রাশিবিজ্ঞান বলতে কী বোঝো? শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান কাকে বলো ? শিক্ষা-রাশিবিজ্ঞানের উপযোগিতাসুজি লেখো।
উওর
রাশিবিজ্ঞান
রাশিবিজ্ঞান হল এমন এক বিস্তান যার সাহায্যে তথাগুলিকে সংগ্রহ করা যায়, সারণিপত্র তৈরি করা যায়, সেগুলিকে সুবিধাভ করা যায় ও সেগুলির তাৎপর্যও নির্ণয় করা যায়।
শিক্ষাগত রাণিবিজ্ঞান
যে রাশিবিজ্ঞান শিক্ষার বিভিন্ন দিকে ব্যবহূত হয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়াকে কার্যকরী এবং উন্নত করে তাকে শিক্ষাগত রাণিবিজ্ঞান বলে।
শিক্ষা রাশিবিজ্ঞানের উপযোগিতা
শিক্ষা-রাশিবিজ্ঞানের উপযোগিতাগুলি নিম্নরূপ-
[1] শিক্ষামূলক তথ্যের প্রকাশ: রাশিবিজ্ঞানের সাহায্যে প্রান্ত শিক্ষামূলক তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর প্রকৃত গ্রুপ সহজভাবে প্রকাশ করা যায়। রঘোর সংক্ষিপ্তকরণ, সুবিন্যাস ও অর্থপূর্ণ দিখান্ত গঠনের জন্য রাণিবিজ্ঞান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
[2] শিক্ষামূলক তথ্যের নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণ: রাশিবিজ্ঞানের জ্ঞান শিক্ষামুলক তথা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে সিদ্ধান্ত একটি নির্দিষ্ট স্থায়িত্ব লাভ করে এবং সিখান্ড অপেক্ষাকৃত নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য হয়।
(3) শিক্ষামূলক তথ্যের তাৎপর্য নির্ণয়: শিক্ষামূলক তথ্যকে ব্যাখ্যা করার জন্য আমরা সাধারণত দুটি মান ব্যবহার করি (1) কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ, বিষমতার পরিমাপ। এরকম দুটি মান দ্বারা আমরা শিক্ষামূলক প্রাপ্ত তথ্যের তাৎপর্য নির্ণয় করতে পারি।
(4) শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ণয়: আধুনিক শিক্ষা-রাণিবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড়ো অবদান হল শিক্ষার্থীর ভবিষাদ নিয়ে অনেক নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য তথা সরবরাহ করা। যেমন-উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল দেখে কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কেমন সাফল্য অর্জন করতে পারবে, কিংবা তার বুদ্ধির পরিমাপ থেকে শিক্ষা বা বৃত্তিতে সে কর পরিমাণ কৃতকার্য হবে ইত্যাদি বলা যায়।
[5] শিক্ষামূলক অভীক্ষা প্রস্তুত: শিক্ষা-রাণিবিজ্ঞানের কৌশল প্রয়োগ করে আমরা শিক্ষামূলক অভীক্ষাগুলিকে অপেক্ষাকৃত নির্ভুলভাবে তৈরি করতে পারি। ফলে, সামগ্রিকভাবে শিক্ষামূলক মূল্যায়নের উন্নতি করা যায়।
[6] শিক্ষামূলক তথ্যের তুলনা: শিক্ষা-রাশিবিজ্ঞানের কৌশল প্রয়োগ করে শিক্ষামূলক তথ্যগুলির মধ্যে তুলনা করা সম্ভব, যেমন দু-দল হারের প্রাপ্ত ফোরের পার্থক্য তাৎপর্যপূর্ণ কি না তা রাণিবিজ্ঞানের কৌশলের সাহায্যে সঠিকভাবে বিচার করা সম্ভব। বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিমাপ গুলির সম এককের পরিবর্তন করা যায় রাশি বিজ্ঞানের কৌশল প্রয়োগ করে।
[7] শিক্ষার্থীর অগ্রগতি নির্ধারণ: শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল্যায়নের একটি উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি বা তাদের ব্যর্থতার কারণ নির্ধারণ। এই দুটি কাজ ঠিকভাবে করতে না পারলে উপযুক্ত শিক্ষার পড়ি কল্পনা রচনা এবং তাদের প্রয়োজনমতো উৎসাহ দান ও সংশোধন মূলক শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়।
[8] উপাদান বিশ্লেষণ: জটিল মানসিক বৈশিষ্ট্য যেমন বুদ্ধি প্রবর্তনা প্রভৃতি থেকে কি কি মৌলিক মানসিক উপাদান আছে তারা শ্রীবিজ্ঞানের বিশেষ কৌশলের দ্বারা নির্ণয় করা সম্ভব।
[9] শিক্ষা পরিকল্পনা: শিক্ষা পরিকল্পনা করতে নানান তথ্য প্রয়োজন হয়। যেমন আগামী দিনে প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ইত্যাদিস্তরে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী হতে পারে। তাদের সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিকল্পনার জন্য কত অর্থ ব্যয় হতে পারে প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ শিক্ষা রাশি বিজ্ঞানের সাহায্যে অপরিহার্য।
সুতরাং রাশি বিজ্ঞানের কৌশল শিক্ষামূলক তথ্যগুলিকে অপেক্ষা কৃত সহজ সরল ভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।। তাছাড়া এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রাপ্ত দত্তগুলিকে অনেক বেশি অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ করা সম্ভব হয় যা দেশের সার্বিক শিক্ষা পরিকল্পনা বিশেষভাবে প্রয়োজন।