welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

সংক্ষিপ্ততম পথ বিশ্লেষণের সাহায্যে পরিবহন নেটওয়ার্কের পথ বক্রতার পরিমাপ (measurement of route sinuosity of transport network by shortest path analysis)

সংক্ষিপ্ততম পথ বিশ্লেষণের সাহায্যে পরিবহন নেটওয়ার্কের পথ বক্রতার পরিমাপ (measurement of route sinuosity of transport network by shortest path analysis)


ধারণা (concept):

কোনো পরিবহন নেটওয়ার্কের অন্তর্গত দুটি গ্রন্থির মধ্যে যে সরাসরি দূরত্বকে প্রকৃত দূরত্ব (actual distance) বা দৃশ্যমান দূরত্ব বা সংক্ষিপ্ততম দূরত্ব (shortest distance) বা প্রকৃত ন্যূনতম দূরত্ব বলে। অপরদিকে মানুষ একটি গ্রন্থি থেকে অপর কোনো গ্রন্থিতে ন্যূনতম পথে ও স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে যাতায়াত করতে যে ন্যূনতম পথ প্রত্যশা করে, সেই সংক্ষিপ্ত পথকে কাঙ্খিক দূরত্ব (desire distance) বা প্রত্যাশিত দূরত্ব (direct distance) বা জ্যামিতিক দূরত্ব বলে।

সংজ্ঞা (definition):

কোনো পরিবহন নেটওয়ার্কের অন্তর্গত দুটি গ্রন্থির মধ্যে প্রকৃত দূরত্ব (actual বা existing distance) এবং প্রত্যাশিত দূরত্বের (desire বা direct distance) পার্থক্যই হচ্ছে পথ বক্রতা (route sinuosity)

পরিমাপ (measurement):

পরিবহন নেটওয়ার্কের পথ বক্তৃতা (route sinuosity) পরিমাপ করার জন্য দুটি সূচক ব্যবহৃত হয়। যথা-

① পথ বক্রতার সূচক (detour index): দুটি গ্রন্থির প্রকৃত ন্যূনতম দূরত্ব এবং এদের মধ্যে সরাসরি জ্যামিতিক দূরত্বের অনুপাতই (ratio) হচ্ছে পথ বক্রতার সূচক (detour index)। সংক্ষেপে D.। দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

ইহাকে 100 দ্বারা গুণ করে শতাংশে দেখানো হয়। সূত্র: D.I= SD (বাঁকা পথ) DD (সোজা পথ) x 100

Where, DI Detour Index

SD-Shortest Distance

DD-Direct Distance

② পথ বক্রতার মাত্রা (degree of sinuosity): কোনো পরিবহন নেটওয়ার্কের গ্রন্থিসমূহের মধ্যে প্রকৃত ও প্রত্যাশিত দূরত্বের বর্গের যোগফল গ্রন্থিসমূহের অনুপাতকে ঐ পরিবহন নেটওয়ার্কের পথ বক্রতার মাত্রা বলে। এই পরিমাপ দ্বারা পরিবহন নেটওয়ার্কের সামগ্রিক অবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ ও সড়ক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

সূত্র: D.S = (SSD or AD-DD) 

V

Where, DS Degree of Sinuosity

SD Shortest Distance

AD-Actual Distance

DD = Direct Distance

V=Vertices

পথ বক্রতার সূচক এর গুরুত্ব (significance of detour index)

① কোনো অঞ্চলের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা উন্নত তা এই ডেটুর ইনডেক্স-এ প্রকাশ করে।

② সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ সেবাকেন্দ্রগুলোর বক্রতার সূচক, অন্যান্য সেবাকেন্দ্র থেকে খুব উন্নত, কারণ পরিবহন নেটওয়ার্কের বেশির ভাগ সেবাকেন্দ্রগুলো সরল রৈখিক পথের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ সেবাকেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।

