welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

সংজ্ঞাভিত্তিক / সংক্ষিপ্ত বিষয়(Definition wise / Short Type Content)

সংজ্ঞাভিত্তিক / সংক্ষিপ্ত বিষয়(Definition wise / Short Type Content)


অন্তর্জাত প্রক্রিয়া (Endogenetic Process)

যেসকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্ট অন্তর্জাত শক্তিগুলি আকস্মিক বা ধীরভাবে ভূত্বকের পরিবর্তন ঘটায়, তাদের একত্রে অন্তর্জাত বা ভূ-অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া বলা হয়; যথা-ধীর আলোড়ন বা আকস্মিক আলোড়ন (slow or sudden movement)। এই শক্তিকে ভূগাঠনিক শক্তি বলে। এই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভূমিরূপগুলি (পর্বত, মালভূমি ও সমভূমি) গঠিত হয় আকস্মিকভাবে কিংবা ধীরগতিতে।

আকস্মিক আলোড়ন (Sudden Movement)

যেসব ভূ-আলোড়ন হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন করে, তাকে আকস্মিক আলোড়ন বলে, যথা- (i) অগ্ন্যুৎপাত এবং (ii) ভূমিকম্প। অন্তর্জাত আলোড়ন হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যে আসে এবং দ্রুত ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়। আকস্মিক আলোড়ন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং সিসমোগ্রাফ প্রভৃতি যন্ত্রের দ্বারা পরিমাপ করা যায়। ভূমিকম্প, আগ্নেয়োচ্ছ্বাস প্রভৃতি আলোড়ন ক্ষণস্থায়ী। কিছু ভূমিকম্প অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। আকস্মিক আলোড়ন সীমিত অঞ্চলে দেখা যায় এবং ভূত্বক পরিবর্তনে প্রভাবও কম। এরূপ আলোড়ন উল্লম্বভাবে কাজ করে, তবে অত্যন্ত বিধ্বংসী প্রকৃতির হয়। আকস্মিক আলোড়নে অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্প উদ্ভূত বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠিত হয়।

গিরিজনি ভূ-আলোড়ন (Orogenic Movement)

গ্রিক শব্দ 'oros' কথার অর্থ পর্বত ও 'genesis' কথাটির অর্থ সৃষ্টি। এর থেকে গিরিজনি কথাটির উদ্ভব হয়েছে। গিরিজনি আলোড়ন হল একপ্রকার ধীর অন্তর্জাত প্রক্রিয়া। অর্থাৎ যে আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করে অর্থাৎ ভূত্বকের কোথাও সংনমন-এর ফলে সংকোচন অথবা কোথাও টান-এর ফলে প্রসারণ ঘটিয়ে ভাঁজ-সমৃদ্ধ ভঙ্গিল পর্বত গঠন করে, তাকে গিরিজনি আলোড়ন বলে। এই আলোড়ন ভূ-অভ্যন্তরে অনুভূমিকভাবে কাজ করে। এই প্রকার ভূ-আলোড়নের জন্য ভূত্বকের কোথাও সংকোচন এবং প্রসারণ হয়। এই ভূ-আলোড়নের প্রভাব বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দেখা যায়। ভু-আলোড়নের ফলে পর্বত বা উচ্চভূমির সৃষ্টি হয়।

গৌণ তরঙ্গ (Secondary Wave)

ভূমিকম্পে গৌণ তরঙ্গ ? তরঙ্গের পরে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায়। এজন্য একে গৌণ বা মাধ্যমিক তরঙ্গ বলে। তরঙ্গ যেদিকে যায় তার সমকোণে শিলা কেঁপে ওঠে। এই তরঙ্গোর দৈর্ঘ্য P তরঙ্গঙ্গ অপেক্ষা সামান্য বড়ো হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে এই তরঙ্গা তির্যকভাবে অগ্রসর হয়। এই তরঙ্গাকে দেহতরঙ্গঙ্গ বলা হয়। এই তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে অল্প-স্বল্প ক্ষতিসাধন করে। তরঙ্গের স্থায়িত্ব অধিক সময় হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ধীর আলোড়ন (Slow Movement)

