welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

প্রতীপ ঘূর্ণবাতের শ্রেণিবিভাগ(Classification of Anticyclone)

প্রতীপ ঘূর্ণবাতের শ্রেণিবিভাগ(Classification of Anticyclone)


উয়তার বিচারে প্রতীপ ঘূর্ণবাত সাধারণত দুপ্রকারের। (1) শীতল প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Cold anticyclone) এবং (2) উদ্বু প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Warm anticyclone)

শীতল প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Cold anticyclone): উত্তর মেরু বা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে বরফাবৃত ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে অতিরিক্ত শীতলতার জন্য উচ্চচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর উপরিভাগের বায়ু অপেক্ষাকৃত উয় থাকে। ফলে উচ্চচাপ কেন্দ্র থেকে অত্যন্ত শীতল বায়ু চারিদিকে প্রবাহিত হয়। এভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণবাতকে শীতল প্রতীপ ঘূর্ণবাত বলে (Cold anticyclone)।

উদ্বু প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Warm anticyclone): নাতিশীতোয় মণ্ডলে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ের কাছে উদ্বু প্রতীপ ঘূর্ণবাত(Warm anticyclone) গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে ভুপৃষ্ঠের কাছাকাছি উদ্বু বায়ুর স্তরের অবস্থান থাকে এবং ঠিক ওপরে থাকে শীতল বায়ুস্তর যা উচ্চচাপের জন্ম দেয়। এই উচ্চচাপ স্তর থেকে বায়ু নীচের দিকে নেমে আসে, ফলে নিম্নচাপে বায়ুর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং উচু ঘূর্ণবাতের জন্ম দেয়।

উৎপত্তির কারণ হিসাবে আবার প্রতীপ ঘূর্ণবাত তিনপ্রকার, যথা- (i) যান্ত্রিক (mechanical), (ii) বিকিরণজাত (radiational) (iii) তাপীয় (thermal) প্রতীপ ঘূর্ণবাত।

(i) যান্ত্রিক প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Mechanical Anticyclone): কেন্দ্রাতিগ বলের (centrifugal force) কারণে পশ্চিম দিকের বায়ুর নিরক্ষরেখার দিকে এগিয়ে আসার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। আবার কম মহাকর্ষীয় বলের (less gravitational) জন্য আয়ন বায়ুর ও মেরুর দিকে এগিয়ে যাবার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে 30°-35° অক্ষাংশে এই দুই বিপরীত বায়ুর মধ্যে এক যান্ত্রিক নিপীড়নের (mechanical squeeze) সৃষ্টি হয়। ফলে ওই অঞ্চলে এক উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় যা সমুদ্র অঞ্চলের প্রবল আকার ধারণ করে। এই জাতীয় প্রতীপ ঘূর্ণবাতকে যান্ত্রিক প্রতীপ ঘূর্ণবাত (mechanical anticyclone) বলে।

(ii) বিকিরণজাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Radiational anticyclone): কুমেরু মহাদেশ ও গ্রিনল্যান্ডে সারাবছর উচ্চচাপ বিরাজ করে। এর কারণ এই অঞ্চলের অধিক উচ্চতা এবং অবাধ ভূমিভাগের তাপীয় বিকিরণ। ফলে এই উচ্চচাপ বিশিষ্ট বায়ু স্থায়ী প্রতীপ ঘূর্ণবাতের জন্ম দেয় যা বিকিরণ জাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত (radiational anticyclone) রূপে পরিচিত। কিন্তু শীতকালে সমগ্র অঞ্চল বরফাবৃত থাকে, ফলে উচ্চচাপকেন্দ্রগুলি কিছুটা অস্থায়ী প্রকৃতির হয়।

(iii) তাপীয় প্রতীপ ঘূর্ণবাত (Thermal Anticyclone): সাধারণত বায়ুর কম উদ্বুতা ও অধিক চাপের ফলে এই প্রকার ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়। যে সমস্ত অঞ্চলে শীতল সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ থাকে সেখানে স্রোতের প্রভাবে বায়ুর উদ্বুতা কমে গিয়ে উচ্চচাপকেন্দ্র তৈরি করে ও তার থেকে প্রতীপ ঘূর্ণবাত জন্ম নেয়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01