welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

স্টেশন মডেল- ভারত প্রসঙ্গ (station model-indian context)

স্টেশন মডেল- ভারত প্রসঙ্গ (station model-indian context)


ধারণা (concept)

আবহবিদ্যা সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য, মডেল ইত্যাদি বুঝতে গেলে দরকার, বায়ুমণ্ডলের গঠন, প্রকৃতি, ক্রিয়াকলাপ এবং উপযোগিতা সম্পর্কে উপলব্ধি। বায়ুমণ্ডলের গভীরতা, পৃথিবীর মোট ব্যাসার্ধের এক শতাংশেরও কম। কিন্তু মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি, টর্নেডো, তুষারপাত ইত্যাদি আবহমণ্ডলকৃত বিভিন্ন ঘটনা মানুষ সমেত পৃথিবীর জড় ও জীবজগতের উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। এমন কি মায়ুন্ডলের সুস্থতার উপরেই পৃথিবীতে জীবের থাকা না থাকা নির্ভর করে। অস্থির বায়ুমণ্ডলের খামখেয়ালিপনা মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বলে বলীয়মান মানুষ প্রকৃতির অন্যান্য উপাদানের মতোই আবহমণ্ডলের ক্রিয়াকলাপকেও নিজের বশে আনতে চায়। এই প্রচেষ্টার একটি অন্যতম অংশ হল আবহাওয়ার নিখুঁত ও নির্ভুল পূর্বাভাষ দেওয়ার চেষ্টা। বায়ুমন্ডলের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন শক্তি ও বল সর্বদাই কিছু না কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে চলছে। তাই পূর্বাভাষ সর্বদা একশো শতাংশ নির্ভুল হয় না। কিন্তু সেটা মেনে নিয়েও বলা যায়, ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা, খরা ইত্যাদির আগাম খবর অল্প জানা থাকলেও পারিবারিক জীবন থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা সর্বত্রই সুবিধে পাওয়া যায়।

সিমপ্টিক চার্ট (synoptic chart)

প্রতিটি দেশেই তৃণমূলস্তর থেকে শুরু করে ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয়স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন আবহভিত্তিক তথ্য সংগ্রাহক কেন্দ্রথাকে। এই কেন্দ্রগুলিতে ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর উয়তা, শিশিরাঙ্ক, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত, মেঘের প্রকৃতি ও অবস্থান, বায়ুপ্রবাহের দিক ও গতিবেগ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

বিভিন্ন কেন্দ্রের এই তথ্যগুলিকে একত্র করে এলাকাভিত্তিক এবং সময়ভিত্তিক বিশ্লেষণী বিবরণ প্রস্তুত করা হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রের ঘন্টা ধরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সংগৃহীত তথ্যগুলি টেলি যোগাযোগ বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাহায্যে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। এবার দেশের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে এই বিপুল তথ্য ভান্ডারকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিপুল তথ্য যাতে দ্রুত পাঠানো সম্ভব হয় এবং তথ্যগুলি যাতে আন্তর্জাতিক স্তরেও গ্রহণযোগ্য হয়, এই দুই কারণে প্রতিটি দেশেই আবহবিদ্যা সম্পর্কিত তথ্যগুলি প্রকাশ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সাংকেতিক বিধি ও চিহ্ন সারণির সাহায্য নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রহণযোগ্য, আবহতথ্য প্রকাশকারী সাংকেতিক বিধি ও চিত্র সারণিকে বলা হয় সিনপ্টিক চার্ট।

ইংরেজি ভাষায় 'সিনস্টিক' কথার অর্থ হল 'সার-সংক্ষেপিত'। Synoptic কথাটি এসেছে গ্রীক শব্দ 'sun' অর্থ 'with' এবং 'opsis' অর্থ 'seing' অর্থাৎ ধরে নেওয়া যেতে পারে অনেক কিছু একসঙ্গে সংক্ষেপে দেখতে পাওয়া এটা synoptic chart-এর নামকরণের অর্থ।

স্টেশন মডেল (station model)

পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য যে সকল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে তা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা World Meteorological Organization (W. M. O.) নামে পরিচিত। এই সংস্থা একটা বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ার উপাদানগুলিকে আবহাওয়ার অবস্থা অনুসারে পর্যবেক্ষণ করে নথিভুক্ত করতে পারে তার জন্য কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ও সংখ্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সাংকেতিক চিহ্ন ও সংখ্যাগুলিকে আবহাওয়া মানচিত্রের প্রতিটি স্টেশন (station)-কে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়। ঐ চিত্রগুলি দেখাবার পদ্ধতিটি স্টেশন মডেল (station model) নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে স্টেশন মডেলে ব্যবহৃত প্রতীক চিহ্নগুলি দ্বারা কোনও দেশের আবহাওয়ার একটা সামগ্রিক ছবি পাওয়া সম্ভব।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01