এই অন্তর্জাত আলোড়ন অতি ধীরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্রিয়াশীল এবং ধীরে ধীরে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়। ধীর আলোড়ন এতই ক্ষীণগতিসম্পন্ন যে পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ভূমিরূপের ধীর পরিবর্তন বোঝা যায়। বিভিন্নযুগে আলোড়নের মাত্রার সামান্য পরিবর্তন ঘটলেও আদিকাল থেকে একইভাবে কাজ করে চলেছে। ধীর আলোড়ন বিশ্বব্যাপী যা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দেখা যায় এবং ভূমিরূপ পরিবর্তনে এর প্রভাব ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। এরূপ আলোড়ন শিলামণ্ডলে উল্লম্ব ও অনুভূমিক উভয় দিকে কাজ করে, তবে কম বিধ্বংসী এবং ভূমিরূপ গঠনমূলক। ধীর আলোড়নে ভাঁজ, চ্যুতি, ভঙ্গিল পর্বত, স্তূপ পর্বত প্রভৃতি ভূমিরূপ গঠিত হয়।

পার্শ্ব তরঙ্গ (Lateral Wave)

মুখ্য ও গৌণ তরঙ্গের মিলিত শক্তির প্রভাবে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সৃষ্ট তরঙ্গকে পার্শ্ব তরঙ্গা বলে। তরঙ্গ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাই উপকেন্দ্রের চারিপাশের শিলা কেঁপে ওঠে। এই তরঙ্গোর দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হয়। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে এই তরঙ্গ ঢেউয়ের মতো অগ্রসর হয়। এই তরঙ্গকে পৃষ্ঠতরঙ্গ বলা হয়। এই তরঙ্গ সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক। এর প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক হয়।

প্রাথমিক তরঙ্গ (Primary Wave)

ভূমিকম্পে প্রাথমিক তরঙ্গ সর্বপ্রথম ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায় এবং কম্পন অনুভূত হয়। এজন্য একে প্রাথমিক তরঙ্গ বলে। তরঙ্গ যেদিকে যায়, তার সমান্তরালে শিলা কেঁপে ওঠে। এই তরঙ্গের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোটো হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে এই তরঙ্গ লম্বভাবে অগ্রসর হয়। ভূত্বকে জোরে ধাক্কা দেয় বলে একে ধাক্কা তরঙ্গ বলা হয়। এই তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে বিশেষ ক্ষতিসাধন করে না। শুধুমাত্র ভূত্বকে আঘাত হানে।

বহির্জাত প্রক্রিয়া (Exogenetic Process)

পৃথিবীপৃষ্ঠের বাইরের শক্তিসমূহ (নদীপ্রবাহ, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ ইত্যাদি) যে পদ্ধতিতে পৃথিবীপৃষ্ঠের ভূমিরূপের পরিবর্তন তথা নগ্নীভবন ঘটায়, সেগুলোই হল বহির্জাত প্রক্রিয়া। এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় প্রধান ভূমিরূপের উপর নানা ধরনের ছোটো ভূমিরূপ তৈরি হয়।

ভূকম্পছায়া অঞ্চল (Seismic Shadow Zone)

P তরঙ্গের প্রতিসরণ এবং তরল বহিঃকেন্দ্রমন্ডলের মধ্য দিয়ে ১ তরঙ্গ প্রবেশ করতে না পারার কারণে পৃথিবীর সব জায়গায় ভূকম্পতরঙ্গ সমানভাবে পৌঁছতে পারে না। এই না-পৌঁছতে পারা অঞ্চলকে ছায়া অঞ্চল (Shadow Zone) বলে। হিসেব করে দেখা গেছে ভূমিকম্পের কোনো উপকেন্দ্র থেকে 103°-142° কৌণিক দূরত্বের অঞ্চলে ভূমিকম্পের কোনো তরঙ্গ পৌঁছতে পারে না। এই অঞ্চল তাই ভূকম্পছায়া অঞ্চল নামে পরিচিত।

ভূগাঠনিক আলোড়ন (Tectonic Movement)

