ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রে প্রস্থচ্ছেদ অঙ্কন পদ্ধতি(method of drawing of cross section on a geological map)
ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রে প্রথমে section line টানার পর section Bine টানা হল। তারপর প্রস্থচ্ছেদ অঙ্কনের জন্য নিম্নলিখিত ধাপে-ধাপে কাজ করতে হবে।
(1)প্রথমে সমোন্নতিরেখা অথবা স্থানীয় উচ্চতাগুলির (spot height) সাহায্যে প্রদত্ত লাইন-বরাবর একটি প্রস্থচ্ছেদ অঙ্কন করতে হবে। সমোন্নতি রেখার পরিবর্তে মানচিত্রে শুধুমাত্র স্থানীয় উচ্চতা দেওয়া থাকলে প্রদত্ত লাইনের উপর স্থানীয় উচ্চতাগুলি থেকে লম্ব অঙ্কন করতে হবে (চিত্র নং 8.30 দেখো) এই লম্বগুলি বিভিন্ন উচ্চতাকে নির্দেশ করবে। এই লম্বগুলি প্রদত্ত লাইনে যেসব স্থানে ছেদ করবে সেই সব স্থানের বা বিন্দুগুলির বা সমোন্নতি রেখার বিভিন্ন ছেদ বিন্দুর উচ্চতা সমূহ লিখে নাও।
(2)তারপর উক্ত কাগজেই বিভিন্ন শিলাস্তরের সংযোগস্থল সমূহ চিহিতে করে তা প্রস্থচ্ছেদটির ভূমিভাগে অর্থাৎ যে রেখাটি সমুদ্রপৃষ্ঠকে ২০ক্সগ্ন নির্দেশ করে সেই লাইনের উপর চিহিতে করতে হবে এবং ঐ চিহিতে বিন্দুগুলি প্রস্থচ্ছেদটির উপর ঠিক লম্বরূপে উঠিয়ে চিহিতে করতে হবে। এবং লম্বগুলির শীর্ষ-বিন্দুগুলি সূক্ষ্ম সমৃণ রেখার দ্বারা যুক্ত করতে হবে। একই উচ্চতায় যদি পরপর দু'টি লম্ব থাকে, তাদের যুক্ত করার আগে দেখতে হবে যে, তাদের মধ্যবর্তী স্থানটি উঁচু হবে (পর্বতশীর্ষ) বা নিচু (উপত্যকা) হবে। এভাবে যে যুক্ত বক্ররেখাটি হল, তাকেই প্রস্থচ্ছেদ (cross-section) বলা হয়।
(3)নতি নির্ণয় পদ্মতি অনুসারে বিভিন্ন শিলাজ্বরের সংযোগগুলোতে শিলাস্তরের নতি ও নতির দিক নির্ধারণ করতে হবে। অতঃপর প্রস্থচ্ছেদের ভিত্তিরেখায় চিহিতে শিলাস্তরের বিভিন্ন বিন্দুগুলোর মধ্য দিয়ে এদের নির্দিষ্ট নতিকোণ ও নতির দিক অনুসারে বিভিন্ন কোণ অঙ্কন করতে হবে। পরে প্রস্যচ্ছেদের উপর চিত্রিত বিভিন্ন শিলাস্তরের জন্য চিহিতে বিন্দুগুলোর মধ্য দিয়ে ভিত্তি রেখায় অঙ্কিত কোণের সমান কোণ অঙ্কন করতে হবে।
(4) প্রশ্নচ্ছেদটিতে শিলাস্তরগুলো properly shaded হবে এবং যদি অসংগতি রেখা (unconformity lines থাকে তাহলে সেটিকে ঢেউ খেলানো রেখার সহায় দেখাতে হবে।
(5) শিলার সঞ্চয় অনুসারে index বা legend তৈরি করে হবে।পরিশেষে প্রস্থচ্ছেদটির বিভিন্ন অংশের proper labelled (শিরোনাম, স্কেল ও বিভিন্ন অংশ) করতে হবে।