পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (natural vegetation of West Bengal )
মানুষের হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে প্রকৃতির আপন নিয়মে স্বাভাবিকভাবে যেসব উদ্ভিদ জন্মায়, তাদের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও মৃত্তিকার তারতম্যে বিভিন্ন প্রকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মায়। আয়তনের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বনভূমির পরিমাণ কম। মাত্র ১৪ শতাংশ এলাকা বনভূমি দ্বারা আবৃত। দেশের মোট বনভূমির ১.২% রয়েছে এই রাজ্যে।
পশ্চিমবঙ্গে বনভূমির পরিমাণ এখন বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মালভূমি অংশে এবং অধিকাংশই হিমালয়ের পাদদেশে তরাই ও পর্বতগাত্রে সীমিত রয়েছে। সমভূমি অঞ্চলে কিছু কিছু গাছ আপনা থেকেই জন্মালেও তার পরিমাণ খুব কম।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদের বণ্টন :
(১) হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমি :
উদ্ভিজ্জের বিচারে পূর্ব হিমালয় পৃথিবীর সমৃদ্ধতম বনভূমিগুলির একটি। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহে প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত, ক্রান্তীয় অক্ষরেখায় অবস্থানজনিত উয়তা পর্বতের নিম্নদেশে, উর্ধে ক্রমশঃ উয়ু নাতিশীতোষ্ব থেকে শীত প্রধান নাতিশীতোয় ও সর্বোচ্চ অংশে উপক্রান্তীয় জলবায়ু উদ্ভিদ বিন্যাসে ব্যাপক বৈচিত্র এনেছে। জলবায়ুগত প্রভাব ছাড়াও ভূ-প্রকৃতি এবং মৃত্তিকা উদ্ভিদ বিন্যাসে বৈচিত্র এনেছে। দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলে উচ্চতার তারতম্যে স্বাভাবিক উদ্ভিদের তারতম্য দেখা যায়। অপেক্ষাকৃত অধিক উচ্চতায় সরলবর্গীয় পাইন, ফার, জুনিপার, ওক, ম্যাপল, বার্চ, রোডোডেনড্রন, প্রিমূলা প্রভৃতি গাছ জন্মে। মাঝারি উচ্চতায় নাতিশীতোয় মিশ্র বনভূমিতে পাইন, ফার, বার্চ এর পাশাপাশি বাঁশ ও অন্যান্য কয়েক প্রকার মৌসুমি বনভূমির বৃক্ষ দেখা যায়। নিম্ন পর্বতের পাদদেশে শাল, সেগুন, শিমুল, বাঁশ প্রভৃতি বৃক্ষ জন্মায়।
(২) তরাই অঞ্চলের বনভূমি :
হিমালয়ের পাদদেশে বৃষ্টিবহুল এই অঞ্চলে চিরহরিৎ ও পর্ণমোচী
ধরনের গাছ জন্মায়। উল্লেখযোগ্য গাছগুলো হল শাল, সেগুন, শিশু, শিমুল, চাপলাশ, খয়ের, গামার, বাঁশ ও বেত প্রভৃতি। তরাই ও ডুয়াসে পূর্বে গভীর বনভূমি ছিল। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার স্থান সংকুলানের জন্য এবং কৃষিকাজের সম্প্রসারনের জন্য অরণ্যের আয়তন সংকুচিত হয়েছে। এছাড়া কাঠ চোরাই চালানকারী এবং অসাধু ঠিকাদারদের জন্য অরণ্যের নিবিড়তা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এজন্য হাতির দল খাবারের সন্ধানে অরণ ছেড়ে কৃষিজমিতে নেমে আসায় ফসল বিনষ্ট হয়। বর্তমানে সরকার সরাসরি কাষ্ঠছেদনের দায়িত্ব নেওয়ায় অরণ্য হ্রাসের হার কিছুটা কমেছে। ডুয়ার্সের বনভূমিতে অনেক মূল্যবান কাঠ থাকায় এখানকার বনজসম্পদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় বনসংরক্ষনের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
