হর্টন ও স্টুলারের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা (comparative discussion between Horton & Strahlar)
সাদৃশ:
হর্টনের নদী ক্রম প্রথমদিকে নির্ণয় করা সহজ। স্টুলারের মতনই যে সব নদীর কোনো উপনদী নেই, সেই সব নদী প্রথম পর্যায়ের ক্রম। আবার দুটি প্রথম পর্যায়ের নদী মিলে দ্বিতীয় পর্যায়ের নদী সৃষ্টি হবে। দুটি দ্বিতীয় পর্যায়ের নদী মিলে তৃতীয় পর্যায়ের নদী সৃষ্টি হবে ইত্যাদি। এই পর্যন্ত উভয়ের শ্রেণিক্রম নির্ণয়ের মধ্যে সাদৃশ্য আছে।
বৈসাদৃশ:
কিন্তু হর্টনের ক্ষেত্রে শেষ পর্যায়ের নদী হবে প্রধান নদী। সেইক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নদীর দৈর্ঘ্য হবে সবচেয়ে বেশি এবং দীর্ঘতম নদীটিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নদী ধরতে হবে। (তা যদিও প্রথমে প্রথম পর্যায়ের নদী হতে পারে) এভাবে পরবর্তী দীর্ঘতম নদী হবে দ্বিতীয় প্রধান নদী ইত্যাদি। এবং সেইভাবে দীর্ঘতম নদী, দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদীকে পুনরায় নদীর মস্তকদেশের দিকে পুনরায় নম্বরযুক্ত (renumbering) করতে হবে। এটি নিঃসন্দেহে পরিশ্রমসাধ্য কাজ। কারণ নদীগুলিকে একবার শ্রেণিবিভাগ করে পুনরায় নম্বর (renumber) যুক্ত করতে হয়। তবে এই পদ্ধতিতে প্রধান নদীর দৈর্ঘ্য তথা উৎসও অপরিবর্তিত থাকে হর্টনের এই শ্রেণিবিভাগ বিজ্ঞানসম্মত, কারণ যে কোন প্রধান নদীর উৎসস্থল ও মোহনা থাকে।
উপসংহার:
স্ট্রলার ও হর্টনের শ্রেণিবিভাগের এই সব জটিলতা দূর করতে নদীগুলিকে পুনরায় নদীক্রমের শ্রেণিবিভাগ করার ঝুঁকি নেননি। তার ফলে তাঁর মতে নদীর ক্রম নির্ণয় করা সহজসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু এতে করে প্রধান নদীর আয়তন ছোটো হয়ে যায় তথা তার উৎসস্থলও থাকে যা বিজ্ঞানসম্মত নয়।