ভূকম্পন তরঙ্গ(Seismic Wave)
ভূকম্পন তরঙ্গ(Seismic Wave) ভূমিকম্পের সময় যে শক্তি নির্গত হয় তা পাথরের মধ্যে কম্পন সৃষ্টি করে। এই সময় যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে ভূকম্পন তরঙ্গা (seismic wave) বলে। এই তরঙ্গের সাহায্যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিশদভাবে জানা যায় যে কোনো প্রকার ভূমিকম্পের সময় ভূকম্পন কেন্দ্র থেকে একই সঙ্গে তিন ধরনের ভূকম্পীয় তরঙ্গের উৎপত্তি হয়। এইসব তরঙ্গ ভূকম্পন কেন্দ্র হতে বিভিন্ন দিকে, বিভিন্ন মাধ্যমে, বিভিন্ন গতিতে এবং বিভিন্ন উপায়ে প্রবাহিত হয়। ভুভূকম্পন তরঙ্গের বিভিন্ন বিষয়গুলি ভূকম্পলিখ যন্ত্রের (Seismograph) সাহায্যে পাঠ নেওয়া হয়। এখন ভূমিকম্প বিষয়ক অত্যাধুনিক যন্ত্রটিকে সিসমোগ্রাফের (seismograph) বদলে সিসমোমিটার (seismometer) বলা হয়। কম্পনের তরঙ্গের গতিবেগ নির্ভর করে স্তরের ঘনত্বের ওপর। আবার স্তরের অবস্থান যতই ঘন হবে ততই তরঙ্গের গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। ফলে একই স্থানে অবস্থিত ভুকম্পলেষ যন্ত্রগুলিতে কম্পনের রেখাগুলোর মধ্যে তারতম্য লক্ষ করা যায়। ভূকম্পলেখ যন্ত্রের সাহায্যে তরঙ্গ। কোনো শিলার মধ্যে দিয়ে, কী প্রকার তরঙ্গ, কতদূর যাবে এবং তার গতিবেগ কী পরিমাণ তা জানা যায়। পৃথিবীর আকার অনুযায়ী এই তরঙ্গগুল…