হিস্টোগ্রাম কাকে বলে? হিস্টোগ্রাম অংকনের পর্যায়গুলো লেখ।
উওর
হিস্টোগ্রাম
আয়তন লেক বা হিস্টোগ্রাম তথ্য প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখচিত্র। পরিসংখ্যা বহুভুজ ক্ষেত্রে পুরো শ্রেণী ব্যবধানটি শুধুমাত্র মধ্যমানের সহায়তায় প্রকাশ করা হয়। কিছু আয়তলেখ বা হিস্টোগ্রাম এর ক্ষেত্রে সমগ্র শ্রেণীবিভাগ টি একটি আয়তক্ষেত্রের সহায়তায় উপস্থাপিত করা হয়। আয় তো লেকের নিচে রেখাটি শ্রেণীবিভাগের দৈর্ঘ্য বা শ্রেণী সীমানা নির্দেশ করে এবং উচ্চতা ওই শ্রেণীর পরিসংখ্যা সূচিত করে। শ্রেণিগুলি দূরত্ব সমান থাকে বলে আয়তক্ষেত্রের প্রস্থ সমান হয়।। তবে পরিসংখ্যা একই প্রকার না হলে তাদের উচ্চতা ভিন্ন প্রকৃতির হয়।
আয়তলেক বা হিস্টোগ্রাম আকার নিয়ম পরিসংখ্যা বহুভুজ অঙ্কনের মতোই। এক্ষেত্রেও X ও Y অক্ষের অনুপাত 70% নিয়মটি মেনে চলা হয়। এক্ষেত্রে X অক্ষরেখাতে উপযুক্ত একক স্থির করে শ্রেণীবিভাগ গুলি বসানো হয় এবং Y অক্ষের উপযুক্ত একক তৈরি করে পরিসংখ্যার মান গুলি বসানো হয়। এরপর প্রতিটি শ্রেণীর নিম্ন সীমা ওপর পরিসংখ্যার জন্য বিন্দুর স্থাপন করা হয়। শেষে এগ্রাফ কাগজের ওপর প্রতিটি বিন্দু থেকে X অক্ষের ওপর একটি লম্বা টানা হয়। এরপর বাঁ দিক থেকে শুরু করে প্রতিটি নম্বরের সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে পরিবর্তন লম্বা রেখা পর্যন্ত X অক্ষের সমান্তরাল রেখা একে একে যুক্ত করে দিতে হয়। এর ফলে যে থামবো আকৃতির গ্রাফ বা লেখচিত্র উৎপন্ন হয় তাকে আয়তলেখ বা হিস্টোগ্রাম বা অবিচ্ছিন্ন স্তম্ভ লেখচিত্র বলে।
হিস্টোগ্রাম বা স্তম্ভ লেক আকার পর্যায়
1. প্রথমে গ্রাম কাগজের ওপর X এবং Y অক্ষ আঁকতে হয়।2. স্তম্ভ লেক আকার ক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রেণীর প্রকৃত নিম্ন সীমা বের করে নিয়ে স্কুল হিসাবে ওই গুলিকেX অক্ষের উপর স্থাপন করতে হয়।। 3. নির্মসীমা গুলিকেX অক্ষের উপর স্থাপন করার সময় মূল বিন্দু (O) থেকে কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে সম দূরত্বের পর পর বিন্দুগুলিকে উপস্থাপন করতে হয়। 4. স্তম্ব লেখবা হিস্টোগ্রাম আকার সময় ফ্রিকোয়েন্সি বন্টনের যতগুলি শ্রেণি থাকে তার থেকে একটি বিন্দু অতিরিক্ত নেয়া প্রয়োজন হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যদি বিভাজনের আটটি শ্রেণি থাকে তাহলে আকার সময় নয়টি শ্রেণী ব্যবধানে বিন্দু নিতে হয়। 5. এরপরY অক্ষের জন্য যথাযথ এক সম্পস্তুত করতে হয় এবং পরিসংখ্যা গুলিকে স্থাপন করতে হয় (এখানেX আক্ষ70% নিয়ম প্রয়োগ করা হয়)।6. এরপর গ্রাফ কাগজের ওপর প্রত্যেকটি বিন্দু থেকে X অক্ষের উপর সমান্তরাল রেখা টেনের যোগ করে দিতে হয়। এমনই ভাবে যে স্তম্ভ আকৃতি গ্রাফ তৈরি হয়, তা হল আয়তলেখ বা স্তম্ভ লেখ বা হিস্টোগ্রাম।