তথ্যাবলির বিন্যাসকরণ কাকে বলে? তথ্যের ছকবিন্যাসের পুরুত্ব কী? ছকের (table) বিভিন্ন অংশগুলি সম্পর্কে লেখো। 1+3+4
উত্তর
তথ্যাবলির বিন্যাস
তথ্যাবলির বিন্যাসকরণ বলতে বোঝায় 'তথ্যগুলিকে যথাযথভাবে সাজানো'। অনেকের মতে, সংগৃহীত তথ্যকে সুবিন্যস্ত ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে তথ্যাবলির বিন্যাস বলা হয়।
তথ্যের স্বকবিগ্যাসের উপযোগিতা
ছক বিন্যাস যে-কোনো তথাকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করে, যা বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্তগ্রহণে সাহায্য করে। তথ্যের হুকবিন্যাসের গুরুত্ব নীচে আলোচনা করা হল-
[ 1]সরলভাবে উপস্থাপন: ছকবিন্যাসের মাধ্যমে যে-কোনো জটিল তথ্য বা রাশিকে তুলনামূলক সরলভাবে উপস্থাপিত করা যায়।
[2] সহজ আলোচনা: সারণিতে সাজানো তথ্যাবলির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা খুবই সহজে করা যায়।
[3] ত্রুটি সংশোধন: হক বিন্যাসের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের মুটিবিচ্যুতি কিছুটা সংশোধন করা যায়।
[4] সামগ্রিক ধারণা: হুকবিন্যাস থেকে তথ্যগুলি সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা লাভ করা যায়।
[5] বৈশিষ্ট চিহ্নিতকরণ: ছকবিন্যাস থেকে পুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলিকে চেনা যায়।
[6] বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত: ছকবিন্যাস খ্যেরাণির বিশ্লেষণে এবং তা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
[7] ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা অনুমান: তথ্য সংগ্রহে কোথাও ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতা থাকলে তা অনুমান করা যায়।
[৪] সহজ কৌশল ব্যবহার: রাশিবিজ্ঞানের বিভিন্ন রকম কৌশল ব্যবহার সহজতর হয়।
ছকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ
ছক তৈরি করার আগে কিছু বিষয় লক্ষ রাখা দরকার, যেমন-
[1] ছক নম্বর: হক তৈরি করার সময়ে ছকের একটি নম্বর দেওয়া হয়।এই নম্বর অনুযায়ী নির্দিষ্ট ছকটি বের করা হয়।
[2] ছক শিরোনাম: ছক নম্বরের ঠিক নিচে ছকের বিষয় বস্তুর ভিত্তিতে যে নাম দেয়া হয় তাকে ছকের শিরোনাম বলে।
[3] স্তম্ভ শীর্ষ: এটি হলো ছকের একেবারে উপরের শাড়ি এতে তথ্যাবলির বিবরণ উপর থেকে নিচে দেখা হয়।
[4] সারি শীর্ষ: ছকের বাঁ দিকের অংশ সারি শীর্ষ থাকে। এতে বিষয়বস্তু বিবিরন দেখা হয়।।
[5] মূল অংশ: এই অংশটিতে রাশি তথ্য গুলি লেখা হয়।
[6] পাদটিকা: সমগ্র ছকে যেসব শব্দ তুলনামূলক কঠিন বা সহজে বোধগম্য নয় তাকে ব্যাখ্যা এই অংশে লেখা হয়।
[7] তারিখ: ছকের কাজটি কোন তারিখে হল তা লিপিবদ্ধ রাখায় জন্য ছকের ডান দিকে কনের তারিখ লেখা হয়।