প্রতিনিধিত্ব মূলক পরিলেখ বা পার্শ্বচিত্র অঙ্কন (drawing of representative profile)
মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সঠিকভাবে অনুশীলন করতে গেলে উপোমানচিত্রে প্রদর্শিত অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিধিত্ব মূলক পার্শ্বচিত্র অঙ্কন করা প্রয়োজন। এই পার্শ্বচিত্র অঙ্কন করার সময় কতকগুলি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন।
এগুলি হল-
*সাধারণভাবে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্থানের মধ্যে এই পার্শ্বচিত্র অঙ্কন করা হয়। টপোমানচিত্রে সর্বোচ্চ স্থানটি সাধারণত ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বা শৈলশিরার শীর্ষদেশে অবস্থান করে। তাই ওই অঞ্চলের সমোন্নতি রেখা, স্পট হাইট বা ত্রিকোণমিতীয় উচ্চতা দেখে সর্বোচ্চ স্থানটি⑤ নির্ণয় করতে হবে।
*টপোমানচিত্রে অবস্থিত সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্থান দুটিকে একটি সরলরেখা দ্বারা যুক্ত করতে হবে এবং এই সরলরেখা বরাবর প্রতিনিধিত্ব মূলক পার্শ্বচিত্র বা ভূ-প্রাকৃতিক প্রস্থচ্ছেদ অঙ্কন করতে হবে।
*তবে উপোমানচিত্রে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্থানবিন্দু দুটির মধ্যে দূরত্ব খুব বেশি হলে খাতায় প্রস্থচ্ছেদ যেমন অঙ্কন করা যায় না, তেমনি দূরত্ব খুব কম হলেও অঞ্চলটির সমস্ত প্রকার ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য দেখানো সম্ভব হয় না।
*এই দুই ক্ষেত্রে মানচিত্র থেকে এমন দুটি স্থানের মধ্যে প্রস্থচ্ছেদ আঁকতে হবে যাতে প্রস্থচ্ছেদটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের হয়, কিন্তু প্রস্থচ্ছেদটির কিছুটা অংশ ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি এবং কিছুটা অংশ নদী গঠিত অঞ্চলের ওপর অবস্থিত হবে। এতে অঙ্কিত প্রস্থচ্ছেদে ভূমিঢালের বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি কোথায় হয়েছে তা সহজে নির্ধারণ করা যায়।
*এবার অঙ্কিত প্রস্থচ্ছেদ থেকে ভূমিঢালের বিচ্যুতির মান কত তা নির্ধারণ করতে হবে। প্রস্থচ্ছেদের যে স্থানে ভূমিঢালের বিচ্যুতি ঘটেছে তার ওপরের অংশ সাধারণ ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি এবং নীচের অংশ নদী গঠিত বা সমপ্রায় ভূমি অন্তর্গত হয়।
*টপোমানচিত্রে প্রদর্শিত অঞ্চলটির সমস্ত ভূপ্রাকৃতিক বিভাগের প্রতিনিধিত্ব মূলক পার্শ্বচিত্র অঙ্কন করতে পারলে অঞ্চলটির ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারা যায় এবং সেগুলিকে সহজে ব্যাখ্যা করা যায়।