ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় কী বলা হয়েছে? সংবিধানের শিক্ষা সংক্রান্ত ধারা সম্পর্কে কোঠারি কমিশনের অভিমত কী?

উত্তর

ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা

"We, the people of India, having solemnly resolved to constitute India into a sovereign socialist secular democratic republic and to secure to all its citizens Justice, social, economic and political: Liberty of thought, expression, belief, faith and worship: Equality of status and of opportunity and to promote among them all; Fraternity assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation; In our Constituent Assembly this twenty-sixth day of November, 1949, do hereby adopt, enact and give to ourselves this Constitution."

অর্থাৎ, "আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্ররূপে গড়ে তুলতে এবং তার সব নাগরিকই যাতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম ও উপাসনার স্বাধীনতা পায় এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তির মর্যাদা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিতকরণের মাধ্যমে যাতে গতিতের ভাব গড়ে ওঠে তার জন্য শক্ত নিষ্ঠার সঙ্গে শপথ গ্রহণ করে তাদের গণপরিষদের আজ 1949 সালে 26 নভেম্বরে সতর দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ এবং নিজেদের অর্পণ করেছে। 

সংবিধানের শিক্ষা সংক্রান্ত ধারা সম্পর্কের কঠোরি কমিশন 

সংবিধানের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারার মধ্যে কঠোরই কমিশন সংবিধানের নির্দেশক নীতি 45 নং এবং 46 ধারা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত প্রকাশ করে। 

        সংবিধানের নির্দেশক নীতি 45 নং ধারার উল্লেখ করা হয়েছিল যে 1950 খ্রিস্টাব্দের পর থেকে আগামী দশ বছরের মধ্যে 6 থেকে 14 বছর পর্যন্ত সব ছেলে মেয়ের শিক্ষাকে সর্বজনীন অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই নির্দেশ অনুসারে 1960 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই লক্ষ্যের পৌঁছানো কথা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বাস্তবে তা করে উঠতে পারেনি। কঠোরি কমিশন এবং কারণ অনুসন্ধান করেছে এবং জানিয়েছেন যে জনসংখ্যার অত্যধিক চাপ মানুষের আর্থিক আমার বাবা-মায়ের নিরক্ষতা প্রভৃতির কারণের জন্য লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়নি। 

        প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করার উদ্দেশ্যে কমিশন কতগুলি সুপারিশ করেছেন। এই সুপারিশ গুলি হল-

1. প্রত্যেক রাজ্যে সরকারকে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে. 

2. প্রয়োজন মত আর্থিক সাহায্য দিতে হবে. 

3. অপচয় এবং অনুন্নয়ন বন্ধ করতে হবে. 

4. প্রত্যেক শিশুর বসবাস অঞ্চলে মধ্যে বিদ্যালয়ের স্থাপন করতে হবে। 

5. অভিভাবকেরা জাতীয় প্রথম শ্রেণীতে প্রতিটি শিশুকে ভর্তি করেন আইনের মাধ্যমে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

        সংবিধানের নির্দেশক নীতি 46 নং ধারায় অন্যগ্রসর সম্প্রদায়ী বিশেষত তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার সুপারিশ করা হয়। কোঠারি কমিশন লক্ষ্য করেছিল, তপশিলি জাতি উপজাতিদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার সেভাবে ঘটেনি। এই বিষয়ে ইউএন ধেবরের সভাপতিত্বের গঠিত কমিশনের সুপারিশ গুলি কঠোরই কমিশন গ্রহণ করে। এই সুপারিশ গুলি হল-

1. তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে আগেকার সব সুযোগ-সুবিধা বলবৎ থাকবে. 

2. যাযাবর ও আধা যাযাবর সম্প্রদায়ের জন্য আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে. 

3. তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বিদ্যালয় এবং ছাত্র বাসের ব্যবসা করতে হবে 

4. এছাড়া আবাসিক বা বিদ্যালয় নির্মাণের বৃত্তি হিসাবে আর্থিক সাহায্য প্রদান উপজাতিদের ভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ। এবং আদিবাসীদের জীবনে উপযোগী শিক্ষার বিষয়বস্তু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে কমিশন সুপারিশ করেন. 

      সংবিধানে 44 নং ধারায় সারা ভারতে সকলেই জন্য একই আইনের ব্যবস্থা করা এবং ও 30 নং ধারায়, ভাষা ও ধর্মের জন্য শিক্ষায় বৈষম্য করা হবে না বলে উল্লেখ করা আছে। ধর্মীয় ও সংস্কৃতির সংহিতর জন্য যেকোন বৈষম্য পরিহার করতে হবে।