স্পলবায়ু ও সমুদ্রবায়ু(Land Breeze and Sea Breeze)
স্পলবায়ু (Land Breeze): সাময়িক বায়ুর একটি অন্যতম বায়ু হল স্পলবায়ু। সাধারণত রাত্রিবেলা উপকূল অঞ্চলে স্থলভাগ সমুদ্র অপেক্ষা দ্রুত হারে তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়, ফলে মধ্যরাত্রি থেকে ভোর রাত্রি পর্যন্ত স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি উদ্বু থাকে, ফলে জলভাগে নিম্নচাপ ও স্থলভাগে উচ্চচাপ বিরাজ করে, এবং উচ্চচাপযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে একপ্রকার বায়ু প্রবাহিত হয়, একে স্থলবায়ু (land breeze) বলে। এই বায়ু সারা রাত ধরে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু ভোরবেলায় এই বায়ুর গতিবেগ সর্বাধিক লক্ষ করা যায়। এই বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় 10 কিমি এবং বিস্তার উপকূল থেকে 10-15 কিমি ও গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 200 মিটার। এই বায়ুর সাহায্যে পালতোলা নৌকা সমুদ্রযাত্রা করে। এই বায়ু উপকারী ও স্বাস্থ্যকর।
সমুদ্রবায়ু (Sea Breeze): সাময়িক বায়ুর আর একটি অন্যতম বায়ু হল সমুদ্রবায়ু। দিনের বেলায় প্রচণ্ড সূর্যের তাপে প্রকৃতিগত কারণেই স্থলভাগ সমুদ্র অপেক্ষা দ্রুতহারে উত্তপ্ত হয় এবং স্থানীয়ভাবে স্থলভাগে নিম্নচাপ ও জলভাগে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে সমুদ্র সংলগ্ন অঞ্চলে সমুদ্র থেকে বায়ু স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে সমুদ্রবায়ু (sea breeze) বলে
এই বায়ু সাধারণ বিকেলবেলা সমুদ্র থেকে স্থল ভাগে দিকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুর গতিবেগ দুপুরবেলায় সর্বাধিক। সমুদ্রের বায়ুর গতিবেগ ঘন্টায় 10-20 কিমি। উষ্ণ মণ্ডলের সমুদ্রের বায়ুর উপকূল থেকে 40-50 কিমি প্রসারিত হয় এবং নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে 15-25 কিমি বিস্তৃতি লাভ করে। তবে এই বায়ুর গভীরতা ২ কিমির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সমুদ্র বায়ুর প্রভাবে কোন অঞ্চলে উষ্ণতা হ্রাস পায় যা বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে।