welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

সমাজ সংস্কারে বিভিন্ন মনীষীর ভূমিকা

বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কি না এ বিষয়ে বিদ্যাসাগর 1855 খ্রিষ্টাব্দে দুটি পুস্তিকা রচনা করেন। এক বছরের মধ্যেই পুস্তিকা দুটির ইংরেজি অনুবাদ

 ১)  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কার

উনিশ শতকের ভারতবর্ষে যে কয়েকজন মনীষী জন্মগ্রহন করেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ। কুসংস্কার দূর করে সমাজ সংস্কারের কাজে তিনি নিজের জীবন ও কর্মকে নিয়োজিত করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলেছেন, “বিদ্যাসাগরের মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালির মতো।”

কৌলীন্য প্রথার বিরোধিতা


তৎকালীন হিন্দু সমাজে প্রচলিত কৌলিন্য প্রথার ফলে কুল রক্ষার উদ্দেশ্যে বহু পিতা-মাতা তাদের বালিকা কন্যাকে খুব বয়স্ক, এমনকি বৃদ্ধের সঙ্গে বিবাহ দেন এর ফলে ভবিষ্যতে হিন্দু নারীর জীবনে সীমাহীন দুর্দশা নেমে আসত। তিনি এই কৌলিন্য প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। কৌলিন্য প্রথার সুযোগ নিয়ে কুলীন ব্রাহ্মণ কিভাবে নারীদের সর্বনাশ করছে তা তিনি হুগলি জেলার 133 জন ব্রাহ্মণের বৈবাহিক সম্পর্কের তালিকা তৈরি করে প্রমাণ দেয়।

বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে উদ্যোগ


বিধবা নারীদের জীবনের করুণ দশা বিদ্যাসাগরকে খুবই ব্যথিত করে। তিনি হিন্দুশাস্ত্র বিশেষত ‘পরাশর সংহিতা’ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত। তিনি বিধবা বিবাহের সমর্থনে ব্যাপক প্রচার শুরু করেন এবং আন্দোলন গড়ে তোলেন। তা ছাড়া দরিদ্র বিধবাদের সহায়তার উদ্দেশ্যে তিনি 1872 খ্রিস্টাব্দে ‘হিন্দু ফ্যামিলি অ্যানুইটি ফান্ড’ গঠন করেন।

বিধবাবিবাহ আইন পাস


বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কি না এ বিষয়ে বিদ্যাসাগর 1855 খ্রিষ্টাব্দে দুটি পুস্তিকা রচনা করেন। এক বছরের মধ্যেই পুস্তিকা দুটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। তার উদ্যোগে বিধবা বিবাহের প্রতি সমর্থন জানিয়ে 1855 খ্রিষ্টাব্দের 4 অক্টোবর 1 হাজার ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠানো হয়। শেষপর্যন্ত বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় বড়োলাট লর্ড ডালহৌসি 1856 খ্রিস্টাব্দে 26 শে জুলাই 140 নং রেগুলেশন দ্বারা বিধবা বিবাহ আইন পাস করেন।

বিধবাবিবাহের আয়োজন


বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন 1856 খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার পলাশডাঙ্গার ব্রহ্মানন্দ মুখোপাধ্যায়ের 10 বছরের বিধবা কন্যা কালীমূর্তি দেবীকে বিবাহ করেন। বিদ্যাসাগর নিজ পুত্র নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে অষ্টাদশী বিধবা ভবসুন্দরীর বিবাহ দেন। বিদ্যাসাগর 1856 থেকে 1867 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নিজের উদ্যোগে 82 টাকা ব্যয় করে 60 জন বিধবার বিবাহ দেন।

বাল্যবিবাহের বিরোধিতা


উনবিংশ শতকে ভারতের হিন্দু সমাজে বাল্যবিবাহের প্রকোপ ছিল। বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর সর্বশুভকরী সভার মুখপাত্র সর্বশুভকরী পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। সোমপ্রকাশ পত্রিকায় লেখা হয় বাল্যবিধবাদের দুঃখ মোচনের জন্য বিধবা বিবাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিদ্যাসাগর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার শুরু করেন। এর ফলে ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে মেয়েদের বিবাহের সর্বনিম্ন বয়স 10 বছর ধার্য করে দেয়।

বহুবিবাহের বিরোধিতা


বিদ্যাসাগর বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি বর্ধমানের মহারাজার সহায়তায় বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে 50 হাজার ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রতিবাদপত্র ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠান। বহুবিবাহ বন্ধের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়ন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার বিদ্যাসাগর সহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। কিন্তু ইতিমধ্যে 1857 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মহা বিদ্রোহ সংঘটিত হওয়ার পর সরকার হিন্দুদের সামাজিক প্রথায় হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বহুবিবাহ বন্ধের বিষয়টি আর বেশিদূর এগোয়নি। বিদ্যাসাগর পরবর্তীকালে বহুবিবাহের বিরুদ্ধে দুটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, বহুবিবাহ অশাস্ত্রীয়। তার প্রচার ও শিক্ষাবিস্তারের ফলে বহুবিবাহের প্রকোপ বহুলাংশে হ্রাস পায়।

অন্যান্য সংস্কার


বিদ্যাসাগর তৎকালীন বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার ও কুপ্রথার বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন, কুষ্ঠরোগী হত্যা, অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ প্রথা প্রভৃতি কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করেন।

মূল্যায়ন


উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের যাদের অসামান্য অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।



২) ডিরােজিওর নেতৃত্বে বাংলায় সংস্কার আন্দোলন


ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরােজিও। তিনি কলকাতার এন্টালি অঞ্চলে এক ইঙ্গ-পাের্তুগিজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডেভিড ড্রামন্ডের ধর্মতলা অ্যাকাডেমিতে শিক্ষালাভ করেন। ডিরােজিও 1826 খ্রিস্টাব্দে মাত্র 17 বছর বয়সে হিন্দু কলেজে ইংরেজি ও ইতিহাসের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। শিক্ষাদানের প্রতি তাঁর প্রবল উৎসাহ এবং ছাত্রদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ যােগসূত্র স্থাপন হিন্দু কলেজে একটি আলােড়ন সৃষ্টি করে। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ইয়ং বেঙ্গল দল| তার নেতৃত্বে বাংলায় সংস্কার আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।

1. ডিরােজিওর আদর্শ


ডিরােজিও যুক্তি দিয়ে বিচার করে সবকিছু গ্রহণ করার জন্য তার ছাত্রদের পরামর্শ দেন। তিনি তার ছাত্রদের সঙ্গে সাহিত্য, ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, দেশপ্রেম প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে খােলামেলা আলােচনা করতেন। তার প্রেরণায় ছাত্ররা লক, হিউম, ভলতেয়ার, রুশাে, টম পেইন, বার্কলে প্রমুখ দার্শনিকের ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত হন।


2. অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা


ডিরোজিওর প্রভাবে তার অনুগামী ছাত্রদের মনে স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তিবাদের বিকাশ ঘটে। তিনি 1828 খ্রিস্টাবে মানিকতলায় ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসােসিয়েশন’ নামে একটি বিতর্ক সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সভা জাতিভেদপ্রথা, অস্পৃশ্যতা, মূর্তিপূজা, সতীদাহ প্রভৃতির বিরােধিতা করে। এখানে ডিরোজিওর অনুগামী ছাত্ররা প্রচলিত সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিজেদের মতামত প্রকাশ করত| এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র ছিল এথেনিয়াম।

3. পত্রিকায় প্রচার


সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ইয়ং বেঙ্গল গােষ্ঠী 1830 খ্রিস্টাব্দে ‘পার্থেনন’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এতে নারীশিক্ষা, নারীস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রভৃতি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাদের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘ক্যালেইডোস্কোপ’ পত্রিকায় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরােধিতা করা হয়। এছাড়া ডিরােজিও ‘হেসপেরাস’ ও ‘ক্যালকাটা লিটারারি গেজেট’ নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

4. রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে আক্রমণ


ইয়ং বেঙ্গল গােষ্ঠী হিন্দুধর্মের বক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমপ গড়ে তােলে। তারা গােমাংস খেতেন এবং ব্রাম্মণ পুরােহিতদের লক্ষ করে বলতেন, “আমরা গােমাংস খাই গাে”। তারা গঙ্গাজলের পবিত্রতা বিশ্বাস করতেন না এবং নিজেদের উপবীত ছিড়ে ফেলেন। তারা কালীঘাটের মন্দিরে মা কালীকে উদ্দেশ্য করে বলতেন, ‘মহাশয়া, প্রাতঃপ্রণাম’। তারা গঙ্গাজলের পবিত্রতা মানতেন না।

