পরিণমন কাকে বলে? পরিণমনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। 2+6
উত্তর:
পরিণমন জিনারের মত অনুযায়ী, পরিশমন হল এর ধরনের বিকাশ যা পরিবেশগত অবস্থার ব্যাপক তারতম্য থাকলেও মোটামুটি একইভাবে সংঘটিত হয়। মনোবিদ লেসেলের মতে, স্বকীয় ও অন্তর্জাত বৃদ্ধিই হল পরিশমন। মনোবিদ কোলেস্নিকের মতে, জন্মগত প্রবণতাগুলি স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হওয়ার ফলে শিশুর আচরণের পুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়াই হল পরিশমন।
পরিণমনের বৈশিষ্ট্য
পরিশমন হল এমন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জন্মগত প্রবণতার স্বাভাবিক বিকাশের মধ্য দিয়ে বাক্তির আচরণের গুণগত ও পরিমাণগত, উভয় প্রকারের পরিবর্তন ঘটে। নীচে পরিণমনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করা হল-
[1] বিকাশের প্রক্রিয়া: পরিপমন হল একষ্টি বিকাশমূলক প্রক্রিয়া যার দ্বারা ব্যক্তির বৃদ্ধি ঘটে।
[2] সহজাত প্রবণতার ওপর নির্ভরশীল প্রক্রিয়া: পরিশমন প্রক্রিয়া শিশুর সহজাত প্রবণতার ওপর নির্ভরশীল। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত সম্ভাবনাগুলির বিকাশের ওপর পরিশমন নির্ভর করে।
[3] স্বাভাবিক প্রক্রিয়া: পরিশমন প্রক্রিয়া শিশুর মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ঘটে। এই প্রক্রিয়া শর্তাধীন নয়।
[4] প্রশিক্ষংনির্ভর নয়: পরিগমন ঘটার জন্য কোনো প্রকার প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। এই প্রক্রিয়া বাতি বা সমাজের চাহিদা, ইচ্ছা, অবস্থা, পরিস্থিতি কোনো কিছুর ওপর নির্ভরশীল নয়।
[5] চাহিদানির্ভর নয়: পরিপদন প্রক্রিয়াটি শিশুর চাহিদার ওপর নির্ভর করে না। এটি সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতি রেখেও ঘটে না।
[6] শর্মীরিক ক্ষমতা অর্জনে সহায়ক। পরিশমন বাক্তির শারীরিক ক্ষমতা অর্জনে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
[7] সক্রিয়তাভিত্তিক নয়: পরিশমন প্রক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার জন্য বাস্তির আত্মসক্রিয়তার খুব একটা প্রয়োজন হয় না।
[৪] জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া নয়: পরিগমন জীবনের একটি বিশেষ পর্যায়ে শুরু হয় এবং একটি বিশেষ পর্যায়ে শেষ হয়।
[9] জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া: পরিশমন ক্যক্তির দেহের জৈবিক কেন্দ্রগুলির স্বাভাবিক বিকালের ওপর নির্ভর করে।
[10] সর্বজনীন প্রক্রিয়া। দেশ, কারডেদে পরিণয়নের পরিবর্তন ঘটে না। বিশ্বের সব শিশুরাই প্রথমে হামাগুড়ি দেয়, পরে দাঁড়াতে শেখে, সবশেষে হাঁটতে শেখে।
ওপরের বৈশিষ্ট্যগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পরিগমন হল ব্যক্তির জীবনবিকাশের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া যা তার আচরণের পরিবর্তন ঘটায়। এটি একটি স্বাধীন ও সর্বজনীন প্রক্রিয়া।