যে আলোড়ন ভূত্বকের আপেক্ষিক স্থানান্তর ঘটায় এবং বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে ভূগাঠনিক ও টেকটনিক মুভমেন্ট বলে। গ্রিক শব্দ 'টেকটন' (tecton) কথার অর্থ হল-নির্মাণ বা গঠন। অর্থাৎ এই আলোড়ন ভূত্বকে সরাসরি বিভিন্ন গাঠনিক ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। এই ভূগাঠনিক আলোড়ন দু-প্রকারের হয়, যথা-মহিভাবক ভূ-আলোড়ন ও গিরিজনি ভূ-আলোড়ন।

ভূমিকম্পের কেন্দ্র (Focus)

ভূ-অভ্যন্তরে যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ভূ-অভ্যন্তরে 16 কিমি গভীরতায় চ্যুতিরেখাতে সর্বাধিক অবস্থান করে। তবে 700 কিমি গভীরতারও সৃষ্টি হয়। কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন কম্পন P তরঙ্গের মাধ্যমে উল্লম্বভাবে এবং ১ তরঙ্গের মাধ্যমে তির্যকভাবে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে কম্পনের মাত্রা খুব কম হয়, কেন্দ্র থেকে উপকেন্দ্রের দিকে কম্পনের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। ভূ-অভ্যন্তরে অবস্থিত হওয়ায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির প্রশ্ন নেই। তবে শিলাস্তরে ফাটল চ্যুতি, স্খলন ঘটে।

ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র (Epicentre)

ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে উল্লম্বভাবে অবস্থিত ভূপৃষ্ঠের ওপরের বিন্দুটিকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে। উপকেন্দ্র ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে উৎপন্ন। তরঙ্গ ভুপৃষ্ঠে চারিদিকে অনুভূমিকভাবে চলাচল করে। উপকেন্দ্রে কম্পনের মাত্রা সর্বাধিক। উপকেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিক দূরত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গ্যে কম্পনের মাত্রা ক্রমশ হ্রাস পায়। এখানে কম্পনের প্রভাবে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক এবং ভূমিরূপেরও সর্বাধিক পরিবর্তন ঘটে।

ভূমিরূপ প্রক্রিয়া (Geomorphic Process)

ভূমিরূপ প্রক্রিয়া ভূমিরূপবিদ্যা আলোচনার মূল উপাদান। কারণ, ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুপৃষ্ঠের উপরিভাগ অর্থাৎ ভূমিরূপ অনবরত পরিবর্তিত হয়ে চলেছে। এই পরিবর্তনে শিলার গুণাগুণ, ভূগঠন, বয়স ইত্যাদি যেমন খুব গুরুত্বপূর্ণ তেমনি জলবায়ুর পরিবর্তন, পর্যায়ন প্রক্রিয়া বা সময় ইত্যাদির গুরুত্বও অপরিসীম। অর্থাৎ, যেসব প্রক্রিয়ায় ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ও বিবর্তন ঘটে, তাদের ভূমিরূপ প্রক্রিয়া (geomorphic process) বলা হয়। ভূমিরূপ প্রক্রিয়াকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-পার্থিব প্রক্রিয়া ও মহাজাগতিক প্রক্রিয়া।

অনুগামী নদী (Consequent River)

উৎপত্তিগত বিচারে নদীকে যে কটি ভাগে শ্রেণিবিভক্ত করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ভাগ হল অনুগামী নদী। ভূমিরূপবিজ্ঞানী পাওয়েল 1875 সালে সর্বপ্রথম অনুগামী নদীর কথা উল্লেখ করেন। যে সমস্ত নদী বা স্থলপৃষ্ঠের প্রাথমিক বা প্রারম্ভিক ঢালকে অনুসরণ করে প্রবাহিত হয়, সেই সমস্ত নদীগুলিকে অনুগামী নদী বলে। অর্থাৎ, যে সমস্ত নদীসমূহ ভূ-পৃষ্ঠের প্রারম্ভিক ঢাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে প্রবাহিত হয়, সেই নদীসমূহই অনুগামী নদী নামে পরিচিত। অনুগামী নদী সাধারণত নব ভূভাগের অর্থাৎ পলল দ্বারা আবৃত সমভূমি, শঙ্কু আগ্নেয়গিরি, হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত সমভূমি, অথবা, উপকূলীয় সমভূমির উপর দিয়ে বিস্তার লাভ করে। অনুগামী নদী মূলত অগভীর ও বিসর্পিল প্রকৃতির হয়ে থাকে। অনুগামী নদীর ভূপৃষ্ঠে সৃষ্টিলাভের পর এই নদীকে কেন্দ্র করে পরবর্তী নদী, বিপরা নদী, পুনর্ভবা নদী ও উপ-অনুগামী নদী জন্মলাভ করে। ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বত বা সহ্যাদ্রির পশ্চিমদিকে প্রবাহিত বশিষ্ট ও পয়স্মিনী নদী অনুগামী নদীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ক্ষয়ের শেষ সীমা (Base Level of Erosion)

