welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

মানচিত্রের ক্ষেত্রফল পরিমাপ (measurement of area on maps)

মানচিত্রের ক্ষেত্রফল পরিমাপ (measurement of area on maps)


ভূমিকা (Introduction)

ভূ-পৃষ্ঠের দ্বিমাত্রিক পরিমাপ অর্থাৎ ক্ষেত্রফল (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ) জরিপ কাজের মাধ্যমে সঠিকভাবে নির্ণয় করা গেলেও মানচিত্র থেকে ভূ-পৃষ্ঠের সঠিক ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা যায় না। মানচিত্রে প্রদর্শিত স্থানের ক্ষেত্রফল কখনও ভূমিভাগের প্রকৃত ক্ষেত্রফল নির্দেশ করে না। মানচিত্রে উপস্থাপিত ভূ-পৃষ্ঠীয় ক্ষেত্রফল প্রকৃতপক্ষে সমুদ্রতলে অভিক্ষিপ্ত ক্ষেত্রফলের সমান।

ভূ-পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল সাধারণত দুভাবে নির্ণয় করা হয়-

[i] জরিপ কার্যের মাধ্যমে এবং [i] মানচিত্রের থেকে ক্ষেত্রফল নির্ণেয় মাধ্যমে। মানচিত্র থেকে ভূমির ক্ষেত্রফল পরিমাপ সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে করা হয়, যথা-

① লৈখিক পদ্ধতিতে (graphical method) এবং

[A] বর্গ পদ্ধতি (square method)

[B] জরিপ ফালি পদ্ধতি (strip method)

[C] জ্যামিতিক পদ্ধতি (geometric method)

ইহা চার প্রকার। যথা-

[i] the mid ordinate rule

[ii] the mid absissa rule

[iii] the trapezoidal rule

[iv] divide the area into triangles

② যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (Instrumental method)

লৈখিক পদ্ধতিতে মানচিত্র থেকে ভূমির ক্ষেত্রফল পরিমাপ (graphical methods of measurement of ground-area from map)

মানচিত্র থেকে ভূমির ক্ষেত্রফল বিভিন্ন প্রকার লৈখিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায়। এগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল-

ছক কাগজের (graph paper) ব্যবহারের মাধ্যমে বা বর্গ পদ্ধতি (square method)

মধ্য-কোটি অঙ্কন (mid-ordinate) ও পরিমাপ করে।

মধ্য-ভুজ অঙ্কন (mid-abscissa) ও পরিমাপ করে।

গড় কোটি (mean-ordinate) অনুসরণ করে ক্ষেত্রফল নির্ণয়।

চিহ্নিত অঞ্চলকে ত্রিভুজে (triangle) ভাগ করে। প্রভৃতি। প্রথম চারটি পদ্ধতির মাধ্যমে নির্ণীত ক্ষেত্রফল প্রায় একই হয়, পার্থক্যের পরিমাণ খুবই কম। তাই এই চারটি পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য।

(1)বর্গ পদ্ধতি বা ছক কাগজের সাহায্যে মানচিত্রের ক্ষেত্রফল পরিমাপ (measurement of area with the use of graph paper or square method)

ছক কাগজের সাহায্যে মানচিত্রের ক্ষেত্রফল পরিমাপের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। যথা-

step-একটি মিলিমিটার বা ইঞ্চি ছক কাগজ নিয়ে মানচিত্রের ওপর বসাও। যে ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হবে তার পরিসীমা ওই ছক কাগজের ওপর ট্রেস বা অঙ্কন করো।

step- মিলিমিটার ছক কাগজ ব্যবহার করে নিম্নলিখিত ঘরগুলি চিহ্নিত এবং ঘরগুলি ভিন্ন রং দ্বারা চিহ্নিত করো। যেমন-

(a) 1 বর্গ সেমি বিশিষ্ট ঘর।

(b) 1/2 = 0.5 বর্গ সেমি বিশিষ্ট ঘর।

(c) 1/3 = 0.33 বর্গ সেমি বিশিষ্ট ঘর।

(d) 1/4 = 0.25 বর্গ সেমি বিশিষ্ট ঘর।

(e) 1/100 = 0.01 বর্গ সেমি বিশিষ্ট ঘর। অথবা,

ইঞ্চি ছক কাগজে ব্যবহার করে নিম্নলিখিত খরগুলি চিহ্নিত এবং ঘরগুলি ভিন্ন ভিন্ন রং দ্বারা চিহ্নিত করো-

