welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট (Geo-Stationary Satellite )

 Geo-Stationary Satellite


এই ধরনের স্যাটেলাইটগুলির গতি ও পরিক্রমণ পথ পৃথিবীর গতি ও পরিক্রমণ পথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অর্থাৎ পৃথিবী যেদিকে আবর্তন করে এই স্যাটেলাইটগুলিও সেই দিকেই তার কক্ষপথ বরাবর পরিক্রমণ করে। ফলে এই স্যাটেলাইটগুলিকে পৃথিবীর সাপেক্ষে আপাত দৃষ্টিতে স্থির বলে মনে হয়। তাই একে Geo-Stationary Satellite বলে। এই স্যাটেলাইটগুলি Equatorial Orbit এ থেকে পৃথিবীকে পশ্চিম থেকে পূর্বে পরিক্রমণ করে (Fig. 5.9)।



বৈশিষ্ট্যঃ

এই স্যাটেলাইটগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

i) এই স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীর আবর্তনগতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অর্থাৎ পৃথিবী যেমন পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে তেমনি এই স্যাটেলাইটগুলিও পৃথিবীকে কেন্দ্র করে পশ্চিম থেকে পূর্বে তার কক্ষপথ বরাবর পরিক্রমণ করে। পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্বে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে প্রায় 24 ঘন্টা। তেমনি এই স্যাটেলাইটগুলির পৃথিবীর চারিদিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে প্রায় 24 ঘন্টা। ফলে এই স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীর একটি অংশেই সর্বদা স্থির থাকে। এই ধরনের একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ অংশের তথ্য 24 ঘন্টাই সংগ্রহ করতে থাকে। ফলে সমগ্র পৃথিবীর তথ্য সংগ্রহ করতে এই ধরনের তিনটি স্যাটেলাইট প্রয়োজন হয়।


ii) এই স্যাটেলাইটগুলির গতিবেগ হল 3.065 Km/Sec। যেখানে পৃথিবীর আবর্তনবেগ হল 0.47 Km/Sec স্যাটেলাইটগুলির কক্ষপথ বেশী হওয়ায় গতিবেগ বেশী থাকে। ফলে পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে।


iii) সমুদ্রপৃষ্ঠ (M-S.L) থেকে প্রায় 36000 Km উর্দ্ধে এই স্যাটেলাইটগুলি অবস্থান করে।


ⅳ) সাধারণত আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, যোগাযোগ ব্যবস্থা (Communication) প্রভৃতি কাজে এই স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয়। তাই একে Meteorological and Communication Satellite বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের GOES (Geo-Stationary Operational Environmental Satellite), ভারতবর্ষের INSAT (Indian National Satellite) এই ধরনের স্যাটেলাইটের উদাহরণ।


সুবিধা (Advantages):


ⅰ) এই স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীর আবর্তন গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় পৃথিবীর কোন একটি অংশে স্থায়ীভাবে 24 ঘন্টাই তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়।


ii) এই স্যাটেলাইটগুলি অধিক উচ্চতায় অবস্থান করে বলে বৃহৎ জায়গার তথ্য একসঙ্গে সংগ্রহ করার সুবিধা আছে।


iii) যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই স্যাটেলাইটের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন TV, Internet, Telecommunication ইত্যাদি।


ⅳ) আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য যেমন সাইক্লোনের উৎপত্তি, অবস্থান, গতিপ্রকৃতি, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ইত্যাদি তথা সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাষ এই স্যাটেলাইটের সাহায্যেই দেওয়া সম্ভব হয়।


উপরিউক্ত সুবিধাগুলি সত্ত্বেও এই স্যাটেলাইট অধিক উচ্চতায় অবস্থান করায় Spatial Resolution অতি নিকৃষ্টমানের হয়। তাই এই স্যাটেলাইটগুলি কেবলমাত্র আবহাওয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01