J. W. Powell 1875 সালে ক্ষয়ের শেষ সীমা ধারণাটি উপস্থাপন করেন। সমুদ্র জলের উচ্চসীমাকে সমুদ্রতল (base level) হিসেবে ধরা হয়। কারণ পৃথিবীব্যাপী সমুদ্র জলের তেমন ওঠানামা করে না বা লক্ষ করা যায় না। যে সমস্ত নদী সমুদ্রে সবসময় পতিত হয় তারা সমুদ্রের জলতলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্ষয়কাজ করে। পার্বত্য অঞ্চলে ঢাল খুব বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক কারণে নদীর ক্ষয়কার্য অধিক লক্ষ করা যায়। আবার সমভূমি অঞ্চলে ভূমির ঢাল বসে যাওয়ায় নদীর ক্ষয়কার্য কমে যায়। কিন্তু নদী যখন উপকূল অঞ্চলে পৌঁছে যায় তখন নদী আর ক্ষয় করতে পারে না, কারণ নদী ক্ষয়ের শেষ সীমায় পৌঁছায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে সমতা রেখে নদী তার দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্রটি ওপরের দিকে মসৃণ করতে থাকে। তাই সমুদ্র পৃষ্ঠকে নদীর ক্ষয়ের শেষসীমা বলে। অর্থাৎ নদীগর্ভে সর্বনিম্ন উল্লম্ব গভীরতা পর্যন্ত যতটা নদী তার ক্ষয়কার্য চালাতে পারে তাকে নদীর ভূমিক্ষয়ের নিম্ন সীমাতল বলে। ক্ষয়ের শেষসীমা তিন ধরনের যথা- (১) স্থায়ী ক্ষয়ের শেষসীমা (সমুদ্র পৃষ্ঠকে বোঝায়)। (চ) অস্থায়ী ক্ষয়ের শেষ সীমা (হ্রদ কিংবা কঠিন ও কোমল শিলাস্তরকে বোঝায়), (c) স্থানীয় নিম্ন ক্ষয়সীমা (প্রধান নদীর সাথে যেখানে উপনদী মিলিত হয়)।

গোলকাকার আবহবিকার (Sphereodical Weathering)

এটি এক ধরনের রাসায়নিক আবহবিকারের দ্বারা গঠিত ভূমিরূপ। উষুমরু অঞ্চলে মূলত গানাইট শিলা গঠিত অঞ্চলে এই ধরনের ভূমিরূপ লক্ষ করা যায়। ভূ-বিজ্ঞানী গুনিয়ভারের মতে, রাসায়নিক আবহবিকারে হাইড্রোলিসিস প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ জলের সঙ্গে শিলার মধ্যে অবস্থিত খনিজের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে খনিজের রাসায়নিক বিয়োজন এবং স্থানান্তর ঘটে। খনিজের বিয়োজনের ফলে খনিজের স্থানান্তর ঘটে, সেই সলো শিলার বাইরের আস্তরণ আলগা হয়ে বাইরের আস্তরণ বা খনিজ সমৃদ্ধ স্তরটি পিঁয়াজের খোসার মতো খুলে যায় এবং গোলাকাকার আবহবিকার ঘটায়।

নদীগ্রাস (River Capture or Stream Piracy)

যখন কোনো নদী একই অববাহিকার অন্তর্গত কিংবা পাশাপাশি অন্য কোনো প্রতিবেশী অববাহিকায় অন্য কোনো নদীকে গ্রাস করে, অর্থাৎ তার প্রবাহকে নিজের প্রবাহ পথে চালিত করে, তখন তাকে নদী গ্রাস বলে।

নদী গ্রাস ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বলা যায়। যখন দুটি অনুগামী নদী পাশাপাশি প্রবাহিত হলে, তাদের মধ্যে অবস্থানরত জলবিভাজিকার দুই ঢাল থেকে এই দুই অনুগামী নদীর সঙ্গে উপনদী কিংবা পরবর্তী নদী মিলিত হয়। সেই সঙ্গে এও লক্ষ করা যায় যে, ঢালের যেদিকটার নদীগুলি অধিক শক্তিশালী, তার বিপরীত দিকে জলবিভাজিকাটি ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়, এই ঘটনাকে জলবিভাজিকার স্থানান্তর বলে। কিন্তু উপনদী বা পরবর্তী নদীগুলির জলের দ্বারা জলবিভাজিকাটি ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, এই অবস্থায় যে উপনদী অধিক শক্তিশালী হবে, তার ক্ষয়কার্যে তত তাড়াতাড়ি হবে এবং সবশেষে এটি পশ্চাৎদিকে এবং মস্তক দিকে ক্ষয় করে জলবিভাজিকার অপর পার্শ্বে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত দুর্বল উপনদীর মধ্যদিয়ে অনুগামী নদীটি গ্রাস করে। সেইসঙ্গে দুর্বল নদী উপত্যকাটি ক্রমশ অবলুপ্ত হতে থাকে। এই ধরনের ঘটনাকে নদীগ্রাস বলে। ভাগীরথী ও তার শাখা নদীতে এবং তিস্তা নদীতে নদী গ্রাস লক্ষ করা যায়। জাফরিরূপী জলনির্গম প্রণালীতে নদী গ্রাস অধিকভাবে লক্ষ করা গেলেও বৃক্ষরূপী জলনিগম প্রণালীতেও নদী গ্রাস লক্ষ করা যায়।

নদীমঞ্চ বা নদী সোপান বা পলল সোপান (River Terrace or Alluvial Terrace)

'টেরাস' (Terrace): শব্দটি লাতিন শব্দ 'Terracea' থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, যার অর্থ অব্যবহৃত বস্তু দিয়ে তৈরি কৃত্রিম ঢিবি বা উচ্চভূমি। ফরাসি ভাষায় টেরাস শব্দের অর্থ প্ল্যাটফর্ম (platform) ভূ-আন্দোলনের ফলে ভূমিভাগ উন্নিত কিংবা প্রাকৃতিক বা কোনো কারণে সমুদ্রতল থেকে অবনত জলে নদীর পরিণত উপত্যকাকে প্রবলভাবে নিম্নমুখী ক্ষয়ের দ্বারা ক্ষয় করতে থাকে, ফলে নদীর পুরাতন উপত্যকা অপেক্ষা নতুন উপত্যকা অধিক গভীর হয়। ফলে পুরোনো উপত্যকা নতুন উপত্যকার দুপাশে মঞ্চ বা সোপানের মতো অবস্থান করে, একে নদীমঞ্চ বা নদী সোপান বলে।

নদীমঞ্চের ধারণাটিকে অন্যভাবে বলা যায় যে, নদী পরিণত অবস্থায় প্লাবনভূমি বিশিষ্ট উপত্যকার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পুনর্যৌবন লাভ করলে, তখন প্রধান নদী উপত্যকাকে প্রবলভাবে নিম্নমুখী ক্ষয়কার্যের দ্বারা উপত্যকার মধ্যেই একটি নতুন উপত্যকার সৃষ্টি করে এবং দুদিকের প্লাবন ভূমি নতুন গঠিত নদী উপত্যকাটির দুপাশে মঞ্চের মতো উঁচু হয়ে অবস্থান করে, এইধরনের উচ্চভূমিকে নদীমণ্ড বলে। পলল সোপান কথাটি সাধারণত নদীর উৎস অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। মনে রাখা দরকার নদী সোপান ও পালল সোপানের মধ্যে উৎপত্তিগত পার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও নদীর উচ্চ ও মধ্যপ্রবাহে উপত্যকার দুইতীরে প্রস্তরখণ্ড, বালি, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে আসমান যে ধাপের সৃষ্টি করে, তার ফলে নদীর মঞ্চের সৃষ্টি করে, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা নদীতে অসংখ্য নদীমঞ্চের সৃষ্টি হয়েছে।

