welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

নদী ঘনত্ব (drainage density)

নদী ঘনত্ব (drainage density)


ধারণা (Concept)

প্রতি একক ক্ষেত্রফলে নদীখাতের গড় দৈর্থোর প্রেক্ষিতে নদী বাবচ্ছিন্নতার প্রথন (texture of river dissection) নদী ঘনত্ব (drainage density) দ্বারা প্রকাশিত হয়। হর্টনই প্রথম নদী ঘনত্ব পরিমাপের উল্লেখ করেন। নদী অববাহিকার ঘনত্ব বলতে প্রধানত নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপের ঘনত্বকে বুঝায়। অনা কথায় ইহা দ্বারা অববাহিকার ঘনত্ব (নদী ঘনত্ব) বুঝায়। কোনো নদী অববাহিকার মোট নদী দৈর্ঘ্যকে ওই অববাহিকার আয়তন (ক্ষেত্রফল) দিয়ে ভাগ করলে নদী ঘনত্ব পাওয়া যায়। এটি নিম্নলিখিত সমীকরণের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

drainage density=total length of river total basin area

নদী ঘনত্বের সংজ্ঞা(definition of drainage density)

কোনো নদী অববাহিকার মোট নদীর দৈর্ঘ্যকে ওই অববাহিকার ক্ষেত্রফল দিয়ে ভাগ করলে নদী ঘনত্ব পাওয়া যায়।

হটন (1945) নিম্নলিখিত সূত্রের সাহায্যে এটি প্রকাশ করেন-DD-L A

যেখানে, DD = নদী ঘনত্ব, EL = নদীর মোট দৈর্ঘ্য, A =

অববাহিকার ক্ষেত্রফল।

দ্রষ্টব্য:

① হর্টনই প্রথম নদী ঘনত্ব পরিমাপের উল্লেখ করেন।

② নদী ঘনত্ব প্রকাশ করা হয় কিমি/বর্গকিমি অথবা মাইল/বর্গমাইল-এ।

③ হর্টন কর্তৃক গৃহীত পদ্ধতিতে সমগ্র নদী-অববাহিকার জন্য কেবলমাত্র একটি মান নির্ণয় করা হয়।

④ নদী দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য রোটামিটার নামক যন্ত্রের ব্যবহার হয়।

⑤ নদীর ঘনত্ব কোন বিশেষ অঞ্চলের উপর দিয়ে নদী প্রবাহের পরিমাণকে নির্দেশ করে।

নদী ঘনত্বের গুরুত্ব(importance of drainage density)

কোনো অঞ্চলের ভূমিরূপের ক্ষেত্রে সেই অঞ্চলের জলনির্গম প্রণালী যেমন নির্ভর করে তেমনই জলনির্গম প্রণালী দ্বারা সেই অঞ্চলের ভূমিরূপ নির্ধারিত হয়। অতএব ভূমিমরূপের বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে নদীর ঘনত্ব (drainage density) নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ।

নদী ঘনত্বের নিয়ন্ত্রণকারী উপাদানসমূহ (controlling factors of drainage density)

নদী অববাহিকার সর্বত্র ঘনত্ব সমান হয় না, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ঘনত্ব আলাদা। নদী ঘনত্বের এই বৈচিত্র্যের মূল কারণ বা নিয়ন্ত্রকগুলি হল- (1) শিলার প্রবেশ্যতা, (ii) শিলার কাঠিন্য বা ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা, (iii) শিলার ফাটল, দারণ (joints), (iv) ভূমির ঢাল, (v) উদ্ভিদ আচ্ছাদনের পরিমাণ, (vi) জলবায়ু, (vii) ভৌমজলস্তরের অবস্থান, (viii) ভৌমজল-স্তরের অনুস্রাবণের প্রকৃতি এবং (ix) পৃষ্ঠপ্রবাহের পরিমাণ।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র হইতে নদী ঘনত্ব নির্ণয় পদ্ধতি (method of determination of drainage density from topographical map)

নদী ঘনত্ব নির্ণয়ের জন্য ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র থেকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা হলো। যথা-

ধাপ- ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের স্কেল 1:50,000 (1 cm to 500 m) হলে প্রথম পর্যায়ে মানচিত্রের নির্বাচিত (10 সেমি × 12 সেমি) অংশটিকে 2 সেমি x2 সেমি ছোটো গ্রিডে (মোট ১০ টি গ্রিড) অর্থাৎ এক বর্গ কিমি অনুযায়ী ভাগ করে গ্রিডগুলিকে স্তম্ভ ও সারি (column & row) অনুযায়ী সংখ্যা ও ইংরেজি অক্ষর এর সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়।

ধাপ- প্রতিটি গ্রিডের নদীর দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে পুনরায় মানচিত্রের স্কেল অনুযায়ী কিমিতে নদীর দৈর্ঘ্য রূপান্তরিত করে গ্রিডের অবস্থান অনুযায়ী সারণির মধ্যে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হল।

ধাপ- কিমিতে প্রাপ্ত নদীর দৈর্ঘ্যকে গ্রিডের ক্ষেত্রফল (1 বর্গ কিমি) দিয়ে ভাগ করে ভাগফলকে প্রতিটি গ্রিডের জন্য প্রাপ্ত নদী ঘনত্ব সারণির মধ্যে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হল।

অতএব, উক্ত পদ্ধতিতে Survey of India কর্তৃক প্রকাশিত 1:50,000 স্কেলের ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের (73)/9) ওপর (10 cm x 12 cm) চিহ্নিত এলাকার গ্রিডভিত্তিক নদী ঘনত্ব নির্ণয় করা হলে.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01