স্তম্ভ লেখচিত্র বা স্তন্ত-চিত্র (Bar-graph or Bar diagram)
ধারণা (concept):
স্তত্ত্ব চিত্র এক অতি বহুল প্রচলিত চিত্র যার দ্বারা ভৌগোলিক রাশি তথ্যকে সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়। প্রস্থ বা বেধ-এর তুলনায় দৈর্য্যে অনেক বড় এরূপ আয়তাকার নকশাই হলো শুম্ভ-চিত্র। এই চিত্রে দৈর্ঘ্যই একমাত্র বিবেচনার বিষয়। চিত্রায়িত করতে একে চওড়া করা হয়, তাই এর প্রস্য বা বেধকে হিসাবে ধরা হয় না।
সংজ্ঞা (definition):
① স্বত্ত্ব বা বার (bar)-এর সাহায্যে নির্দিষ্ট স্কেলে পরিসংখ্যান দেখানোকে বার-গ্রাফ বা দন্ডচিত্র বা স্তম্ভ লেখচিত্র বলে।
② ভৌগোলিক রাশিতথ্যকে যখন নির্দিষ্ট স্কেলে পরিমাণের অনুপাত অনুযায়ী এক একটি স্তম্ভের সাহায্যে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাকে স্তম্ভ চিত্র বা বার গ্রাফ বলে।
স্তন্তচিত্রের প্রকারভেদ (types of bar-graph)
ভৌগলিক রাশি তত্ত্বের নানা ধরনের চলক থাকে। এই চলকের চরিত্র বা বৈশিষ্টা ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির হয়। বার-গ্রাফ বর স্বস্ত লেখচিত্রের সাহায্যে পরিসংখ্যানসমূহ সহজেই দেখানে যায়। যখন সময় নির্দিষ্ট থাকে কিন্তু দেশের আয়তনের একব পরিবর্তন হয়, তখন রেখা বা লাইন গ্রাফের পরিবর্তে যারয়াক ব্যবহার করা হয়। 1 ইঞ্চি বা 1 সেমি কি পরিমাণ পরিসংখ্যানকে নির্দিষ্ট করে তার হিসাব নির্ণয় করে বারগ্রাফ আঁকা হয়। বার গ্রাফে প্রতিটি স্তম্ভ সমান চওড়া হয়। স্তম্ভগুলি উল্লম্ব অথবা অনুভূমিক অথবা পিরামিডের আকারে অঙ্কন করা যায়। স্তচ্ছ বা বার লেখচিত্র গঠন অনুসারে চার'রকমের হয়ে থাকে। যথা-
(1)সরল স্বস্ত লেখচিত্র (simple bar-graph)
(2)তুলনামূলক বা বহু স্তম্ভ বা মিশ্র স্তম্ভ লেখচিত্র (comparative or multiple or composite bar-graph)
(3)যৌগিক বা বহু বিভক্ত বা উপবিভক্ত স্তম্ভ লেখচিত্র (com-pound/component or sub-divided bar-graph)
(4)পিরামিড স্তম্ভ লেখচিত্র (pyramid bar-graph)
অংকন নীতি (principle of construction)
স্তম্ভের দৈর্ঘ্য কোন উপাদানের পরিমাণ বা সংখ্যা নির্দেশ করে, অর্থাৎ দম্ভের দৈর্ঘ্য উপাদানের পরিমাণের সঙ্গে সমানুপাতিক। স্কেল ধরে আকার সময় পরিমাণ বেশি নির্দেশ কারি স্তম্ভটি দৈর্ঘ্য বড় হয় এবং পরিমাণে কম হলে দৈর্ঘ্য ছোট হয়। এদের বেদ বা পোস্তের কোন হেরফের হয় না। অতএব বোঝা যাচ্ছে যে কেবলমাত্র দৈর্ঘ্যের অর্থাৎ একটি মাত্র মাত্রার হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। তাই স্তম্ভ চিত্র বার গ্রাফ একমাত্র চিত্র।
গুণাবলী (properties)
1] স্তম্ভ চিত্র সকলের সহজে বুঝতে অসুবিধা হয় না।
2] বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে তুলনা বা সমগ্রের মধ্যে নানা উপাদানের বিভক্তিকরণ স্তম্ভ চিত্রের মাধ্যমে দেখানো যায়।
3] স্কেল অনুযায়ী অন্তিম করতে হয়। জটিল গণিতিক হিসেবে এর প্রয়োজন নেই।
4] চাট, মডেল প্রকৃতির পরিবর্তে স্তম্ভ চিত্র সহজে গ্রহণীয়।
5] যে ক্ষেত্রে উপাদানের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে সেক্ষেত্রের উপাদান গুলির মধ্যে তুলনা করতে কার্যকর ভাবে স্তম্ভ চিত্র কে ব্যবহার করা যায়।
6] উপাদানগুলিকে সনাক্ত করা ও তাদের মধ্যে তুলনা করা সহজ হয়।
7] কোন অপরিমেয় বিষয় যেমন-ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা , রাজ্য, দেশ ইত্যাদির সাপেক্ষে অর্জিত থাকে স্তম্ভ চিত্রের দেখানো সহজ।