5. দেশাত্মবােধ


ডিরােজিও পাের্তুগিজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে ভারতীয়। তার লেখা ‘ফকির অব জঙ্গিরা’ ও ‘ভারতবর্ষ, আমার স্বদেশের প্রতি’ কবিতায় এদেশের প্রতি তার দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে।

6. সামাজিক আলােড়ন


ইয়ং বেঙ্গলদের হিন্দুধর্ম-বিরােধী সংস্কার আন্দোলন সমাজে তীব্র আলােড়ন ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। হিন্দু কলেজের বহু ছাত্রের অভিভাবক আশঙ্কিত হন যে, ডিরােজিওর ভাবধারা তাদের সন্তানের ক্ষতি করবে। এজন্য তারা তাদের সন্তানদের অন্য কলেজে সরিয়ে নিতে থাকেন। শেষপর্যন্ত ডিরোজিওকে অভিযুক্ত করে হিন্দু কলেজের কর্তৃপক্ষ তাকে পদচ্যুত করে। এর কিছুকাল পর 1831 খ্রিস্টাব্দে মাত্র 22 বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

3 ) রাজা রামমোহন রায়ের সমাজ সংস্কার

আধুনিক ভারতে যেসব সংস্কারক জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগণ্য ছিলেন রাজা রামমােহন রায়। রামমােহন ভারতীয় সমাজের অন্ধকার ও কুসংস্কার দূর করে জাতিকে আলাের পথ দেখান। তাঁকে ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’, ‘আধুনিক ভারতের জনক’, ‘আধুনিক ভারতের ইরাসমাস’ প্রভৃতি অভিধায় ভূষিত করা হয়। তিনি ছিলেন ‘ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত’। মােগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি দেন।

জাতিভেদ প্রথার বিরােধিতা

রামমােহন হিন্দু সমাজে জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতা প্রথার তীব্র বিরােধিতা করেন। তিনি ‘বজ্রসুচি’ গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করে প্রচার করেন যে, জাতিভেদ প্রথা শাস্ত্রসম্মত নয়। তিনি অসবর্ণ বিবাহের সমর্থনে বিভিন্ন পুস্তিকা রচনা করেন।

সতীদাহ প্রথা নিবারণ

তৎকালীন হিন্দু সমাজে উচ্চবর্ণের মধ্যে মৃত স্বামীর চিতায় তার জীবিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হত। এই অমানবিক কুপ্রথা ‘সতীদাহ প্রথা’ নামে পরিচিত। এই কুপ্রথার বিরোধিতা করে রামমােহন জনমত গড়ার উদ্দেশ্যে প্রচারকার্য চালান। তিনি বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে ৩০০জন বিশিষ্ট নাগরিকের স্বাক্ষর সংবলিত একটি আবেদনপত্র জমা দিয়ে এই প্রথা বন্ধের দাবি জানান। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে (৪ ডিসেম্বর) ১৭নং রেগুলেশন জারি করে সতীদাহপ্রথাকে বেআইনি এবং শাস্তিযােগ্য অপরাধ বলে ঘােষণা করেন।

নারীকল্যাণ

রামমােহন নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেন।

  1. তিনি বিভিন্ন শাস্ত্র থেকে উদ্ধতি দিয়ে প্রমাণ করেন যে, পিতা বা স্বামীর সম্পত্তিতে নারীর অধিকার আছে।
  2. তিনি স্ত্রীশিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
  3. কৌলীন্যপ্রথার অভিশাপ থেকে নারীসমাজকে রক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি প্রয়াস চালান।
  4. নারীর বিবাহ বিষয়ক সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে তিনি প্রয়াস চালান।

অন্যান্য সামাজিক সংস্কার

রামমােহন বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কন্যাপণ, কৌলীন্যপ্রথা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি কুপ্রথাগুলির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। রামমােহন নারীপুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা, বিধবাবিবাহের প্রচলন প্রভৃতি বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর হন।

উপসংহার

রামমােহন রায়ের চরিত্রে কিছু সীমাবদ্ধতাও লক্ষ করা যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হয় যে, তিনি জাতিভেদপ্রথা বা বহুবিবাহের বিরুদ্ধে তীব্রভাবে রুখে দাঁড়াননি। ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত অনুরাগের বশে তিনি দেশীয় শিক্ষার প্রতি অবহেলা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এসব সমালােচনা সত্ত্বেও আধুনিক ভারত গঠনে তার অবদান অসীম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01