welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

মুখ্য বিভাজনের বা মুখ্য ভাগের মান নির্ণয় পদ্ধতি(methods of determining value of primary division)

মুখ্য বিভাজনের বা মুখ্য ভাগের মান নির্ণয় পদ্ধতি(methods of determining value of primary division)


একটি মুখ্য ভাগের মান সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত শখতি অনুসরণ করা অবশ্যই প্রয়োজন। যেমন-

(1)তিনসংখ্যার পূর্ণ মানবিশিষ্ট ডায়াগোনাল স্কেল করতে হলে মুখ্য ভাগ 100 এককের হবে। ধরা যাক, 375 মাইল পাঠ করতে হবে। তাহলে প্রতিটি মুখ্য ভাগ 100 মাইল হবে। (Fig. 2.34 দেখো)।

(2)দশমিকের পর এক সংখ্যাবিশিষ্ট মান পাঠ করতে হলে মুখ্য ভাগ 10 এককের হবে। ধরা যাক, 23.5 মিটার পাঠ করতে হবে। তাহলে প্রতিটি মুখ্য ভাগ 10 মিটার হবে।

(3)দশমিকের পর দুই সংখ্যাবিশিষ্ট মান পাঠ করতে হলে মুখ্য ভাগ । এককের হবে। ধরা যাক, 2.35 মিটার পাঠ করতে হবে। তাহলে প্রতিটি মুখ্যা ভাগ 1 মিটার হবে। (Fig. 2.30 দেখো)।

(4)দশমিকের পর তিন সংখ্যাবিশিষ্ট মান পাঠ করতে হলে মুখ্য ভাগের মান সর্বোচ্চ । একক অথবা এর ভগ্নাংশ ধরতে হবে। দশমিকের পরের তিনটি সংখ্যা যে সংখ্যাটি দিয়ে বিভাজ্য হবে সেই সংখ্যা ভগ্নাংশে মুখ্য ভাগের মান নির্দেশ করবে। ধরা যাক, 3.755 মাইল পাঠ করা হবে। তাহলে মুখ্য ভাগের মান হবে 0.5 মাইল অথবা এর দ্বিগুণ 1 মাইল। কারণ দশমিকের পরে 755 মান 5 দ্বারা বিভাজ্য।

(5)দশমিকের তিন সংখ্যাবিশিষ্ট প্রগৌণ ভাগের মান দেওয়া থাকলে তাকে 100 দিয়ে গুণ করে মুখ্য ভাগের মান পাওয়া যায়। ধরা যাক, যেমন-

i) প্রগৌণ ভাগের মান 0.014 কিমি এবং পাঠ করতে হবে 3.004 কিমি। এক্ষেত্রে মুখ্য ভাগের মান হবে 1.4 কিমি (0.014×100=1.4)

ii] প্রগৌণ ভাগের মান 0.011 মাইল এবং পাঠ করতে হবে 6.002 মাইল। এক্ষেত্রে মুখ্য ভাগের মান হবে। 1.1 মাইল (0.011×100=1.1) |

(6)ডায়াগোনাল স্কেলে মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগে যথাক্রমে মাইল ফার্লং-গজ বা ফার্লং-গজ ফুট বা গজ-ফুট-ইঞ্চি দেখানোর ক্ষেত্রে গুণক স্থির হয় এদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে। ধরা যার, 4 গজ 2 ফুট ১ ইন্দি দেখাতে হবে, তাহলে মুখ্য ভাগের দৈর্ঘ্যকে তিনভাগ করলে গৌণ ভাগে ফুট (1 গজ = 3 ফুট) এবং গৌণ ভাগের দৈর্ঘ্যকে 12 ভাগ করলে প্রগৌণ ভাগে ইঞ্চি (1 ফুট =12 ইঞ্চি) পাওয়া যাবে। (Fig. 2.35- দেখো)।

ডায়াগোনাল স্কেল অঙ্কনে প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ

(necessary items for drawing the diagonal scale)

(1)অঙ্কিত ডায়াগোনাল স্কেলেটির দৈর্ঘা 12 থেকে 15 সেমি অথবা 5 থেকে 6 ইঞ্চির মধ্যে আঁকবে।

(2)মুখ্য ভাগের সংখ্যা 15 সেমি বা 6 ইঞ্চির মধ্যে যতগুলি সম্ভব বেশি সংখ্যক করবে।

(3)সাধারণত স্কেলের বাঁদিকে ডায়াগোনাল স্কেলটি আঁকবে।

(4)মুখ্য ও গৌণ ভাগগুলি করার জন্য জ্যামিতিক পদ্ধতি অনুসরণ যেখানে প্রয়োজন সেখানে করবে। অন্যথায় দরকার নেই।

(5)প্রদত্ত বইতে example 1, 2, 3, 4, 7, 8 6 10-এর ক্ষেত্রে মুখ্য ও গৌণ ভাগগুলির ক্ষেত্রে জ্যামিতিক পদ্ধতি অনুসরণ দরকার নেই। এবং example-4 (গৌণ), 5,6 ও ৭ (গৌণ)-এর ক্ষেত্রে জ্যামিতিক পদ্ধতি অনুসরণ দরকার মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগে এককগুলির মান যথাযথভাবে লিখবে এবং স্কেলের শিরোনাম ও R.F. অবশ্যই লিখবে।

(6)প্রগৌণ অংশকে সবসময় 10, 12, 20 ইত্যাদি সংখ্যায় বিভক্ত করতে হবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রগৌণ অংশের পাঠ ও এর ন্যূনতম মান অনুযায়ী ভাগ সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।

(7)প্রগৌণ ভাগ করার সময় মনে রাখা প্রয়োজন যে, প্রগৌণ অংশ আঁকার জন্য গৌণ ভাগের শেষ বিন্দু থেকে যে কোনো মাপের উল্লম্ব সরলরেখা টানা যায় এবং একে প্রয়োজন মতো সমান অংশে ভাগ করা যায়। এজন্য উল্লম্ব রেখাটিকে জ্যামিতিক পদ্ধতিতে ভাগ করার কোনো প্রয়োজন নেই। উল্লম্ব রেখার দৈর্ঘ্য ছোটো-বড়ো যাই হোক না কেন প্রতিটি প্রগৌণ ভাগের দৈর্ঘ্যের অনুপাত সর্বদাই সমান থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01