welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

বায়ুর চাপ(Air Pressure)

বায়ুর চাপ(Air Pressure)


সংজ্ঞা ও ধারণা (Definition and Concept)

পৃথিবীর অন্যান্য বস্তুর মতো বায়ুরও ওজন আছে। বায়ুর চাপ (air pressure) বলতে সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত বায়ুস্তরের যে ওজন পড়ে তাকে বোঝায়। ওজন একটি বল, এক্ষেত্রে এই বল বায়ুস্থিত গ্যাসগুলির অণুসমূহের অবিরাম সংঘর্ষের ফলে উৎপন্ন হয় (air pressure is defined as the force exerted against a surface by continuous collision of gas molecules.)। সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রতি 1 বর্গ সেমি বায়ুর চাপ 1 কিলোগ্রামের সমান। এই চাপকে প্রমাণ সমুদ্রপৃষ্ঠ চাপ (stnadard sea level air pressure) বলে।

চাপের তারতম্য (Variation of Pressure)

বায়ু চাপ ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সমান নয়। কোথাও বেশি আবার কোথাও কম। এমনকি একই জায়গায় একই দিনের বিভিন্ন সময়ে বায়ুর চাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। বায়ুর চাপের এই তরতম্যের প্রধান কারণগুলি হল:

1. বায়ুর উদ্বুতার তারতম্য (Variation of Air Temperature): বায়ু উত্তপ্ত হলে আয়তনে বাড়ে, বায়ুর চাপ হালকা হয়। পক্ষান্তরে তাপমাত্রা হ্রাসের জন্য শীতলীকৃত ভারী বায়ু বেশি চাপ প্রদান করে। অর্থাৎ তাপ বাড়লে চাপ কমে। এক্ষেত্রে তাপের সঙ্গে চাপের ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক (আয়তন স্থির নয় বলে)। সেইজন্য বলা হয় where the thermometer is high, the barometer is low। সুতরাং বায়ুর উদ্ভতার তারতম্য বায়ুমণ্ডলের চাপের তারতম্যের একটি অন্যতম কারণ।

2. বায়ুতে জলীয় বাষ্পের তারতম্য (Variation of Water Vapour): জলীয় বাষ্প বায়ুর চেয়ে হালকা, সেজন্য যে বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে সেই বায়ু শুকনো বায়ুর চেয়ে হালকা হয় এবং তার চাপ কম হয়। এই কারণে বর্ষাকালের বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার দরুন বায়ুর চাপ কম হয়। শুকনো বায়ু ভারী এবং তার চাপও বেশি।

3. ভূপৃষ্ঠের উচ্চতার পার্থক্য (Variation of Height of Surface): সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুস্তরের ঘনত্ব তত কম হয়। তাই চাপও কম হয়। সাধারণত প্রতি 900 ফুট উচ্চতায় 1 ইঞ্চি বায়ুর চাপ কম হয় বা প্রতি 110 মিটার উচ্চতায় 1 সেমি করে হ্রাস পায়। তবে ওপরের বায়ুর স্তরের সব জায়গায় এই হারে বায়ুচাপ কমে না।

4. পৃথিবীর আবর্তন গতি (Rotation of Earth): পৃথিবীর আবর্তনগতির জন্যেও বায়ুচাপের পার্থক্য ঘটে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে উয় ও হালকা বায়ু আবর্তন গতির প্রভাবে উত্তর-দক্ষিণ উভয়দিকে বিক্ষিপ্ত হয়। এর ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ হ্রাস পায় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ বৃদ্ধি পায়।

5. স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন (Distribution of Land and Water Bodies): স্থলভাগ কঠিন এবং তার আপেক্ষিক তাপ (specific heat) জলের তুলনায় কম বলে গ্রীষ্মে বেশি গরম এবং শীতে বেশি ঠান্ডা হয়ে পড়ে। তাই মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চলে জলভাগ অপেক্ষা স্থলভাগ শীতকালে বেশি শীতল এবং গ্রীষ্মকালে বেশি উয় থাকে। ফলে স্থলভাগে শীতকালে উচ্চচাপের এবং গ্রীষ্মকালে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। জলভাগে বিপরীত অবস্থা ঘটে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01