(৩) পশ্চিমের তরঙ্গায়িত ভূমিভাগের বনভূমি :
কৃষিকার্যের জন্য বনভূমি পরিস্কার করায়, স্থানান্তর কৃষির দরুণ অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ ও বন সংরক্ষণে পরিচালনগত ত্রুটি ইত্যাদি কারণে বনভূমির পরিমাণ যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে জঙ্গলমহলে বনভূমির পরিমাণ আয়তনের প্রায় ১/৫ ভাগ বনভূমি। এই বনভূমি ক্রান্তীয় পর্ণমোচী শ্রেণীর অন্তর্গত। দুর্গম অঞ্চলে যথা, পাঞ্চেত, অযোধ্যা, বাঘমুন্ডি ও দলমা পাহাড়ে এবং শিলাই, আকশা, দ্বারকেশ্বর ও কাঁসাই নদীর ধারণ-অববাহিকায় উচ্চ অংশে এখনও অরণ্য যথেষ্ট নিবিড়। যথেচ্ছ অরণ্যচ্ছেদনের ফলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয়ের সমস্যা প্রকট হইয়াছে। অরণ্যের প্রধান বৃক্ষ শাল হইলেও আরও নানপ্রকার পর্ণমোচী বৃক্ষের সমারোহ দেখা যায়। বাঁশও একটি অর্থকরী উদ্ভিদ। শাল বৃক্ষের কাঠ খুব শক্ত, ভারী এবং মজবুত। এরও বিক্রয়মূল্যও যথেষ্ট। শাল গাছ থেকে রজন সংগ্রহ করা হয়। এবং এর ত্বক চামড়া ট্যান করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আদিবাসীদের নিকট পবিত্র বৃক্ষ এবং এই বৃক্ষের ছায়ায় তাদের উপাস্য দেবতা পূজিত হন। মুচকুন্দা এই বনভূমির একটি চিরসবুজ বৃক্ষ, যদিও এটি বেশী দেখা যায় না। কিছু সেগুন গাছও জন্মায়। অন্যান্য বৃক্ষের মধ্যে শিমূল, পলাশ, মহুয়া ও তুন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তুন গাছের কাঠ সৌখিন বাক্স ও দ্রব্যাদি প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য। বেল, কুল, কুসুম, আম, কাঁঠাল, অশ্বত্থ, ডুমুর, নিম, বট, শিরিষ, বাবলা, আমন, সিধা, কদম, করম প্রভৃতি বৃক্ষও এই জেলার স্বাভাবিক উদ্ভিদ। বর্তমানে বনভূমিতে কেন্দুপাতা সংগ্রহ সর্বাধিক অর্থকরী উৎপাদন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। মহুয়া আধিবাসীদের নিকট একটি মূল্যবান বৃক্ষ। এর শক্ত কাঠ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। মহুয়া ফুল খাওয়া হয় এবং এ থেকে তৈরী মদ আদিবাসীদের প্রিয় পাণীয়। বনভূমি থেকে আয়ের প্রধান উৎস কেন্দুপাতা। এই অঞ্চলে বনভূমি খুব ফাঁকা হয়ে এসেছে। শাল, মহুয়া, শিমুল, পলাশ, নিম, বাবলা প্রভৃতি গাছের জঙ্গল বা বনভূমি কোথাও কোথাও টিকে আছে। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় কিছু বনভূমি আছে।
(৪) সমভূমির বনভূমি :
