অভিযোজনের ধারণা(Concept of Adaptation)
কোনো জীব বা জীব সমষ্টির (population) যে-কোনো প্রকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা পরিবেশের সাথে সমতা রক্ষা করে তাকে অভিযোজন (adoptation) বলে। যে কোনো জীব প্রজাতি পরিবেশগত প্রতিকূলতায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য গড়ে তোলে বা অর্জন করে। একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকতে ও সাফল্যের সাথে প্রজনন করতে জীবের অঙ্গসংস্থানিক শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনকে অভিযোজন বলে। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট পরিবেশে বেঁচে থাকতে ও বংশবৃদ্ধি করতে জীবের যে গঠনগত ও কার্যগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় তাকে অভিযোজন বলে (a characteristic of an organism that enables it to function more effectively or survive in its surroundings.) যে-কোনো প্রজাতির 5 রকমের অভিযোজন লক্ষ করা যায়, যথা-
(i) গঠনগত (structural); (ii) বর্ণগত (colours); (iii) শারীরবৃত্তীয় (physiological); (iv) ব্যবহারিক (behavioural); (v) প্রজননগত (reproductive)