welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বষ্টি আলোচনা করো। অথবা, বুদ্ধির দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি বিবৃত করো। অথবা, মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করো। অথবা, স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি চিত্র-সহ ব্যাখ্যা করো।

স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বষ্টি আলোচনা করো।
অথবা, বুদ্ধির দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি বিবৃত করো।
অথবা, মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করো।
অথবা, স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি চিত্র-সহ ব্যাখ্যা করো।



স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদাশ তত্ত্ব

ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী চার্লস স্পিয়ারম্যান 1904 খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ গণিতনির্ভর মানসিক স্বনতার একটি তাত্বিক ব্যাখ্যা দেন। American Journal of Psychology General Intelligence Objectively Determined and Measured নামে একটি প্রবন্ধে তিনি তাঁর দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি প্রকাশ করেন। এই তত্ত্বে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, যে-কোনো বৌদ্ধিক কাজে দুষ্টি উপাদান কার্যকরী হয়। একটি সাধারণ উপাদান (General factor বা সংক্ষেপে ৫) এবং অন্যটি হল বিশেষ উপাদান (Special factor বা সংক্ষেপে ৪)। সাধারণ উপাদানটি সব ধরনের কাজে কমবেশি প্রয়োজন হয় এবং বিশেষ উপাদান কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কাজে প্রয়োজন হয়।

স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বটিকে একটি জ্যামিতিক চিতে রূপ দেওয়া যেতে পারে।

পাশের চিত্রে বৃত্তষ্টি হল 'G' বা সাধারণ উপাদানের ভান্ডার। w¹ w² হল তিনটি কাজ। s¹ s² s³ হল তিনটি বিশেষ উপাদান। সাধারণ উপাদান বা 'G'-এর পরিমাণ হল ' G¹'। একইভাবে w² এবং কাজে সাধারণ উপাদান বা 'G'-এর পরিমাণ হল যথাক্রমে G² ও G³ আবার w¹ w²ও কাজে বিশেষ উপাদান হিসেবে প্রয়োজন হয়েছে যথাক্রমে s¹ S² ও s³-এর। এখানে উল্লেখ্য যে G¹ G² ও G³ব্লুশগতভাবে এক কিন্তু পরিমাণে ভিন্ন। অর্থাৎ, প্রতিটি কাজে সাধারণ উপাদান বা 'G' ডির পরিমাণে প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে বিশেষ উপাদানগুলি s¹ s² s³ গুণগতভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে পরিমাণের প্রশ্ন আসে না। এক্ষেতে 'G' বা সাধারণ ক্ষমতাকেই বুদ্ধি বলা হয়েছে। দুটি কাজের মধ্যে যত বেশি পরিমাণে 'G' থাকবে, ততই কাজ দুটির মধ্যে সহসতির মান বেশি হবে।

স্পিয়ারম্যানের তত্ত্বের শিক্ষাগত তাৎপর্য

স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্বের শিক্ষামূলক তাৎপর্য এক কথায় অনস্বীকার্য। শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে এর পুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্রছাত্রীকে যদি সঠিকভাবে শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা ধান করতে হয়, তাহলে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অবশাই এই তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই তত্ত্বটি বিশেষভাবে সহায়ক হয়। যে-কোনো বিষয়ে সাফল্য লাভ করতে হলে, এই বিষয়ের ওপর বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। যেমন-বিজ্ঞান শাখায় সাফল্য লাভ করতে হলে ছাত্রছাত্রীদের অবশাই বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে। এই ক্ষমতা সম্পর্কে শিক্ষক শিক্ষিকা অবহিত হওয়ার পর যদি ছাত্রছাত্রীদেরকে পাঠক্রম নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দেশ দেন, তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড়ছায়ী সফলতা অর্জন করবে। মোট কথা, ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ স্বঅতার সঙ্গে সংগতি রেখে পাঠক্রম নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই তত্ত্বটি শিক্ষক-শিধিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি নির্বাচনেও এই তত্ত্বটি সহায়ক হয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01