উদ্ভিদ - সমভূমি অঞ্চলে সে অর্থে বনভূমি অনুপস্থিত। তবে ১৮২৪ সালে বিশপ হেবারের (Bishop Heber, 1824) লেখা থেকে জানা যায় সুন্দরবন একসময় নদীয়া জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। পরবর্তীকালে জনবসতির প্রসারে এবং কৃষি কার্যের বিস্তারে বনভূমি ধ্বংস হয়। স্থানে স্থানে ঝোপ-ঝাড় কিছু জঙ্গল যেগুলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। উদ্ভিদ কিছু স্বাভাবিক এবং বেশ কিছু সৃজিত। দামী উদ্ভিদগুলি বা মূল্যবান উদ্ভিদগুলি প্রধানত সৃজিত। সর্বত্র বেশ পরিমাণে দেখা যায় বটগাছ, পিপুলগাছ এছাড়াও মেহগনি, আকাশমনি, বাবুল, আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু তো দেখা যায়। চাষের জমি সংলগ্ন বেশ কিছু বৃক্ষ রোপিত হতে দেখা যায় যা জ্বালানি এবং অর্থকারী কাঠের প্রয়োজন মেটায়। যেমন শিশু, মেহগনি, নারকেল পশ্চিমবঙ্গ : প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ৯.২৬ গাছ, খেজুর গাছ, তাল গাছ, সেগুন গাছ ইত্যাদি। এছাড়া রাস্তার ধার বরাবর বেশকিছু গাছ সৃজিত হয়েছে এবং সামাজিক বনসৃজন এর উৎসবে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খেলার মাঠের ধারে বেশকিছু বৃদ্ধ সৃজিত হয়েছে। জলাভূমি অঞ্চলে মূলতঃ জলজ উদ্ভিদ, শুশনি, হেলেঞ্চা, কলমি শাক ইত্যাদি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সরকারি জমিতে কিছু বনসৃজন হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে সরকারী বন বাগিচায় সেগুন, আকাশমণি, বাবুল প্রভৃতি বৃক্ষ সৃজিত হচ্ছে। নদীয়ার বেথুয়াডহরিতে রিজার্ভ ফরেস্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এখানে অরণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে । প্রায় ২৪৪ হেক্টর জায়গা জুড়ে বেথুয়াডহরি বন্য প্রানী সংরক্ষণ অরণ্য (আয়তন ০.৬৮ বর্গকিমি) হিসেবে রয়েছে। উঃ ২৪ পরগনার বনগাঁর পারমাদন অপর একটি সংরক্ষিত অরণ্য।
কৃষিকাজের প্রসার ঘটায় বনভূমি নিশ্চিহ্ন প্রায়। সামান্য কিছু বনভূমি স্থানে স্থানে সরকারিভাবে সংরক্ষিত করা হলেও এগুলোতে আগের মতো গাছপালা আর নেই। এইসব বনভূমিতে বনসৃজন করে স্বাভাবিক উদ্ভিদের অভাব পূরণ করা হচ্ছে। ইউক্যালিপ্টাস, অ্যাকসিয়া, সেগুন, শিশু, অর্জুন প্রভৃতি এখানকার বৃক্ষ হালেও ইউক্যালিপ্টাস, অ্যাকাসিয়া মূলত সৃজিত বৃক্ষ।
(৫) সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য
সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘন বনভূমিতে আবৃত। ইহার এক বৃহৎ অংশ সংরক্ষিত অরণ্য। ম্যানগ্রোভ অর্থাৎ লবণাক্ত জলাভূমির অরণ্যের জন্য সুন্দরবন অঞ্চল বিখ্যাত। সুন্দরী গাছ থেকে এই বনের নামকরণ মনে করা হলেও সুন্দরী বৃক্ষ কাঠের জন্য কেটে ফেলায় এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন।
সুন্দরবন নাম কেন ?
একটি মত ‘সুন্দর বন' অর্থাৎ বনভূমির সৌন্দর্যের জন্য সুন্দরবন। অপেক্ষাকৃত প্রচলিত মতটি হল সুন্দরী বৃক্ষ থাকায় এই বনের নাম সুন্দরবন হয়েছে
জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম কী ?
