শিখদের উপাদান বিষয়ে সংক্ষিপ্ত শ্রীকা দেখো। শিখনের আধুনিক প্রকারভেদগুলি আলেছনা করো।
উত্তর:
শিখদের উপাদাল
শিখন হল অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আরেণের ক্রমপরিবর্তন। এটি একটি জটিল মানসিক প্রক্রিয়া। পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্ণে সার্থকভাবে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনে, নতুন নতুন অবস্থার সঙ্গে অভিযোজনের জন্য শিখন বিশেষভাবে প্রয়োজন। আমাদের বাক্তিত্ব, আচার-আচরণ, চিল্ডন, স্বভাব, জান সবই শিখনের ফল।
শিখনের বৈশিষ্ট্যগুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শিখন কয়েকটি উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ওই সময় উপাদানকে শিখন সহায়ক উপাদান বলা হয়। এখানে পাঁচটি পুরুত্বপূর্ণ শিখন সহায়ক উপাদানকে নিয়ে আলোচনা করা হল-
[1] পরিগমন: পরিণয়ন হল একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। এর দ্বারা জন্মগত সম্ভাবনাগুলির হতঃস্কৃত বৃদ্ধি ও ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির আচরণের পুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তন হয়।
[2] আগ্রহ বা অনুরাগ: আগ্রহ বা অনুরাগ হল ব্যক্তির এমন একটি অভান্তরীণ মানসিক অবস্থা যা ব্যক্তিকে কোনো বন্ধু, বিষয় বা কাজের প্রতি মনোযোগী করে তোলে।
[3] মনোযোগ: মনোযোগ এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জান-লাডের জন্য বিষয়টির ওপর নিজের চেতনাকে নিবিষ্ট করে।
[4] ক্ষমতা বা সামর্থ্য: মানুষের যাবতীয় কর্মসম্পাদনের জন্য যে উপাদানটি বিশেষভাবে সহায়ক হয় তা হল কমতা বা সামর্থ্য।
[5] প্রেষণা: প্রেষণা কর্মের উৎস। এটি এক ধরনের তাড়নার অনুভূতি বা তাগিদ যা আমাদের কাজ করতে বাধা করে।
শিখণের আধুনিক প্রকারভেদ
শিখন প্রধানত দু-প্রকার। যথা- [1] মনুষ্যেতর প্রাণীর শিখন (Animal Learning) এবং (2) মানুষের শিখন (Human Learning)। মানুষের শিখনকে আচরণের বিভিন্ন দিকের পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই বিভাগ তিনটি হল-[1] প্রজ্ঞামূলক বা বৌখিক শিখন (Cognitive Learning), (2) দক্ষতামূলক শিখন (Skill Learning). (3) অনুভূতিমূলক বা প্রাস্কোডিক শিখন (Affective Learning)
[1] প্রজ্ঞামূলক বা বৌদ্ধিক শিখন : যে শিখন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তির মধ্যে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা বা ধারণা জন্মায়, তাকেই প্রজ্ঞামূলক লিখন বলে। এই ধারণা অনুযায়ী শিখন হল শিক্ষার্থীর মানসিক সংগঠন বা বৌখিক সংগঠনের প্রক্রিয়া।
[2]দক্ষতামূলক শিখণ: দক্ষতামূলক শিখনের মূল প্রক্রিয়া হল অনুশীলন। অনুশীলনের ফলে ব্যাক্তির প্রায়নিক বাধা (Synaptic resistance) হ্রাস পায় এবং নক্ষতার শিখন ঘটে। তবে সঞ্চতামূলক শিখন কেবলমাত্র যান্ত্রিক অনুশীলনের মাধ্যমে সংঘষ্ঠিত হয় না। শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তার দক্ষতার শিখনে সহায়ক হয়।
[3] অনুভূতিমূলক বা প্রাক্ষোভিক শিখন: যে শিখনের মাধ্যমে বাক্তির প্রাভোডিক প্রতিক্রিয়ার বিকাশ ও সমন্বয় ঘটে এবং আদর্শ, মনোভাব, মূলবোধ ইত্যাদি গড়ে ওঠে তাকে অনুভূতিমূলক বা প্রাভোডিক শিখন বলা হয়।