নদীবর্তন (River Regime)

ভূ-বিজ্ঞানী F. J. Monkhouse-এর মতে নদীবর্তন হল কোনো নদী সময় অনুযায়ী কিংবা ঋতু অনুসারে জলের পরিমাণের হ্রাস বা বৃদ্ধি পাওয়াকে বোঝায়। ভূ-বিজ্ঞানী Philip Lake-এর মতে 'Regime signifies the totality of phenomenon relating to the alimentation of rivers and streams and their variations in outflow' অর্থাৎ নদীতে জলের পরিমাণ, জলস্তরের উচ্চতা এবং জলপ্রবাহের গতিবেগ বেগ-এই তিনটি বিষয় কোনো নদীতে সারাবছর ধরে একই থাকে না। ঋতু অনুসারে এদের পরিবর্তন ঘটে। পরিবর্তনের এই ছন্দটিকে বলা হয় ঋতু পরিবর্তন।

নিক্ পয়েন্ট (Knick Point)

পুনর্যৌবন লাভের জন্য অনেক সময় জন্য অনেক সময় নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্রে ঢালের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে ঊর্ধ্ব উপত্যকার পুরাতন মৃদুঢালের সঙ্গে নিম্ন উপত্যকার নতুন খাড়া ঢালের সংযোগস্থলে খাঁজের সৃষ্টি হয়। একে নিক্ পয়েন্ট বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, নদী সর্বদাই তার ঢালকে পর্যায়িত করতে চায় তাই ভূ-আন্দোলন কিংবা অন্য প্রাকৃতিক কারণে নতুন সমুদ্রতলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে সে তার পূর্বে সৃষ্টি হওয়া প্লাবনভূমির মধ্যেই পুনরায় মোহনা থেকে মস্তকের দিকে ক্ষয়কার্য করতে শুরু করে। এই নতুন ঢালটি পুরাতন ঢালের সঙ্গে যে স্থানে মিলিত হয় তাকে নিক্ পয়েন্ট বলে। সাধারণত নিক্ পয়েন্টে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

পরবর্তী নদী (Subsequent Stream)

ভূমিরূপবিদ্যায় নদীর শ্রেণিবিভাগে থাকা আরেক গুরুত্বপূর্ণ নদী হল পরবর্তী নদী। এই নদীর ইংরাজি প্রতিশব্দ হল subsequent stream । এই subsequent শব্দটি লাতিন শব্দ seque থেকে এসেছে। লাতিন ভাষায় seque-এর অর্থ অনুসরণ করা। যে সমস্ত নদী কোমল শিলার উপর গঠিত হওয়ার পর কোমল শিলাকে ক্রমাগত ক্ষয় করতে করতে পূর্বে অনুগামী নদীর সাথে প্রায় সমকোণে মিলিত হয়, সেই সমস্ত নদীকে পরবর্তী নদী বলে। সাধারণত কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অনুগামী নদীর সৃষ্টির ঠিক পরেই এই প্রকার নদী সৃষ্টিলাভ করে বলে, এর এরূপ নামকরণ। পরবর্তী নদী হল অনুগামী নদীর জন্মের পর অনুগামী নদীর সাথে প্রায় সমকোণে মিলিত হওয়া এক উপনদী। ভারতের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত আসান নদীটি পরবর্তী নদীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই নদীটি প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদীর সাথে প্রায় সমকোণে মিলিত হয়েছে। এছাড়া সোং নদী যা গঙ্গা নদীর সাথে প্রায় সমকোণে মিলিত হয়েছে তা হল পরবর্তী নদীর আরেকটি উদাহরণ।

পর্যায়িত ঢাল (Graded Slope)

