welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

শিখনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ঘরের নাম উল্লেখ করে প্রত্যেকটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

শিখনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ঘরের নাম উল্লেখ করে প্রত্যেকটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।


উত্তর:

শিখনের ডিলটি গুত্বপূর্ণ স্তর এবং তাদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

শিখনের তিনটি পুরুত্বপূর্ণ ভর হল-[1] জ্ঞানার্জন (Acquiring knowledge), (2) সংরক্ষণ বা ধারণ (Retention), [3] পুনরুদ্রেক (Recall) ও প্রতাডিজা (Recognition)। শিখনের এই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ভরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নীচে দেওয়া হল-

[1] আনার্জন: শিখনের প্রথম স্তর হল জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন। কোনো ব্যক্তি প্রথাগত বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই জান বিভিন্নভাবে অর্জন করা যায়। বাক্তি বই পড়ে, শিক্ষক, অভিভাবক বা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যম, যেমন- সংবাদপত্র, বেতার, তেলিডিশন, যাজা, নাইক ইত্যাদির সাহায্যেও বাক্তি জ্ঞান অর্জন করে।

[2] সংরক্ষণ বা ধারণ: শিখন বা অভিজ্ঞতাগুলিকে মনের মধ্যে ধরে রাখাকে সংরক্ষণ বলা হয়। সংরক্ষণের সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব না হলেও, এর জন্য অনুকূল পরিস্থিতির উদ্বোখ করা যায়। যেমন-

i.যে-কোনো বিষয় ডালোভাবে বুঝে নেওয়া এবং বিষয়টিকে বারবার অনুশীলন করা।

ii.বিষয়টি যত সাম্প্রতিক হবে সংরক্ষণও তত ভালো হবে।

iii.বিষয়টির প্রতি আগ্রহ থাকলে সংরক্ষণ উত্তম হয়।

iv. শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য উত্তম সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন। অর্থপূর্ণ বিষয়, অনুশীলন, আগ্রহ, অতিশিখন, দেহ ও মনের সুস্থতা ইত্যাদি সংরক্ষণের সহায়ক। এ ছাড়াও ছন্দ সহকারে পাঠ, সংকেতের বাবহারের ফলেও সংরক্ষণের উন্নতি ঘটে।

[3] পুনরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞা: শিখনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর হল পুনরুদ্রেক। সংরক্ষিত অভিজ্ঞতাকে যদি ঠিক সময় ঠিক জায়গায় পুনরুদ্রেক করা না যায়, তাহলে শিখন সম্পূর্ণ হয় না। পূর্ব-অভিজ্ঞতাকে পুনরায় মনে করাকে পুনরুদ্রেক বলে। পুনরুদ্রেক প্রধানত দুই প্রকারের। যথা-

i. প্রত্যক্ষ পুনরুজেক: যখন কোনো অভিজ্ঞতাকে পুনরুদ্রেক করার ক্ষেত্রে কেবল তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত অভিজ্ঞতাটির সাহায্য গ্রহণ করা হয়, তখন তাকে প্রত্যক্ষ পুনরুদ্রেক বলে।

ii.পরোক্ষ পুনরুদ্রেক: যখন কোনো অভিজ্ঞতাকে পুনরুদ্রেক করার জন্য তার সঙ্গে পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত অভিজ্ঞতাটির সাহায্য নেওয়া হয়, তখন তাকে পরোক্ষ পুনরুদ্রেক বলে।

আধুনিক মনোবিজ্ঞানীরা পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির খেতে তিনটি সূত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলি .

i.সান্নিধ্যের সূত: পুনরুদ্রেকের ক্ষেতে যখন একটি মাইনা আর-একটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়, রাখন তাকে সান্নিধ্যের সূত্র হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় রসগোল্লার কথা মনে আসলেই তার মিষ্টত্ব এবং রসের কথা মনে হয়।

ii. সাদৃশ্যের সূত্র: পুনব্লন্দ্রেকের কেত্রে সাদৃশ্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে বেশি মিল থাকলে একটির কথা মনে হলেই অপরটির কথা মনে আসে। যেমন- রামায়ণের গল্পে লবের কথামনে পড়লে কুপের কথাও মনে পড়বে।

iii. বৈসাদৃশ্যের সূত্র: বৈসাদৃশাও পুনরুষেকের ক্ষেত্রে পুত্রত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্য থাকলেও তা সহজে আমাদের মনে আসে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- আলোর কথা মনে হলেই অন্ধকারের কথা মনে হয়। রোগা লোকের কথা মোটা লোককে মনে করিয়ে দেয়।

প্রত্যভিজ্ঞা: প্রতাডিড়া হল একটি পরিচিতির বোধ যা না থাকলে শিখনকে সফল বলা যায় না। প্রতাড়িজা কথাটির প্রকৃত অর্থ হল 'চিনে নেওয়া'। পূর্বে প্রত্যক্ষ করা অভিজ্ঞতা বা জানকে বর্তমানে চিনে নেওয়ার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় প্রতাডিক্তা। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, প্রত্যজিতা হল একটি পরিচিতির বোধ বা তরনা, যার অভাব ঘটলে শিখন ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01