কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি

    অর্থনৈতিক ভূগোলের দৃষ্টিভঙ্গি(Viewpoints of Economic Geography)

     অর্থনৈতিক ভূগোলের দৃষ্টিভঙ্গি (Viewpoints of Economic Geography)


    ধ্রুপদী দৃষ্টিভঙ্গি (Classical Viewpoint) অর্থনৈতিক ভূগোলের ধ্রুপদী বা ক্লাসিকাল (classical) দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, প্রকৃতি (nature) ও পার্থিব পরিবেশ (natural environment) সম্পদ ও মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্মকে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে সম্পদকে প্রকৃতির দান (endowment of nature) হিসেবে তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, প্রযুক্তির বিনিময়, বাজারের ভূমিকা অর্থাৎ মানুষের অবদান বিশ্লেষণের সুযোগ সীমিত।

    অর্থনৈতিক ভূগোল: দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন


    1. প্রথম পর্ব: 

    18, 19 শতকে ব্যবসা বাণিজ্যের বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ভূগোল (Commercial Geography)-এর উদ্ভব হয়।


    2. দ্বিতীয় পর্ব: 

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে সরোকিন, হান্টিংটন, স্মিথ প্রমুখের গবেষণায় অর্থনৈতিক ভূগোলে পরিবেশবাদ (environmentalism)-এর প্রভাব বৃদ্ধি; Man is the product of earth surface-এর ধারণা আসে।


    3. 1930-1960-এর দশকে ভ্যান রয়‍্যান, থোম্যান, ল্যপ্লে, আলেকজান্ডার প্রমুখের কাজের প্রভাবে অর্থনৈতিক ভূগোলে দৈশিক পার্থক্যের (areal differentiation)-এর ধারণার উদ্ভব। অর্থাৎ স্থানের ভিত্তিতে সম্পদ ও কাজের পার্থক্যের ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু হয়।

     

    অর্থনৈতিক ভূগোলের সমসাময়িক বা আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি(Contemporary or Modern Viewpoint of Economic Geography)


    অর্থনৈতিক ভূগোলের সমসাময়িক বা আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, মানুষ ও সংস্কৃতি হল অধিকাংশ সম্পদের উৎস এবং প্রকৃতি বা প্রাকৃতিক পরিবেশ হল গচ্ছিত সম্পদের ভাণ্ডার। মানুষ সম্পদের উৎপাদক ও উপভোক্তা এবং সংস্কৃতি হল সম্পদ সৃষ্টির হাতিয়ার। মানুষের উদ্যোগ যেমন সীমাহীন, তেমনই সম্পদ সৃষ্টির জন্য বা সম্পদ আহরণের। 

    জন্য মানুষের কাজের ক্ষেত্রটিও ক্রমবর্ধমান। আর সে-কারণেই অর্থনৈতিক ভূগোলের চিরাচরিত আলোচনার পরিচিত। পরিসর থেকে উদ্ভব হয়েছে এক নতুন বিশ্লেষণভঙ্গি, যার নাম সম্পদশাস্ত্র বা সম্পদ সমীক্ষা বা রিসোর্স স্টাডিজ (Resource Studies)।

     সম্পদশাস্ত্রের আলোচনার পরিধির মধ্যে তাই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চিরাচরিত (conventional) এবং অচিরাচরিত(non-conventional) সম্পদের উৎস ও ব্যবহার এবং সম্পদের সংরক্ষণ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। শুধু তাই নয়, জনসংখ্যা-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়, ভূমির বা জমির ব্যবহার, উন্নয়নের নানান তত্ত্ব ও পরিবেশের উপর মানুষের কাজের প্রভাব বিচার করাও সম্পদশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 

    আসলে, মানুষের জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির ক্ষেত্র যত পরিবর্ধিত হবে, সম্পদ ও সম্পদ-সম্পর্কিত তথ্য যত বিস্তৃত হবে, সম্পদশাস্ত্র ও অর্থনৈতিক ভূগোলের ব্যাখ্যা ততই বৈচিত্র্যময় ও গাণিতিক বিশ্লেষণ-নির্ভর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। নব অর্থনৈতিক ভূগোল (New Economic Geography) এক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।

    নবীনতর পূর্বতন

    نموذج الاتصال