welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

antartica Continent

Antarctica  Continent


 গ্রিক শব্দ 'Antarktika'র অর্থ 'উত্তরের বিপরীত। দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে ৮০° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে প্রায় গোলাকার এই মহাদেশটাকে কুমেরু বৃত্তরেখা এবং কুমেরু মহাসাগর ঘিরে রেখেছে। আয়তনে পৃথিবীর পশ্চিম এই মহাদেশ  (১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিমি) ইউরোপ, ওশিয়ার্নিয়ার থেকে বড়ো। পৃথিবীর উচ্চতম, শীতলতম, শুষ্কতম, দুর্গম মহাদেশ আন্টার্কটিকা। ক্যাপ্টেন ভট্, শ্যালটন, আমুন্ডসেন এই মহাদেশের এক একটা অব্দুল খুঁজে পান। সারাবছরই ১০২ কিমি পুরু স্থায়ী বরফের চাদরে ঢাকা থাকে—এই কারণে পৃথিবীর মানচিত্রে আন্টার্কটিকাকে সাদা রং-এ দেখানো থাকে। তাই আন্টার্কটিকার আরেক নাম 'সাদা মহাদেশ ।

পুরো মহাদেশটাই একটা বিশাল উঁচু মালভূমি, যার উচ্চতা ২০০০ থেকে ৫০০০ মিটার। মহাদেশের পশ্চিমদিকের কিন্তু পূর্বদিকের আশটা প্রশস্ত। বহু সাগর, উপসাগর, পপুঞ্জ মহাদেশটাকে ঘিরে রেখেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের অংশটা সংকীর্ণ রাস উপসাগরের তীরে মাউন্ট এরেনাস' আন্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। সিসিফ (৪৮৯২ মি.) আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। বিশাল বিশাল হিমবাহ রয়েছে। এই মহাদেশে এদের মধ্যে 'ল্যান্ডার্ট হিমবাহ পৃথিবীর দীর্ঘতম।

চিরস্থায়ী বরফে ঢাকা এই মহাদেশ পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চল। সারাবছরই হিমশীতল ।আবহাওয়া, কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর তুষারঝড় চলে। শীতকালে তাপমাত্রা – ৪০°‌ ‌‌সে‌‌‍‍ন্টিগ্রেড থেকে-৭৫° সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত নেমে যায়। রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্র ‘ভস্টক’-এর‌ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮৯.২ সেন্টিগ্রেড। এটাই পৃথিবীর শীতলতম (জনবসতিহীন)‌স্থান। মে—আগস্ট মাসে ২৪ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে। আকাশে সূর্য দেখা যায় না। এই সময় মাঝে মাঝেই আকাশ জুড়ে সবুজ, নীল, লাল, রামধনুর রংয়ের মতো আলোর ছটা (মেরুজ্যোতি) দেখা যায়।
প্রকাশে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে) অবস্থা কিছুটা বদলায়। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ৯০° সেন্টিভ এসৌছায়।

আকাশে ২৪ ঘন্টাই সূর্য দেখা যায়। কিন্তু দুর্যের আলো বেশ বাঁকাভাবে পড়ে। তার বেশিরস্কাগোলই করাবো প্রাপ্তিক্ষণিক,হয়ে ফিরে যায়। ফলে উচ্চতা খুব বেশি বাড়তে পারে না। বরফে ঢাকা আন্টার্কটিকার কোনো গাছপালা নেই। এবনার বিকালে সমুদ্রের ধারে কোথাও সামান্য সাফ গলে গেলে মন, লাইকেন, ঢাকটিকার একমাত্র স্থায়ী বালিশা পেকছুইন পাখি। ভয়কের ঠাণ্ডাতেই এবা অভ্যন্ত। চারপাশের সমূলে প্রচুর মাছ, সামুদ্রিক পাদি; তিনি, সীনা দেখা যায়। আন্টার্কটিকার সমুদ্র হিড়ি হলো সেফাইনের প্রধান খাদ্য।

'আন্টার্কটিকা : বিজ্ঞানের মহাদেশ


এই মহাদেশ কোনো দেশের অধীন নায়। | ‘আন্টার্কটিকা' পৃথিবীর সমস্ত দেশের একটা 'আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্লাশ, | জার্মানি, জাপান, আর্জেন্টিনা, ভারত সহ প্রায় ৪০ টা দেশের ১০০ টারও বেশি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। এই মহাদেশের ভূগর্ভে কয়লা, খনিজতেন, প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, নিকেল, সোনার অফুরন্ত ভাঙার রয়েছে। সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জলবায়ু, খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণা করছেন।
১৯৫৯ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে পৃথিবীর যে কোনো দেশ এই মহাদেশে সমস্তরকম বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ পাবে। কিন্তু সবরকম গবেষণা, পরিকল্পনা হতে হবে শান্তির উদ্দেশ্যে। আন্টার্কটিকার প্রাকৃতিক সম্পদে কোনো দেশের নিজস্ব অধিকার থাকবে না। পৃথিবীর সব দেশকেই এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে রক্ষা করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01