③ সাধারণত কাছের সেবাকেন্দ্রের থেকে দূরের সেবাকেন্দ্রের পথ বক্রতার সূচক বেশি।

④ পরিবহন নেটওয়ার্কের কোন রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া বা বন্ধ রাস্তা চালু হয়ে যাওয়ার পর যে প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, তা এই সূচকের সাহায্যে জানা যায়।

পথ বক্রতার সূচক নির্ণয় পদ্ধতি (methods of determination of detour index)

ধাপ-ডেটুর ইনডেক্স নির্ধারণের জন্য ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বা জেলা পরিবহন নেটওয়ার্ক যুক্ত মানচিত্রে বেস পয়েন্ট (base point) এবং বেস পয়েন্ট থেকে অন্যান্য পরিবহন নেটওয়ার্ক যুক্ত পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়।

ধাপ- বেস পয়েন্ট থেকে অন্যান্য সকল পয়েন্ট এর সংক্ষিপ্ততম দূরত্ব (Shortest Distance, SD) অথবা দুটি গ্রন্থির মধ্যে প্রকৃত ন্যূনতম দূরত্ব (রাস্তা বরাবর দুটি বিন্দুর দূরত্ব) নির্ণয় করা হয় (এই দূরত্ব সূতো বা রোটামিটারের সাহায্যে নির্ণয় করো)।

ধাপ-বেস পয়েন্ট থেকে অন্যান্য সকল পয়েন্ট এর সরাসরি জ্যামিতিক দূরত্ব বা প্রত্যাশিত দূরত্ব (direct distance, DD) অথবা দুটি গ্রন্থির মধ্যে সরলরৈখিক দূরত্ব নির্ণয় করা হয় (এই দূরত্ব linear scale-এর  সাহায্যে নির্ণয় করো)।

ধাপ- এখানে উভয় দূরত্বের (shortest & direct distance) একক সমমানের (মানচিত্রের একক অথবা ভূমিভাগের একক) হতে হবে এবং নিম্নের সূত্রের সাহায্যে এই সূচকটি নির্ণয় করা যাবে ।

Detour Index (D.1) =

Shortest Distance (SD) between two points (বাঁকা পথ) Direct Distance (DD) between two points (সোজা পথ) x 100

পথ বক্রতার সূচক নির্ণয় পদ্ধতি (methods of determination of detour index)

নিম্নলিখিত ধাপগুলি পরপর অনুসরণ করলে ডেটুর ইনডেক্স এর মানচিত্র আঁকা সম্পন্ন হয়। যথা-

ধাপ- নির্বাচিত অঞ্চল বা প্রদত্ত মানচিত্রটিকে সাদা কাগজে অঙ্কন করো।

ধাপ- প্রতিটি ব্লক শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে (geo-centre) উল্লিখিত সূত্র অনুযায়ী নির্ণিত ডেটুর ইনডেক্স বা ঘুর পথ সূচকের মান বসাও।

ধাপ- সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সূচক মান দেখে নির্দিষ্ট ব্যবধানে (প্রদত্ত বাঁকুড়া মানচিত্রে 15 শতাংশ ব্যবধানে 115, 130 ও 145 মানবিশিষ্ট তিনটি সমমান রেখা এঁকে মানচিত্রটিকে চারটি বক্রতা সূচক অঞ্চলে ভাগ করে) কয়েকটি সমমান রেখা (isoline) আঁকো ।

ধাপ- এরপর বিভিন্ন ঘনত্বের ছায়াপাতের (shading) কিংবা অঙ্কিত সমমানের অন্তর্বর্তী অঞ্চলগুলিতে একটি নির্দিষ্ট রঙের ঘনত্বের পার্থক্য ঘটিয়ে চারটি বক্রতা সূচক অঞ্চলকে আলাদা আলাদা ও স্পষ্ট করে চিহ্নিত করো (Fig. 12.5)

ধাপ- সবশেষে, মানচিত্রের হেডিং (heading), নির্দেশিকা (index/legend), স্কেল (scale) প্রভৃতি উল্লেখ করে মানচিত্র অঙ্কন সম্পন্ন করো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01