটু লঘু অ্যাসিডের উপর প্রয়োগ করলেই বোঝা যায়। সামান্য পরিমাণ লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড চুনাপাথরে দিলে চুনাপাথর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO) গ্যাস বের হবে এবং চুনাপাথর থেকে বুদবুদ উঠবে। চুনাপাথর সাধারণত ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহাবশেষ থেকে কার্বন যদি চুনাপাথরের সঙ্গে বেশি পরিমাণে মিশ্রিত থাকে তবে চুনাপাথরের রং কালো হয়। চুনাপাথর ক্যালসাইট (calcite) দ্বারা গঠিত হয় বলে যথেষ্ট নরম এবং এর কাঠিন্য ও হয়।
চুনাপাথরের শ্রেণিবিভাগ
1. মার্ল (marl): এতে ক্যালশিয়াম কার্বোনেট ছাড়া কাদার পরিমাণ বেশি থাকে। ইহা বিশুদ্ধ চুনাপাথর নয়।
2. ককুইনা (coquina): এটি প্রধানত সামুদ্রিক কীটের চুন। জাতীয় খোলা দ্বারা গঠিত।
3. খড়িমাটি (chalk): মিহি দানাবিশিষ্ট যেসব চুনাপাথর কোমল সেগুলোকে খড়িমাটি বলে। এটি ক্যালশিয়াম কার্বোনেট দ্বারা গঠিত। এটি প্রধানত ফোরামিনিফোরা প্রভৃতি সামুদ্রিক কীটের চুনজাত খোলা থেকে সৃষ্টি হয়: খড়িমাটি জাত মাটি উর্বর।
4. উলিটিক চুনাপাথর (olitic limestone): এর কণাগুলো খুব ছোটো ছোটো মাছের ডিমের মতো দেখায়।
5. ডলোমাইট (dolomite): চুনাপাথরে ক্যালশিয়াম কার্বোনেট ছাড়াও যখন ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেটের পরিমাণ বেশি থাকে।
শনাক্তকরণের উপায়:
① গঠন- ক্যালশিয়াম কার্বোনেট, বালি ইত্যাদি।
② আকৃতি-স্তূপাকৃতি, অকেলাসিত।
③বর্ণ- সাদা, ধূসর ও সবুজ।
④গ্রথন- সূক্ষ্ম থেকে মোটা দানা।
⑤ কাঠিন্য 4 থেকে 5. লোহার ছুরিতে দাগ কাটে।
⑥ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য- শেল জাতীয় জীবাশ্ম, মৃদু অ্যাসিডে বুদবুদ ওঠে।
সিদ্ধান্ত- চুনাপাথর (পাললিক শিলা)।
Specimen No.-8: MUDSTONE OR SHALE
বৈশিষ্ট্য - কাদাপাথর বা শেল সুক্ষ্ম-সুক্ষ্ম কাদা ও পলিমাটি দ্বারা স্তরে স্তরে গঠিত হয় হ্রদ বা সমুদ্রে। এই শিলা ধূসর বা মলিন রঙের। তবে লাল, কালো, হলদে প্রভৃতি বর্ণেরও কাদাপাথর দেখা যায়। কাদা জমাট বেঁধে এই শিলার উৎপত্তি হওয়ার জন্য একে কাদাপাথর বলে। কাদা, অভ্র, কোয়ার্টজ, ① ফেলস্পার প্রভৃতি এই পাথরের প্রধান উপাদান। এই শিলা কঠিন নয়। বাসনপত্র থেকে শুরু করে নানারকম জিনিসপত্র তৈরির কাজে কাদাপাথর ব্যবহৃত হয়।
শনাক্তকরণের উপায়:
*গঠন-কোয়ার্টজ, ফেলস্পার ও অভ্র।
*আকৃতি- অনিয়তাকার।
*বর্ণ-ধূসর।
*বুনন- স্তরায়ণ লক্ষ্য করা যায়, সূক্ষ্ম গ্রথন যুক্ত।
*কাঠিন্য নরম প্রকৃতির।
*আপেক্ষিক গুরুত্ব-নিম্ন প্রকৃতির।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য- জলে ভেজালে কাদার মতো গন্ধ পাওয়া যায় এবং নখে দাগ কাটলে আঁচড় লাগে।
সিদ্ধান্ত - শেল (পাললিক শিলা)।
Specimen No.-9: CONGLOMERATE
বৈশিষ্ট্য- যে পাললিক শিলার প্রধান উপাদান মসৃণ কিনার-বিশিষ্ট শিলাখন্ড, সেই শিলাকে কংগ্লোমারেতবলে। কংগ্লোমারেট এক ধরনের খন্ডসংসক্ত শিলা। এর মধ্যের শিলাখন্ডগুলি আকারে মোটা দানার বালুর চেয়ে বড় (2 মিলিমিটারের বেশি ব্যাসযুক্ত শিলাখন্ড), তবে গন্ডশিলার চেয়ে ছোটো।
শনাক্তকরণের উপায়:
① গঠন-বৃহৎ আকার।
② আকৃতি স্তূপাকৃতি।
③বর্ণ- বিভিন্ন রঙের।
④ বুনন-বৃহৎকণা দ্বারা যুক্ত, অতি কর্কশ দানা।
⑤ আপেক্ষিক গুরুত্ব-উচ্চ প্রকৃতির।
⑥ খনিত-কোয়ার্টজ, ফেলসুপার।
সিদ্ধান্ত - কংগ্লোমারেট (পাললিক শিলা)।
Specimen No.-10: GNEISS
উৎপত্তি সাধারণত গ্রানাইট শিলা রূপান্তরিত হয়ে নিস্ বা নাইস-এ পরিণত হয়। বহু প্রাচীন নিস্ শিলা দেখতে পাওয়া যায়। দাক্ষিণাত্যের মালভূমি প্রাচীন গ্রানাইট নিস্ শিলায় গঠিত।
বৈশিষ্ট্য - এই শিলার কণাগুলি সূক্ষ্ম নয় এবং এরা সমান্তরালভাবে স্তরে স্তরে সুসজ্জিত থাকে। কোয়ার্টজ, অভ্র ও ফেলস্পার নিসের প্রধান উপাদান। এছাড়া হর্ণব্রেন্ড, অগাইতপ্রভৃতিও দেখা যায়।
শনাক্তকরণের উপায়:
*গঠন- ফেলস্পার, কোয়ার্টজ, বাইওটাইট, হর্ণব্লেন্ড ইত্যাদি খনিজের কণাগুলি সমান্তরালভাবে স্তরে স্তরে সাজানো।
*আকৃতি- স্তূপাকৃতি।
*বর্ণ-ধূসর-সাদা বা কালো।
*আপেক্ষিক গুরুত্ব-2.7।
সিদ্ধান্ত - নিম্না নাইস (রূপান্তরিত শিলা)।