তথ্যসমূহ কীভাবে ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন এবং স্তম্ভ শেখ বা হিস্টোগ্রামের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তা সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর
ফ্রিকোয়েন্সি গালিগন এবং হিস্টোগ্রামের সাহায্যে তথ্যসমূহ প্রকাশ
সাংগ্রীত তথ্যসমূহকে গ্রাফ বা লেখচিজের মাধ্যমে উপস্থাপিত করা যায়। গ্রাফ বা লেখচিত্র প্রধানত দুপ্রকারের হয়- তথ্য পরিবেশক লেখচিত্র এবং ট্রে তাৎপর্য নির্ণায়ক লেখচিত্র। তথ্য পরিবেশক লেখচিত্র হল ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন বা পরিসংখ্যা বস্তুভুজ এবং হিস্টোগ্রাম বা ভঞ্জলেখ।
[1] ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন/পরিসংখ্যা বহুভুজ: ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন প্রকৃতপক্ষে এক বিশেষ প্রকার রৈখিক লেখচিত্র। গ্রাফ কাগজে বিন্দুগুলি উপস্থাপন করার এর সরলরেখার সাহায্যে বিন্দুগুলিকে যুক্ত করে এই জাতীয় গ্রাফ আঁকা হয়। এইভাবে আঁকা রেখার প্রান্ড দুটিকে X-অন্ধের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় যে আবথ ক্ষেত্রটি পাওয়া যায় তাকে রাণিবিজ্ঞানের পরিভাষায় ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন বা পরিসংখ্যা বহুভুজ বলা হয়। এই ধরনের গ্রাফ আঁকার সময় প্রেণিবিভাগের মধ্যমানগুলিকে X-অক্ষের ওপর এবং পরিসংখ্যাকে ৮-অঙ্কের ওপর স্থাপন করা হয়। ফ্রিকোয়েন্সি পলিগনের দৈঘ্য এবং উচ্চতার মধ্যে সমতা বজায় রাখার জন্য X এবং ৮-অঙ্কের একককে 4:3 অনুপাতে নির্বাচন করা হয়। অর্থাৎ স্কোর স্থাপন করার জন্য X-অন্ধের যত সংখ্যক বর্গ একক নেওয়া হবে তার 75% বর্ণএকক -অক্ষে নেওয়া হবে পরিসংখ্যা স্থাপন করার জন্য।
শ্রেণিবাবধানগুলির মধ্যমানের ওপরে পরিসংখ্যা ৮-অক্ষে স্থাপন করা হয়। পরে বিদুগুলিকে সরলরেখা দিয়ে যোগ করা হয় এবং রেখার দুইপ্রান্ডকে X-অক্ষের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়।
[2] হিস্টোগ্রাম বা স্তন্তলেখ বা আয়তলেখ: এই লেখচিত্রটি ফ্রিকোয়েন্সি পলিগনের মতোই পুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সমগ্র শ্রেণিব্যবধানটিকে একটি আয়তক্ষেত্রের সাহায্যে উপস্থাপিত করা হয়। আয়তলেখের ভূমিরেখাটি শ্রেণিব্যবধানের দূরত্বকে নির্দেশ করে। অন্যদিকে উচ্চতা ওই শ্রেণির পরিসংখ্যা দ্বারা সূচিত হয়। শ্রেণিব্যবধানগুলির দূরত্ব সমান থাকে বলে আয়তক্ষেত্রের বা ভন্তলেখের প্রশ্ন সমান হয়। পরিসংখ্যা শ্রেণিসীমার নিম্নসীমার ওপর স্থাপন করা হয়। অন্যদিকে পরিসংখ্যা বহুভুজে শ্রেণিসীমার মধ্যমানের ওপর পরিসংখ্যা স্থাপন করতে হয়। পরিসংখ্যাগুলির স্থাপন করার পর প্রয়োজনমতো সরলরেখা দিয়ে যোগ করে যে অবিচ্ছিন্ন আয়তক্ষেত্র পাওয়া যায়, তাই হল স্তন্তলেখ।