(a) 1 বর্গ ইঞ্চি বিশিষ্ট ঘর।

(b)1/2 = 0.5 (b)বর্গ ইঞ্চি বিশিষ্ট ঘর।

(c) 1/3 = 0.33 বর্গ ইঞ্চি বিশিষ্ট ঘর।

(d)1/4 = 0.25 (d)বর্গ ইঞ্চি বিশিষ্ট ঘর।

(e) 1/100 = 0.01 বর্গ ইঞ্চি বিশিষ্ট ঘর।

step-মিলিমিটার বা ইঞ্চি ছক কাগজের মধ্যে ঘরের সংখ্যা নির্ণয় করো এবং প্রতিটি ঘরের ক্ষেত্রফল দিয়ে গুণ করে মোট মানচিত্র নির্দেশিত অঞ্চলের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।

step- মানচিত্রের মোট ক্ষেত্রফল (বর্গ সেমি/বর্গ ইঞ্চি) কে ভূ-পৃষ্ঠের মোট ক্ষেত্রফলে (বর্গকিমি/কর্গমাইল) পরিবর্তন করো ।

(2)মধ্য-ভোটি অনুসৃত ক্ষেত্রফল পরিমাণ (Mid-ordinate rule of area measurement)

মধ্য কোটি অঙ্কন করে কোন অববাহিকা বা প্রশংসনীতি মানচিত্রের ক্ষেত্রফল নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসারে নির্ণয় করা হয়।যথা-

Step-প্রদত্ত নদী অববাহিকা বা প্রশাসনিকের মানচিত্রের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সীমানা বরাবর দুটি উদলব্ধ সরলরেখা অঙ্কন করা হলো।

step- উক্ত মানচিত্রের পূর্ব-পশ্চিম সীমান্য স্পর্শ করে সর্বাধিক লৈা অর্থাৎ সর্বদিক অক্ষ যে আশে পাওয়া যায়। একটি অনুভূমিক photontal) সরলরেখা অলন করা হলো যা প্রারদেশীয় ক্রিস্বরেখার সঙ্গে লম্বভাবে আসনে করে। এই বক্ষের (major axis) দৈর্ঘ্য স্কেলের সাহায়ে (সেটি শো) পরিমাপ করা হলো।

step-মানচিত্রের পূর্ব-পশ্চিমের উল্লম্বরেখা যারা সীমাবন্দ অনুভূমিক রেখাকে। সেমি অস্থা কয়েকটি সমান ভাগে চিহ্নিত করা হলো। তবে পূর্ব রাজের শেষ ভাগটি। সেমির কম হতেও পারে

Step-ওই অনুভূমিক রেখার উপর চিহ্নিত প্রতিটি ভাগের মাঝে একটি মধ্যবিন্দু চিহ্নিত করা

Step-ওই প্রতিটির মধ্যবিন্দু থেকে উত্তর দক্ষিণের সীমানা পর্যন্ত উল্লাপ্য রেখা বা মধ্য কটি অঙ্কন করা হল।

Step-অঙ্কিত মধ্য কোটিপুলিশ স্কেলের সাহায্যে দৈর্ঘ্যের পরিমাপ করা হলো এবং তাদের গড় দৈর্ঘ্যের নির্ণয় করা হলো।

Step-এবার মূলদ্য রেখা গুলির গড় দৈর্ঘ্যের সঙ্গে অনুভূতি রেখা বা সর্বাধিক অক্ষে দৈর্ঘ্য দ্বারা গুন করা হলো।। এই গুণফল ই মানচিত্রের অববাহিকা বা প্রশংসনীয় ক্ষেত্রে ফল। সুতরাং মানচিত্রের ক্ষেত্রফল=গড় মধ্যকোটির দৈর্ঘ্য×সর্বাধিক অর্থের দৈর্ঘ্য। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01