welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

সাধারণ স্কেল-এর ধারণা (concept of natural scale)

সাধারণ স্কেল-এর ধারণা (concept of natural scale)


যখন কোনো উপাত্ত বা তথ্যের পরিমাণ কম এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মানের পার্থক্য খুব বেশি নয়, তখন যে স্কেলের সাহায্যে উপাত্ত বা তথ্যের উপস্থাপন করা হয় তাকে সাধারণ স্কেল বা পাটিগাণিতিক স্কেল বলে। এই স্কেল অনুযায়ী সাধারণ গ্রাফ পেপারে স্থানাঙ্কযুক্ত বিন্দু পাওয়া যায়। সাধারণ স্কেল-এর নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

① উল্লম্ব ও অনুভূমিক সাধারণ স্কেলে নির্ধারণের কোনো সুনির্দিষ্ট সূত্র নেই। তবে তা এমনভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন যাতে মাপচিত্র বা চিত্রটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে দৃষ্টিনন্দন ও মনোগ্রাহী হয়।

② সাধারণ গ্রাফ পেপারে পরস্পর উল্লম্ব দুটি ভেদক সরলরেখা, যারা পরস্পরকে '০' বিন্দুতে (মূলবিন্দু) ছেদ করে। এই মূলবিন্দুর মান যে কোনো হতে পারে।

③ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিসংখ্যানের মধ্যে পার্থক্য বেশি হলে গ্রাফ পেপারে (সাধারণ) উচ্চতা সঠিকভাবে বজায় রাখতে Y-অক্ষে breaks [#] চিহ্ন ব্যবহার করে মূলবিন্দু শূন্য থেকে পরিবর্তনীয় মান প্রদর্শন করা হয়।

সংজ্ঞা (definition)

① বিভিন্ন পরিসংখ্যানগুলিকে যখন কোনো নির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে সাধারণ গ্রাফ পেপারে অঙ্কন করা হয় তখন ওই স্কেলটিকে সাধারণ স্কেল বলে।

② নির্দিষ্ট হিসেব অনুসারে একটি সরলরেখাকে কতকগুলি ভাগে ভাগ করলে তাকে সরল স্কেল (simple scale) বা সাধারণ স্কেল (plain scale) বা ন্যাচারাল স্কেল বলে।

③ যে স্কেলের সাহায্যে সমদূরত্ব সমমানের পার্থক্যের সঙ্গে সমান, তাকে সাধারণ স্কেল (natural scale) বলে।

গুরুত্ব (importance)

(1)সাধারণ স্কেল-এর সাহায্যে মাপচিত্রগুলির হিসেব ও অঙ্কন সহজতম ও সরলতম হয়।

(2)যে কোনো ভৌগোলিক তথ্যের নির্দিষ্ট সময় অনুসারে পর্যায়ক্রমিক অবস্থা সহজে সাধারণ স্কেল-এর সাহায্যে উপস্থাপন করা হয়।

সাধারণ গ্রাফ পেপার-এর উপর সরলরেখা অঙ্কন (drawing of straight line on a simple graph paper)

সাধারণ গ্রাফ পেপারে সরলরেখা অঙ্কন করা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে স্থানাঙ্কযুক্ত বিন্দু যেমন O (x₁, V₁), P(x, y), Q ( Va), ইত্যাদিকে xy সমতলে বসালে যে বিন্দুগুলি পাওয়া যায় তাদেরকে যোগ করলে একটি সরলরেখা তৈরি হয়। এই সরলরেখা অধিকাংশ ক্ষেত্রে xy অক্ষের সঙ্গে একটি কোণে মিলিত হয়। কোনো সরলরেখা -অক্ষের ধনাত্মক দিকের সঙ্গে যে কোণ (angle) উৎপন্ন করে সেই কোণের ত্রিকোণমিতিক  ট্যানজেন্টকে ওই সরলরেখার নতি (slope) বলা হয়। সরলরেখা নতিকে সাধারণত 'm' অক্ষর দিয়ে নির্দেশ করা হয়। অর্থাৎ কোনো সরলরেখা যদি কোণে নত হয় তাহলে m= tane।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01