সুন্দরবনের কতগুলো উদ্ভিদ যেমন, গরান, গর্জন প্রভৃতির বীজ-এর অঙ্কুরোদগম হয় ফলের মধ্যেই। ফল ফেটে জলসিক্ত মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। এইজন্য একে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম বলে। ফলে এই উদ্ভিদগুলো মাটিতে তাড়াতাড়ি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে। বীজ জলে ডুবে নষ্ট হওয়া বা ভেসে যাওয়া আটকাতে বৃক্ষের এরূপ অভিযোজন ঘটে।
• ম্যানগ্রোভ বা লবণাম্বু উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য :
(i) শ্বাসমূল :
অনেক উদ্ভিদ যেগুলি কর্দমাক্ত এবং জলমগ্ন জমিতে বেড়ে ওঠে, যেমন, কেওড়া, বাইন প্রভৃতি বৃক্ষের শ্বাসমূল থাকে। একে নিউম্যাটোফোর (Pneumatophore) বলে। জোয়ারের জ্বলে প্লাবিত হলেও এই শ্বাসমূল জলের ওপরে উঠে থাকে বলে উদ্ভিদ অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।
(i) ঠেসমূল ঃ
কর্দমাক্ত নরম মৃত্তিকায় জন্মানো উদ্ভিদ যাতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে সেজন্য গাছের ঠেসমূল থাকে। ঠেসমূল উদ্ভিদের মূলকাণ্ড থেকে বেরিয়ে মাটিতে নেমে আসে।
উদ্ভিদ বৈচিত্র্য ঃ সুন্দরী, গরান, গেওয়া, গর্জন, হেতাল, কেওড়া, পাশুর, ধুধুল, হোগলা, বেত এবং অন্যান্য বিভিন্ন বৃক্ষ, ঘাস ও কাঁটাজাতীয় উদ্ভিদ ও লতাগাছ জন্মে। সুন্দরী সর্বাপেক্ষা মূল্যবান বৃক্ষ। কারণ এটি শক্ত, টেকসই এবং সুন্দর পালিশ ধরে বলে বাসগৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণে এর যথেষ্ট চাহিদা আছে। গরান ও গর্জন গাছের ছাল চামড়া ট্যান করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই গাছের কাঠ জ্বালানী, স্থানীয় অধিবাসীদের বাসগৃহের কাঠামো তৈয়ারিতে ব্যবহৃত হয়। গেঁওয়া কাঠ দিয়াশালাই বাক্স ও প্যাকিং বাক্স তৈয়ারীতে ব্যবহৃত হয়।
সুন্দরবনের বনভূমি সংরক্ষণ প্রসঙ্গ :
ভারতবর্ষের একেবারে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন প্রায় ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১০৬ দ্বীপ ক্রান্তীয় বনভূমি, লবণাক্ত জলের ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিলুপ্ত হতে বসেছে বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষ। সুন্দরী বৃক্ষ বর্তমানে প্রায় বিরল। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ক্ষতি হয়েছে। আয়লার মতো ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বৃক্ষের অনেকখানি ক্ষতিসাধন করেছে। সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তন সুন্দরবনের জীব বৈচিত্রে প্রতিকূল প্রভাব ফেলেছে। মনে করা হয় সমীক্ষালব্ধ ফলাফলে দেখা গেছে সুন্দরবনের জলস্তর সমুদ্রের জলপৃষ্ঠ উপরে উঠছে এবং বেশ কয়েকটি দ্বীপ সুন্দরবনে জলে দ্বীপ আংশিকভাবে বা পুরোপুরি জলের তলায় চলে গেছে।
এই জলপৃষ্ঠ বৃদ্ধি সুন্দরবনের বনভূমি এবং জীব বৈচিত্র্য হ্রাসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ক্ষতি সাধন করছে। এছাড়া চোরাই কাঠ কারবারীদের উপদ্রবে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ক্ষতিসাধন হচ্ছে। সুন্দরবনের উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে। গ্রামীণ জনসংখ্যার বন সংরক্ষণে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে হবে। বনকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদেরকে বন সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
গরান, গেউয়া, গর্জন, কেওড়া এখানকার প্রধান বৃক্ষ। প্রচুর হোগলা ও গোলপাতা জন্মে। এই বনভূমি পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার-এর বিচরণ ক্ষেত্র।