W. M. Davis, গিলবার্টকে অনুসরণ করে পর্যায়িত ঢাল ধারণাটির কথা উল্লেখ করেছেন। নদীর গতিপথে নদীর ক্ষয় ও সঞ্চয় কার্যের মধ্যে যদি কোনোরকম পার্থক্য না থাকে, তাহলে নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্রটি সরলরেখার মতো দেখতে হয়, কিন্তু নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্র সমগ্র অবস্থাতেই অবতল আকৃতি বিশিষ্ট হয়। সেই সঙ্গে উপনদীগুলির দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্র সর্বদা প্রধান নদীগুলির দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্রের উপর অবস্থান করে। ফলস্বরূপ সমগ্র অববাহিকা জুড়ে নদী গোষ্ঠীর পার্শ্বচিত্র উৎস থেকে মোহনার দিকে স্বল্প ঢাল বিশিষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে নামতে থাকে। এই ধরনের ঢালকে পর্যায়িত ঢাল বলে। অর্থাৎ নদী পার্বত্য প্রবাহ থেকে সমভূমির উপর দিয়ে মোহনার দিকে যতই অগ্রসর হবে, দৈর্ঘ্য বরাবর পার্শ্বচিত্র ততই মসৃণ হতে থাকবে। সাধারণত সমুদ্র পৃষ্ঠের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নদী তার ঢালের পার্শ্ব অংশগুলিকে মসৃণ করে পর্যায়িত ঢালে রূপান্তরিত করে।

পুনর্যৌবন লাভ (Rejuvenation)

ভূ-বিজ্ঞানী W. M. Davis তাঁর Geographycal Eassy গ্রন্থে ক্ষয়চক্রের বাধা হিসাবে পুনর্যৌবন লাভকে চিহ্নিত করেছেন। একটি ক্ষয়চক্র সম্পন্ন হতে প্রচুর সময় লাগে বলে অনেক সময় ক্ষয়চক্রটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে বার্ধক্য অবস্থায় ক্ষয়চক্রটি চলার সময় ভূমির উত্থান ঘটে। তার ফলে এই উত্থিত অংশে ক্ষয়চক্র আবার নতুনভাবে দ্রুতগতিতে শুরু করে। এর ফলে ভূমিরূপ পুনরায় বার্ধক্য অবস্থা থেকে যৌবন পুনরুজ্জীবন বলে। অর্থাৎ ঢালের বিবর্তনের ফলে সম স্থিতিস্থাপকতায় যে বিস্মিত অবস্থার সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে পুনরায় ভূমির উচ্চতাগত প্রকৃতির যথেষ্ট তারতম্য ঘটে। এর ফলে ক্রিয়াশীল বাহ্যিক শক্তিগুলি পুনরায় অধিক ক্ষয়শক্তি ফিরে পায়। এই ঘটনাকে পুনর্যৌবন বলে। আবার অনেকের মতে, নদীগর্ভের উচ্চতা বেড়ে গেলে কিংবা মোহনায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেমে গেলে নদীর ক্ষয় করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। এইরকম ঘটনা ঘটলে নদীর পুনর্যৌবন লাভ ঘটেছে বলে ধরা হয়। সাধারণত ভূ-আন্দোলনের জন্য ভূপৃষ্ঠের বৃহৎ অঞ্চলের উচ্চতা বেড়ে গেলে সেই স্থানের নদীগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটে। হিমালয়ের প্রায় সর্বত্র নদীখাতে পুনরুজ্জীবনের মিশেল পাওয়া যায়। পুনর্যৌবন লাভ প্রধানত তিনভাবে ঘটে, যথা- (a) গতিময় পুনর্যৌবনলাভ (dynamic rejuvenation), (b) সমুদ্রতলের পুনর্যৌবন লাভ (custatic rejuvenation) এবং (c) স্থিতিশীল পুনর্যৌবন লাভ (static rejuvenation) পুনর্যৌবন লাভের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপগুলি গড়ে ওঠে, সেগুলি হল- (a) উপত্যকায় গঠিত উপত্যকা, (b) নিক পয়েন্ট, (c) নদীমঞ্চ, (d) বর্তিত নদীবাঁক, (e) স্বাভাবিক সেতু, (1) উত্থিত সমপ্রায়ভূমি।

বর্তিত বা খোদিত নদীবাঁক (Incised Meander)

নদীর পুনর্যৌবন লাভের ফলে পুরোনো নদী বাঁধ পার্শ্বক্ষয় ও নিম্নক্ষয়ের দ্বারা বর্তিত হয়, একে বর্তিত বাঁক বলে। অর্থাৎ পরিণত ও বার্ধক্য অবস্থায় নদী সাধারণত বড়ো বড়ো বাঁক নিয়ে প্রবাহিত হয়। সেই সময় পুনর্যৌবন লাভ ঘটলে নদী বাঁকের মধ্যে উল্লম্বভাবে কেটে যেমন বসে যায়, তেমনি পার্শ্বক্ষয় করে সরতে থাকে। ফলে এই ধরনের বাঁকের উৎপত্তি হয়। দক্ষিণ ভারতের কুয়া, গোদাবরী, ভীম প্রভৃতি নদী বিভিন্ন স্থানে 10 থেকে 15 মিটার বর্তিত নদীবাঁকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তিত নদীবাঁধ নদীর পুনর্যৌবনকে নির্দেশ করে।

বর্তিত নদীবাঁধ দুধরনের, যথা- (a) সমঢাল বিশিষ্ট পরিখা বেষ্টিত নদীবাঁক (interenched meander): নদীতে নিম্নক্ষয় বেশি থাকলে নদী সরাসরি বাঁকের মধ্যে কেটে বসে যায় এবং দুপাশে সমান খাড়া প্রাচীর দ্বারা আবৃত থাকে। অর্থাৎ পার্শ্বদেশ অত্যন্ত খাড়া এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। একে সম খাড়া ঢালযুক্ত পরিখা বেষ্টিত নদী বাঁক বলে।

(b) অসম ঢাল বিশিষ্ট ও পরিখাযুক্ত নদীবাঁক (ingrown meander)। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নদীর নিম্নক্ষয় অপেক্ষা পার্শ্বক্ষয় বেশি হলে, নদী যে-কোনো একদিকে সরতে থাকে। অর্থাৎ নদীবাঁকের একপার্শ্বে নিম্নমুখী ক্ষয় অপর পার্শ্বে পার্শ্বমুখী ক্ষয়ের প্রাধান্য বেশি থাকলে নদী উপত্যকার দুই তীর অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এই ধরনের উপত্যকা একপার্শ্বে খাড়া অপর পার্শ্ব মৃদু ঢালযুক্ত হয়, একে অল্প খাড়া পরিখা বিশিষ্ট নদী বাঁক বলে।

বিপরা নদী (Obsequent Stream)

যে সকল নদী প্রধান অনুগামী নদীর বিপরীত দিকে অর্থাৎ, ভূমির সাধারণ ঢালের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে বিপরা নদী বলে। এরা সাধারণ ঢালের বিপরীত দিকে বয়ে যায় বলে এদের anti dip stream বলে। প্রকৃতপক্ষে বিপরা নদী এক ধরনের অনুগামী নদী। কারণ বিপরা নদী পর্বতশ্রেণির ঢাল অনুসরণ করে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ দুই বা তার অধিক ছোটো নদী ভূমির প্রারম্ভিক ঢাল অনুসরণ করে অনুগামী নদী যেদিকে বয়ে যায়, সেদিকে বয়ে না গিয়ে তার বিপরীত দিক থেকে এসে দুর্বল শিলার অংশে পরবর্তী নদীর সহিত মিলিত হয়। অনুগামী নদীর বিপরীতদিক থেকে বয়ে আসা এইসব ছোটো ছোটো নদীগুলিকে বিপরা নদী বলে। ভারতের হিমাচল হিমালয়ের মহাভারত পর্বতশ্রেণির উত্তর ঢালে অনেক নদী প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু শোন, কোশী পশ্চিমদিক থেকে পূর্বদিকে বিপরা নদীরূপে প্রবাহিত হয়েছে। কারণ-এখানে গঙ্গা ও যমুনা প্রধান দুটি অনুগামী নদীর বিপরীতে এই নদীদুটি প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও শিবালিক পর্বতশ্রেণির উত্তর ঢালে এই ধরনের নদী লক্ষ করা যায়.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01